পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা ঘটবার সম্ভাবনা । সংক্রামকতা-দুষ্ট বস্ত্র কেবল জলে ধৌত কবিলে উহার সংক্রমিকত নষ্ট হইয়া যায় না । এরূপ বস্ত্র বাটীব মধ্যে জড় করিয়া রাখিলে উক্ত বোগেব পরিব্যাপ্তি হইবাব সম্ভাবনা । পুনশ্চ ঐ কাপড় ধোপাব বাট যাইলে অন্ত পরিবাবেব ধৌত বস্ত্রের সংস্পর্শে আসিবার সম্পূর্ণ সম্ভাবনা, কাবণ ধোপাব। সচরাচর একটি ক্ষুদ্র গৃহেব মধ্যে বাস করে এবং তাহাব মধ্যেই মলিন ও ধৌত বস্ত্রাদি পাশাপাশি রাখিয়া দেয় । সুতরাং দূষিত মলিন বস্ত্র হইতে ধৌত বস্ত্রে ংক্রামক রোগের বীজ সংলগ্ন হওয়া আশ্চর্য্যের বিষয় নহে । অনেক সময়ে হাম, বসন্ত প্রভৃতি সংক্রামক বেগে বাটীব মধ্যে কোথা হইতে উপস্থিত হইল, স্থিব কবিতে পারা যায় না । ধোপাব বাটীব ফর্স কাপড়ের সহিত উক্ত বোগের বীজেব আমদানি হওয়া অসম্ভব ব্যাপাব নহে । ধোপার বাটী হইতে কাপড় আসিলে ২৩ ঘণ্টার জন্ত উহাকে রৌদ্রে রাখিয়া পরে ঘরেব ভিতর তুলিলে এই দোষ অনেকাংশে কাটিয়া যায়। কেহ কেহ ধোপার বাটীর কাপড় একবার জলে কাচিয়া রৌদ্রে শুকাইয়া ব্যবহার করেন ; ইহা দ্বারা কাপড়ের সংক্রামকত দোষ কাটিয়া যায় । সংক্রামতী-দুষ্ট কাপড় বিশুদ্ধ না করিয়া ধোপার বাট পাঠাইলে তাহার পরিজনবর্গের মধ্যেও ঐ রোগের আবির্ভাব হইবার যথেষ্ট সম্ভাবনা থাকে। সুতরাং ইহা যে নিতান্ত অবিবেচনার কার্য্য, তাহা বোধ হয় কেঙ্কই অস্বীকার করিবেন না। এজন্ত রোগীর কাপড় ও শয্যাদি পুৰ্ব্বাহে জলে উত্তমরূপে শারীর স্বাস্থ্য-বিধান ጎ¢¢ ফুটাইয়া ধোপার বাটতে পাঠান অবশু কর্তব্য । হস্পিটালে বোগীব বস্ত্র ও শয্যাদি অত্যুষ্ণ জলেব ভাপ বায় অথবা অত্যন্ত গরম বাতাসের দ্বারা বিশুদ্ধ করিবার জন্ত এক প্রকার যন্ত্র ব্যবহৃত হইয়া থাকে । গৃহস্থের বাটীতে একটা বড় পাত্রে বস্ত্রাদি জলে অধিকক্ষণ ফুটাইয়া লইগেই শোধন-কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে পাবে । বোগীর গৃহ হইতে যে কোন বাসন বাহির করা হইবে, তাহ তৎক্ষণাৎ বিশোধক ঔষধ দ্বারা উত্তমরূপে ধৌত করিয়া লওয়া উচিত। রোগী যে পাত্ৰে মল, মুত্র বা কফ পরিত্যাগ করিবে, গৃহের মধ্যেই উহার সহিত যথেষ্ট পরিমাণে বিশোধক মিশ্রিত কবিয়া, যতশাস্ত্র সম্ভব, স্থানান্তবিত করিবে । যখন বোগী অবোগ্য লাভ করিবে, তখন তাহাকে কাৰ্ব্বলিক্ সাবান দ্বারা উষ্ণ জলে স্নান এবং নুতন বস্ত্র পরিধান করাইয় বাটীর অন্তক্র গমন করিতে বা অন্তলোকের সহিত মিশিতে দেওয়া উচিত। রোগ ভেদে উহার সংক্রামকতা-দোষ অল্প বা অধিক দিন বোগাব শরীরের মধ্যে লুক্কায়িত থাকে। এই সময়ের মধ্যে যদি উক্ত রোগী সুস্থ ব্যক্তির সংস্পর্শে আইসে, তাহা হইলে সুস্থ ব্যক্তির ঐ বোগে আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা ৷ সুতরাং উক্ত সময়ের মধ্যে রোগীকে কাহারও সহিত মিশিতে না দিয়া পৃথক্ করিয়া রাখিলে রোগের পরিব্যাপ্তি ঘটিবার সম্ভাবনা সবিশেষ কমিয়া যায়। অধিকাংশ রোগেরই ংক্রীমতী-দোষ প্রায় তিন সপ্তাহ পর্য্যস্ত থাকে । রোগী আরোগ্য লাভ করিলে, যাহাদের ঔষধ উহাকে