পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা ব্যক্তিকে বোকাইনগরের সিদ্ধপুরুষ ইহা অনুমান করাও অসঙ্গত নহে। এতদঞ্চলের অস্তান্ত দরগার নিয়মপ্রণালীর সহিত ইহার ঐক্য হয়। কিন্তু ঐ সমস্ত দরগারই ইতিহাস তমসাচ্ছন্ন । কাজেই আমরা কেবল কিংবদন্তির সার সঙ্কলন করিয়া দিলাম । বোকাই নগরের সমাধিক্ষেত্র এ অঞ্চলে একটী পবিত্র স্থান বলিয়া খ্যাত। কালের আবর্তনে সমাধিট নষ্ট হইয়া যাইবার উপক্রম হওয়ায় ইহার পুনঃসংস্কার হইয়াছে । সমাধিট প্রাচীর বেষ্টিত, প্রাচীন প্রাচীরের কতকাংশ ও আলো দিবার প্রাচীন পাকা স্তম্ভটী এখনও বিদ্যমান আছে। প্রতিদিন দরগার জন্ত নিযুক্ত ফকির সন্ধ্যার সময় আলো কেল্লা বোকাই নগর సెly) দিয়া থাকে। ইহার বেষ্টনীর দৈর্ঘ্য ১৫হাত এবং প্রস্থ ১০ হাত । এই দরগাটকে ষে কেবল মুসলমানগণই সম্মান করিয়া থাকেন এমত নহে হিন্দুগণও যথেষ্ট সম্মান প্রদর্শন করেন। বেষ্টনীর মধ্যে হিন্দু মুসলমান সকলেই সম্মানার্থ কুর্ণিশ (অভিবাদন) করিয়া থাকেন । সমাধির দক্ষিণ ভাগে বহুকালের একটা কুপ আছে। উহার জল এখনও ব্যবহৃত হইয়া থাকে। শ্রেণীবদ্ধভাবে বটবৃক্ষগুলি স্থানটকে ছায়াসুশীতল ও মনোরম করিয়া তুলিয়াছে। দরগার সম্মুখস্থ প্রতি বৎসর বৈশাখ মাসের বৃহস্পতিবার ও রবিবারে মেলা বসে। কেল্লার ভিতর দিয়া যে নদী প্রবাহিত ভূমিতে সেতু-বোকাই নগর কুমার ক্রমান হরেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী কর্তৃক গৃহীত ।