পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা রায়তের উপর অত্যাচারের সীমা রহিল না । ইজারদারের প্রজা নিপীড়ন করিয়া তাহার হায্য দেনার উপর যতটা আদায় করিতে পারে সে চেষ্টার কোন ক্রটি করিত F1 | সপ্তম । সিবিল বিভাগের অধীনে সেনা বিভাগ রক্ষা কর । এরূপ করাই যুক্তিসঙ্গত, নহিলে সৈন্ত্যপ্রতীপ রাজশক্তিকে অতিক্রম করিয়া উঠিয়া সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা হইয় পড়ে। অষ্টম । জাতিনির্বিশেষে কৰ্ম্মবিভাগ । ব্রাহ্মণ প্রভু মারাঠা উচ্চনীচ বর্ণের সম্মিশ্রণে রাজকাৰ্য্য পরিচালন করা শিবাজীর নিয়ম ছিল ; যাহাতে কোন এক বিশেষ জাতির প্রাধান্ত নিবারিত হয়, স্বেচ্ছাচাৰ উচ্ছ জ্বলতার প্রতিরোধ হয়, পরস্পরের একটা শাসন অক্ষুণ্ণ থাকিয়া সুশৃঙ্খলভাবে কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ হয় তাহাই উদ্দেশ্য। শিবাজীর পরে এই ঋষি ও ব্রাহ্মণ ፭ ዓ¢ নিয়মটা রক্ষিত হয় নাই। পেশওয়াই অমলে ব্রাহ্মণেরই আধিপত্য দেখা যায়। শিবাজীর যে শাসনপ্রণালী বর্ণিত হইল ব্রিটিশ রাজ্য শাসনপ্রণালী তাহার প্রতিরূপ বলা যাইতে পারে। দেওয়ানী ও সৈনিক ভাগের পার্থক্য সাধন, সৈনিকের উপর দেওয়ানীর প্রভুত্ব স্থাপন, নির্দিষ্ট বেতনে কৰ্ম্মচারী নিয়োগ, বড় বড় পদ বংশগত না করিয়া যোগ্যতা অনুসারে জাতিনিৰ্ব্বিশেষে রাজকাৰ্য্যে নিয়োগ, রাজস্ব আদায়ের সুব্যবস্থা, সভাপতিব মন্ত্রণায় রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করা, এই সমস্ত সুশাসন প্রণালী অবলম্বন করিয়া মুষ্টিমেয় ইংরাজ জাতি ভারতবর্ষে একছত্র রাজ্য প্রতিষ্ঠা করিতে সক্ষম হইয়াছেন। শিবাজীনির্দিষ্ট শাসনপ্রণালীর অন্যথাচরণ করিয়াই পেশওয়া রাজ্য স্বীয় অধঃপতনের সোপান প্রস্তুত করিল ! (২) শ্ৰীসত্যেন্দ্রনাথ ঠাকুব । ঋষি ও ব্রাহ্মণ ঋষি ও ব্রাহ্মণ এক জাতি আমরা চিরকাল এই কথাই শুনিয়া আসিতেছি—কিন্তু এ প্রবন্ধে আমি দেখাইব যে ঋষি আৰ্য্যবংশসস্তৃত আর ব্রাহ্মণ মেজাই হইতে উৎপন্ন। ইরাণীগণ ব্রাহ্মণদিগকে প্রাচীনকালে মেজাই বলিত। এই মেজাই জাতি পারস্ত দেশের পশ্চিমভাগস্থ মিডিয়া দেশ হইতে আসিয়া ইরাণে বসবাস আরম্ভ করিবার সঙ্গে সঙ্গে ইরাণে ধৰ্ম্মমত প্রচার করেন । “অথৰ্ব্বণদিগের আগমন” আবেস্তায় প্রসিদ্ধ। র্তাহীদের আসিবার পূৰ্ব্বে ইরাণে ঈশ্বরভক্তি ছিল না ; কিন্তু আবেস্তালিখিত (R) Rise of the Mahratta Power by M. G. Ranade Grant Duff's History of the Mahrattas,