পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

వీసెళి এবং তাহার সহযাত্রী হস্তীপৃষ্ঠারূঢ় সঙ্গীদের ভগ্নাতুর দেখিয়া মুখ ফিরাইয়া সাস্বনার মৃদ্ধ হাসি হাসিয়া আশ্বাস দিয়াছেন । তুমি জান-দিল্লীর রাজপথে সম্মানের বিজয়-নিশান-স্বরূপ তিনি ভিক্টোরিয়া ক্রশ লাভ করিয়াছিলেন। আর তোমরাই ত দেখিয়াছ—সেই তিনিই আজ পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বাপেক্ষ নির্জন পল্লীর প্রান্তে প্রাচীর বেষ্টনের রুদ্ধ কক্ষে বসিয়া দারুণ ভয়ে কম্পিত হইতেছেন। ভাগ্যের এ কি নিষ্ঠুর পরিহাস, —কি এ নিৰ্ম্মমতা | আমরা তোমাদের যে কথা জানাইয়াছি তাহা স্মরণ করিয়ো,-—এ একটা কল্পিত মানসিক ব্যাধির ফল নsে,—আমাদের অন্তরাত্মা আজ বলিতেছে, সত্য, সত্য, সব সত্য ! সত্যই আমাদের জন্ত ভবিষ্যৎ তাহার अककाँग्न भूथ यांफ़ाहेब्र झश्ब्रिां८छ्,-७३ যে বিপদ—এ এমন ভাবের—যে ইহাকে cठंकfहेब्र ब्रां५७ शांब नl, श्रशूद छैiनिग्न ফেলিয়া দেওয়াও চলে না। আর বুঝাইয়া বলিবারও কিছু নাই। ভোমরা কি মনে কর, ৫ই অক্টোবর রিক্ত হস্তে আমাদের দুর্ভাগ্য পরিবারে কোন ভীষণ নাটকের যবনিক নিক্ষেপ না করিয়াই ফিরিয়া যাইবে ? যদি তাহাই হয়, ৫ই অক্টোবর কাটিয়াই যদি যায়,৬ই অক্টোবর প্রাতে ব্র্যাঙ্কসামারে আবার আমরা মিলিত হইব । তোমরা উভয়ে আমাদের আন্তরিক ভালবাসা জানিয়ে।” ইতি তোমাদেরই “মরডণ্ট” এই চিঠিখানা আমাদের মনে মুখ না দিলেও সাশ্বনা দিয়াছিল। আমরা বুঝিয়া ছিলাম, তাহারা স্বেচ্ছা-বন্দী হইলেও অত্যাচারিত নহে। কিন্তু যাহার। আমাদের গুণৱতী পৌষ, ১৩২০ প্রাণাধিক, তাহারা যে সত্যই কোন ভীষণ বিপদের সম্মুখে অবস্থিত, এ চিন্তায় এত ব্যাকুল হইয়াছিলাম, যে কেবল উন্মাদ হইতেই বাকি ছিল । দিনের ভিতর পঞ্চাশ বার আমরা কেবলই ভাবিতে ছিলাম—যে বিপদটা কি প্রকারের ? কোথা হইতে উহার উৎপত্তি সম্ভব ? সে প্রশ্নের উত্তর ছিল না । চিন্তার সুত্রে উত্তরোত্তর গ্ৰন্থি র্বাধিয়াই চলিয়াছিল। অমীমাংসিত প্রশ্ন, অন্তর মধ্যে বেদনার দোলা দিয়া কেবলই বলিতে থাকে, পথ নাই, পথ নাই ! রমবারের লোকগুলির নিকট যখন যতটুকু যাহা শুনিয়াছি, সমস্ত মিলাইয়া যদি সেই জটিল রহস্তের কোন স্বত্র খুজিয়া পাই, তাহারই নিষ্ফল চেষ্টায় অনেক সময় মস্তিষ্ক ঘুতের অনেকখানি অপচয় করিয়াছি। কত বিনিদ্র রজনী এই একই চিন্তায় কোমল শয্যা কণ্টক-শয্যায় পরিণত করিয়া তুলিয়া, এ পাশ, ও পাশ ছটফট করিয়া কাটাইয় দিয়াছি, তথাপি কোন কুল-কিনারার সন্ধান মিলে নাই । মাথার উপর যে ঘোরতর ফুৰ্দ্দিন আকস্মিক বজ্র নিক্ষেপের জন্ত প্রস্তুত হইতেছিল, তাহার ছায়া যেন আমাদের চিত্তেও সুস্পষ্ট প্রতিবিম্ব অঙ্কিত করিয়া তুলিয়াছে। মানুষ কল্পনা-বলে একটা দুৰ্গম জটিল পথ তৈয়ার করিয়া লয়। কখনও কখনও ঘটনা চক্রের সংঘর্ষণে সেই সহস্ৰ নিৰ্ম্মিত পথই প্রশস্ত হইয়া তাহারই দুঃখের মাত্র পুর্ণ করিয়া সফলতা আনয়ন করে । আমাদের বন্ধুদের কল্পিত দুঃখের দিন বুঝি বা সত্যই আসে । যে কাল্পনিক চিত্র মুদুর আকাশের গায়ে ছিল, তাছাই বুঝি শরীর ধরিয়া ভূতলে নামে ।