পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/২৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ०२8 বিরুদ্ধে যাত্রা করিলেন এবং ‘গাকুর’ নামক স্থানে থামুর পুত্র ‘হাকিম বেগকে ধৃত করিলেন । বাদস হাকিম বেগের সহিত অতি ভদ্র ব্যবহার করিয়া তাহাকে বহুমূল্য উপহারাদি প্রদান করিলেন এবং নানা প্রকার উৎসবের আয়োজন করিয়া নিজের মহত্ব প্রদর্শন করিলেন। বাদসা, হাকিম বেগকে প্রচুর সৈন্তসহ তাহার পিতার নিকট প্রেরণ করিয়া হীনতা স্বীকার করিতে বলিলেন। হাকিম বেগ পি তাকে বাদসার অভিপ্রায়াতুযায়ী কাৰ্য্য করিতে বলিলে পর থামু পুত্রের প্রতি অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া তৎক্ষণাৎ যুদ্ধ আরম্ভ করিল, কিন্তু বাদসা প্রেরিত সৈন্তবলের নিকট থামুর উন্নত মস্তক অবনত হইয়া গেল। থামু বহুত স্বীকার করিল এবং গ্রামের দুর্গ হইতে বাহির হইয়া সকল সৰ্ব্বসমক্ষে বাদসাকে সেলাম করিল। বাদশা তখন থামুকে নৃত্য করিতে আজ্ঞা দিলেন— বাদসার আজ্ঞানুসারে থামু নৃত্য আরম্ভ করিল। কিন্তু নৃত্য সময়ে বাদসকে সেলাম করিবার পরিবর্তে থাম আপন দুর্গের দিকে যাইয় সেণাম করিল, তাহাতে বাদস কুদ্ধ হইয়া তৎক্ষণাৎ সেই স্থানে থামকে তাহার দ্বাদশ পুত্রসহ হত্যা করিতে আদেশ করিলেন। বাদসার আজ্ঞা তৎক্ষণাৎ প্রতিপালিত ইহার পর থামু ও তাহার দ্বাদশ পুত্রের মৃতদেহ সেইস্থানে প্রোথিত করা হইল। এই কবরকে “থাম আই-বোমবাট” (Thashu—I—Bomb—bat)*.*, **str চতুষ্কোণ, উচ্চতায় ৯ ফুট, এবং পরিধিতে ৫ গজ হইবে। দেখিতে একটা ছোট ঘরের ভারতী পৌষ, ১৩২০ भङ । हेशज्ञहे भप्था भृङष्मश् cथाथिङ कब्जा হইয়াছিল। একটা ডুমুর গাছ ছাদের উপর জন্মিয়ছিল এবং তাহাতেই ছাতটা পড়িয়া গিয়াছে। থামুর মৃত্যুর পর থাম্ব ভ্রাতা খুসঙ্গাল বেগকে বাদদ গুলাপুরে উজীর পদে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন । চেমোগা গ্রাম ধবংসের গল্প । স্কারচুর প্রধানের—সের সী, আলি সী, সামুরাদ, সা-সুলতান নামক চারি পুত্র ছিল । চিত্রলাভিমুখে যাত্রা করিলে পর তাহারা পথিমধ্যে গিলগিট হইতে ১৯ মাইল পূৰ্ব্বে অবস্থিত চেমেগা নামক গ্রামে বিশ্রাম গ্রহণ করেন । এই স্থানে তাহাব নানা প্রকার আমোদ প্রমোদে, ক্রীড়াকৌতুকে এবং কর্ণবধির অসংখ্য ঢাকের শবে গ্রামবাণীদিগকে বিব্রত করিয়া তোলেন। গ্রামবাসীগণ একে একে রাজপুত্রগণকে সন্মান দেখাইতে আসিল কিন্তু চেমোগার একজন ধনবান .ব্যক্তি আসিল না। রাজপুত্রগণ তৎক্ষণাৎ তাহাকে ধৃত করিয়া আনিবার জন্ত অনুচরগণকে আদেশ করিলেন এবং সেই ব্যক্তি উপস্থিত হইলে পর সে কেন সম্মান প্রদর্শনে এত বিলম্ব করিয়াছে তাহার কারণ জিজ্ঞাসা করিলেন । ধনী ব্যক্তিটা বলিলেন—হুজুর আমি আমার পশুশালায় দুগ্ধদোহনে ব্যস্ত ছিলাম। পশুদের চীৎকারে আমি আপনাদের ঢাকের শব্দ শুনিতে পাই নাই এবং আপনারা যে গ্রামে আসিয়াছেন তাহাও জানিতে পারি নাই-তজন্তই আমার বিলম্ব হইয়াছে। এই কথা শুনিয়া রাজপুত্ৰগণ ক্রুদ্ধ হইলেন