পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$ዓ8 ছিল । তাহার অধীনস্থ সৈন্তাধ্যক্ষের পারিতোষিক স্বরূপ জায়গীর ইনাম দিতে তিনি নিতাস্ত অনিচ্ছুক ছিলেন । শিবাজীর বিধানে পেশওয়া সেনাপতি হইতে আরম্ভ করিয়া সিপাই কারকুন পর্য্যন্ত নিম্নশ্রেণীর লোকের রাজকোষ কিম্বা ধান্তভাণ্ডার হইতে বেতন পাইত। নির্দিষ্ট বেতন নিয়মিত সময়ে দেওয়l ঐশ্বৰ্য্যশালী হষ্টত । প্রভূত জায়গীরদার জমিদাব স্বষ্টি করা রাজ্যের হিতকর নহে, শিবাজী তাহ বিলক্ষণ বুঝিতেন। আমাদেব দেশে কেন্দ্রবর্জনী শক্তি কেন্দ্রমুখী শক্তিকে সহজেই ছাড়াইয়া উঠে—শিবাজী এই গতির বিরুদ্ধে যথাসাধা কাৰ্য্য করিতেন । এই কারণে জায়গীরদারী প্রথার তিনি পক্ষপাতী ছিলেন না । এমন কি, জমিদারদের দুর্গনিৰ্ম্মাণেরও নিষেধ ছিল । অন্তান্ত রায়তের দ্যায় অরক্ষিত গৃহে বাস করিয়াই সন্তুষ্ট থাকা ভিন্ন তাহদের গত্যন্তর ছিল না । শিবাজী য়ে জমিদারী প্রথার বিরোধী ছিলেন তাহার প্রমাণ এই যে র্তাহার সময় যে সকল বড় বড় লোক প্রসিদ্ধি লাভ করিয়াছিলেন র্তাহারা কেহই উত্তবাধিকারীদের জন্য বৃহদায়তন ভূমি সম্পত্তি রাখিয়৷ যাইতে পারেন নাই। ভূসম্পত্তিশালী বৃহৎপরিবার পত্তন শিবাজীর পরবর্তী কালের প্রথা । শিবাজী যাহা কিছু ভূমিদানের নিয়ম বাধিয়া দিয়াছিলেন তাহা ধৰ্ম্মক্ষেত্রে—মন্দির প্রতিষ্ঠা ও দান ধৰ্ম্মের কার্য্যে নিয়োজিত श्ऊ । বিদ্যাশিক্ষার উত্তেজনার জন্ত দক্ষিণ দিবার নিয়ম ছিল । শিবাজীর রাজত্বকালে সংস্কৃতচর্চ বড় একটা ছিল না কিন্তু তাহার ভারতী পৌষ, ১৩২০ প্রবর্তিত দক্ষিণাদি দানব্যবস্থার দরুণ ছাত্রগণ কাশী হইতে সংস্কৃত অধ্যয়ন করিয়া আসিত, এইরূপে দক্ষিণাত্যে ক্রমে সংস্কৃত শিক্ষার বিস্তার হইল । পেশওয়ারাও এই বিষয়ে বিশেষ মনোযোগী ছিলেন। পঞ্চম। রাজস্ব আদায়ের সুব্যবস্থা । রাজা প্রজার সাক্ষাৎ সম্বন্ধ, জমিদারের মধ্যবৰ্ত্তিতা নাই, শিবাজীর এই নিয়ম ছিল। র্তাঙ্গার বিশ্বাস এই যে খাজনা আদায়ের কাজে মধ্যবর্তী জমিদার নিয়োগ করা যত অনর্থের মুল । তাহাব ফল এই হয় যে জমিদার বেশীর ভাগ খাজনা আত্মসাৎ করে, সরকারী তহবিলে অল্পই আসে, এইহেতু তিনি জমিদারী প্রণালীর বিরোধী ছিলেন । তিনি যোগ্য বেতন দিয়া কমাবিসদার মহলকারী সুবেদার প্রভৃতি রেবেনু কৰ্ম্মচারী রাখিতেন—রায়তদের যাহার যাহা দেয় তাহার জন্ত কবুলায়ৎ লওয়া হইত। ফসলের দ্বিতীয় পঞ্চম অংশ সরকারী খাজনার হার অবশিষ্ট রায়তের নিজস্ব থাকিত। তখন আদালতের কাজ বেশী ছিল না—সুবেদার দেওয়ানী ফৌজদারী দুই কাজই করিতেন। তেমন কিছু বড় মকদম উপস্থিত হইলে পঞ্চায়তের হাতে সমৰ্পিত হইত। ষষ্ঠ । রাজস্বের কণ্টাক্ট বা ইজারা দেওয়া রহিত করা । রাজস্বের কণ্টাক্ট দিয়া জমিদার বা ইজারাদার নিয়োগ শিবাজীর নিয়ম বিরুদ্ধ ছিল। পেশওয়াই আমলেও এই নিয়ম অনেককাল পর্য্যস্ত রক্ষিত হইয়াছিল । শেষ বাজিরাওএর রাজ্যে যখন অরাজকতার একশেষ তখন ইহার ব্যতিক্রম ঘটিল। ইজারদারী নিয়মে