পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯৮২ ভার হইত তাছার উপরিস্থ একটী পাক সেতুর ভগ্নাবশেষ দেখা যায়। নদীর চিহ্ন এক্ষণে লোপ পাইয়াছে। সেতুটীর গঠন অতি সুদৃঢ়। উহার কতকাংশ ভূগর্ভে প্রোথিত হইয়াছে বলিয়া অনুমান হয়। তৃণ গুলোর অত্যাচারে এই প্রাচীন কীৰ্বিট ধীরে ধীরে ধ্বংসের পথে অগ্রসর হইতেছে। মুসলমানাধিকারে আসিয়া বোকাই নগর শ্ৰীসম্পন্ন হয়। কেল্লাদার ও স্থানীয় অর্থশালী ব্যক্তিগণের উৎসাহে নানাবিধ শিল্পেরও বহুল উন্নতি হইয়ছিল। তৎকালে ঐ স্থানের বস্ত্র, বেত্রের কারুকার্য্য ও নানাবিধ স্বচীকার্য্য বিশেষ প্রসিদ্ধি লাভ করে । এখনও খলিফাপটি, বেনেপাট, তামাকপটি, প্রভৃতি নাম পূৰ্ব্বগৌরবের পরিচয় দিতেছে। কয়েকঘর তত্ত্ববায় অদ্যপি এখানে বস্ত্রবয়ন দ্বারা জীবিকা নিৰ্ব্বাহ করিয়া আসিতেছে ! বর্তমানে পুৰ্ব্ব শিল্পগৌরব ও নগরবৈভব পূর্ণরূপে বিলুপ্ত হইয়াছে। কোন সময় হইতে বোকাই নগরের অবনতি আরম্ভ হয় তাহ জানা যায় না । বোকাইনগর গ্রাম জমিদারের অধীন নহে, ইহা কালেক্টরীর খাস মহালভুক্ত। কিছু দিন পূৰ্ব্বে যে স্থান ভীষণ হিংস্র জন্তুর বিচরণ ক্ষেত্র ছিল এক্ষণে তী পৌষ, ১৩২৬ আবার তাহার পরিবর্তন হইতেছে। অধিবাসিগণ সমস্ত জঙ্গল কাটাইয় স্থানটকে চাষাবাদের উপযোগী করিয়া তুলিতেছে । গ্রামের অভ্যন্তরে সৰ্ব্বশুদ্ধ ৯৯টা কুপ ও ১৫ট পুষ্করিণীর চিকু পাওয়া যায়। খ্ৰীষ্টিয় অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে ময়মনসিংহ পরগণার বারেন্দ্র ব্রাহ্মণ জমিদার বংশের প্রতিষ্ঠাতা শ্ৰীকৃষ্ণ চৌধুরী কেল্লা বোকাই নগরের মধ্যে স্বীয় বসবাটী নিৰ্ম্মাণ কবেন । সেই বাটতে শ্ৰীকৃষ্ণ চৌধুরীর এক বংশধর আজও বাস করিতেছেন। বোকাই নগরের গোসাইবাটী বহুদিন যাবৎ প্রতিষ্ঠিত । রামগোপালপুর, গৌরীপুর, গোলোব পুর, ভবানীপুর, বাসাবাড়ী ও কালীপুর প্রভৃতি জমিদার বংশের পূর্ব পুরুষগণের বৃত্তি দ্বারা গোসাইদিগের ভরণ পোষণ ও স্থাপিত রাধাকৃষ্ণ বিগ্রহের সেবা চলিতেছে । ৮রাজরাজেশ্বরী কালীমূৰ্ত্তি ১৭০৭ শকাব্দে গৌরীপুরের স্বৰ্গীয় যুগলকিশোর রায় চৌধুরী কর্তৃক স্থাপিত হয় । বহু অতিথি এই দেবালয়ে আশ্রয় পাইয়া সেই স্বর্গগত মহাত্মার পুণ্যপ্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি করিতেছে। ( কুমার ) প্রসৌরীন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী। ভাষার উৎপত্তি অভিব্যক্তিই (evolution) যদি স্বষ্টির নিয়ম হয়, তাহা হইলে বাকৃশক্তি মানুষ অকস্মাৎ লাভ করে নাই। গ্রামোফোন্‌ রেকর্ডে যেমন ইচ্ছামত কতকগুলা কথা কৌশলে পুঞ্জীভূত করা থাকে এবং যখন ইচ্ছা তখনই উহাকে ঐ সকল কথা বলাইয়া লইতে পারা যায়, মানুষের মনটা ঠিক সেরূপ নছে । বাকুশক্তিশালী মানুষ জন্মাইবার পূৰ্ব্বে যে মুক মনুষ্যের স্বষ্টি হইয়াছিল, ইহাতে কোনই সন্দেহ নাই। যে মানুষটি কথার