পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা দেপিলেন যে তাঙ্গর স্ত্রী একটা অপরিচিত পুরুষেব সহিত হস্ত পবিহাস কবিতেছে! তাহা দেখিয়া সমালিক অতিমাত্র ক্রুদ্ধ হইয়া নিকটস্থ এক খণ্ড প্রস্তব লইয়া মাবিতে উষ্ঠত হইবামা এ সেই বৃদ্ধেব উপদেশ তাহার স্মবণ হইল । তিনি অন্ত অস্ত্রে র অন্বষ:ণ গমন কবিয়া জানিতে পাবিলেন যে অপব পুরুষটা আব শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য্য ও শঙ্কবদর্শন কেহই নহে—সেট তাহারই প্রিয়৩ —ধিস্ব খান । সুমলিক পুত্রকে আলিঙ্গন কবিয়া সেই অহিতক ব কৰ্ম্ম হইতে রক্ষা পাইলাব জন্ত তাহাব উপদেশদাতা বুদ্ধকে বহু অর্থ উপঢৌকন প্রদান করিলেন । শ্ৰীদেবেন্দ্রনাথ মঠি স্থা । শ্রীমৎ শঙ্করাচাৰ্য্য ও শঙ্কর দর্শন ( প্রথম ভাগ) ঐদ্বিজদাস দত্ত, এম, এ, মুল্য দুই টাকা— প্রধান প্রধান পুস্তকালয়ে প্রাপ্তব্য। পৃষ্ঠ ২- ৬ । তম সাচ্ছন্ন ভারতবর্ষে একদ যিনি আবিভূর্ত হইয়। অসাধ দণ প্রতিভা বিকাশে সমগ্র দেশের চিত্তকে উদ্বেীবিত করিয়াছিলেন, যাহার অতুলনীয় পণ্ডিত্য প্রভাবে ভারতবর্ষের যাবতীয় ধৰ্ম্মশাস্ত্র প্রাকৃতজনের বোধগম্য হওয়া সস্তব হইয়ছিল এবং যিনি এইদেশে ব্রহ্মবিদ্যা পুনঃপ্রতিষ্ঠ কবিয়ছিলেন, সেই মহাপুরুষ দার্শনিক ঋষি শঙ্করাচার্য্যের জীবন চরিত ও র্তীক (র দার্শনিক মত অতি সংক্ষেপে গ্রন্থকার এই বইখালিতে লিপিবদ্ধ করিয়াছেন । শঙ্করাচাৰ্য্য সম্বন্ধে এইরূপ সহজবোধ্য ভাষায় সাধাব৭েব পাঠোপযোগী করিয়া লেখা কোন গ্রন্থ ইতিপূৰ্ব্বে পাঠ করি নাই ; দ্বিজদাস বাবু এই গ্রন্থখানি প্রণয়ণ করিয়া প্রকৃতই আমাদের কৃতজ্ঞতা ভাজন হইয়াছেন । শঙ্করের জন্ম ও বtলচরিত অধ্যায় পাঠ করিতে করতে মনে হইতেছিল পৃথিবীর সর্বত্রই অসামান্ত প্রতিভাসম্পন্ন মহাপুরুষকে ঈশ্বরের অবতার প্রতিপন্ন করিবtল উদ্দেহে তাহীর জন্ম ও ব{লচরিত ঘেরিয়া নানা অলৌকিক ঘটনার বাহ রচিত হইয়া থাকে। শঙ্কর যে মহাদেবের অবতার তাহার শিষ্যগণ ইহ প্রমাণ করিবার জন্ত কত কাহিনীই ন প্রচার করিয়াছেন । তাবীব একস্থলে পড়িলাম মই দেব একদিন শঙ্করের নিকট আবিভূতি হইযছিলেন। মহাদেল কযটি ? শঙ্কবের দার্শনিক মত সম্বন্ধে দ্বিজদাস বাবু যাহা লিপিয়াছেন তাহ পাঠ করির মনে অনেক তর্ক উঠিয়াছে । জীব ও ব্রহ্মেব একত্ব সম্বন্ধে গোবিন্দ লাল শঙ্করকে উপনিষদের যে যে শ্লোক আবৃত্তি কবিয়া উপদেশ দিযtছলেন, সেই স ক ল শ্লোকের পুল পর পাঠ করিলে স্পষ্টই বোঝা যায় উপনিষদুকার ঋধিগণ ঞ্জীব ও ব্রহ্মের একত্ব প্রতিপন্ন করিবার জন্য ঐ সকল বাক্য প্রয়োগ করেন নাই। তাহtঃ সমাধিস্থ উীবের সমাধি অবস্থার কথাই উল্লেখ ক বিয়াছেন । শঙ্কর দর্শন সম্বন্ধে দার্শনিকগণের মধ্যে অনৈক্য দৃষ্ট হয় | শঙ্করের মতে অtয় এক এবং তাহার মতকে মাযাবাদ বলা চলে, ইহ নুতন বলিয় ঠেকিল । ভীর তীয় তত্ত্ববিদ্যার ইতিহাসে শঙ্করেব স্থান নির্দেশ করিতে গিয়া লেখক সাস্থ্যকর কপিলমুনির দর্শনকে নিরীশ্বর শাস্ত্র বলিয়ছেন । যে বচনটি উদ্ধত করিয়া এই মত প্রতিপন্ন করা হইয়াছে তাহার পূঃপর অর্থাৎ Context পাঠ করিলে কপিলমুনি “ঈশ্বর সিদ্ধেঃ” এ বাক্যে কি বলিতে চেষ্টা করিয়ছেন তাহ বোধগম্য হুইবে । প্রত্যক্ষ প্রমাণ কাহাকে বলে ইহ! লইয়| আলোচনা