পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ovరి:R আরম্ভ হইয়ছে। সাংখ্য বলিতেছেন “যত সম্বন্ধং সতং তদাকারোলেমি বিজ্ঞানং তৎ প্রত্যক্ষমূ" তারপর প্রশ্ন উঠিল যোগীর ইন্দ্রিয় সম্বন্ধ বিনা অতীত অনাগত বস্তুর প্রত্যক্ষ হয় ; উক্ত লক্ষণ যোগীর প্রত্যক্ষে ঘটিতে পারে না । ইহার উত্তর "যোগীনামূবাহ প্রত্যক্ষত্বান্ন দোষ?” অর্থাৎ যোগীর অতীত অনাগত সমীপস্থ অথচ পুরস্ক বস্তু যোগজসমর্থ দ্বারা প্রত্যক্ষ হয়। ইহাদের ইন্দ্রিয় যোগবল দ্বারা দিব্য শক্তি প্রাপ্ত হয় ; অতএব যোগীর প্রত্যক্ষে কোন দোষ হয় না। প্রশ্ন হইল ঈশ্বরের ত স্কুল ও স্বল্প কোনই ইন্দ্রিয় নাই তবে উক্তরূপ প্রত্যক্ষ ঈশ্বরের হইতে পারে না। ইহার উত্তরে কপিল বলিতেছেন “ঈশ্বরাসিদ্ধে" ঈশ্বরে এ দোষ অসিদ্ধ অর্থাৎ ঘটিতে পারে না ; কেন না জীব বিষয় (object) হইতে দূরে থাকে বলিয়া বিষয় লাভের নিমিত্ত ইন্দ্রিয় আবখ্যক হয় ( জন্য প্রত্যক্ষ ) ! ঈশ্বর সর্বব্যাপী, সৰ্ব্বজ্ঞ। তাহাকে কিছু লাভ করিতে হয় না। প্রত্যক্ষ করিবার জন্য র্তাহার ইন্দ্রিয় আবখ্যক হয় না। সমস্ত পদার্থের মধ্যেও বাহিরে তিনি ওতঃপ্রোতভাবে বর্তমান। অতএব ইন্দ্রিয় না থাকিলেও ঈশ্বরের প্রত্যক্ষে কোন দোষ ঘটতে পারে না সাস্থ্যকার একথাই বলিতেছেন । তৃতীয় অধ্যায়ে ৫৫ সুত্রে প্রশ্ন হইল, অনন্ত শক্তি সম্পন্ন প্রকৃত পরমাত্মার অধীন কি করিয়া হইতে পারে। ৫৬ সুত্রে ঋষি উত্তর দিতেছেন "সহি সৰ্ব্বপিং সৰ্ব্বকৰ্ত্তা" আবার পঞ্চম অধ্যায়ে প্রথম সুত্রে কপিলাচাৰ্য্য বলিলেন “বৈদিক কৰ্ম্মের অনুষ্ঠানের দ্বারা ফলসিদ্ধি হইয় থাকে। ইহার পর প্রশ্ন হইল “বৈদিক কৰ্ম্মের দ্বারাই যদি ফলসিদ্ধি হয় তবে ঈশ্বর থাকিবার প্রয়োজন . কি ?” তদুত্তরে কপিলমুনি বলিলেন “ন ঈশ্বরধিষ্ঠিতে ফল ভারতী পৌষ, ১৩২০ নিপত্তি কৰ্ম্মণাতংসিদ্ধি"। এই প্রশ্নোত্তর হইতে সংখ্যদর্শনকে নিরীশ্বর শাস্ত্র বলিয়া উপেক্ষা করিবার হেতু কি তাহা বুঝিলাম না। মায়া সম্বন্ধেও দ্বিজদাস বাবু শঙ্করের মতামত স্পষ্ট করিয়া বুঝাইতে পারেন নাই। ছোটখাট ভ্রমপ্রমাদ বইখানিতে বিরল নহে। দ্বিতীয় সংস্করণে সেগুলি সংশোধিত হইলে বইখানি অধিকতর সুপাঠ্য ও সুগম্য হইবে । দ্বিজদাস বাবু আজীবন শাস্ত্রলোচনা করিয়া অtfসতেছেন—শঙ্করাচার্য্য তঁ হার আলোচনার প্রধান বিষয়। বহুকাল হইতে ভারতী প্রমুখ অন্তান্ত মাসিক পত্রিকাতে এই বিষয়ে তিনি লিখিতেছেন। এই বৃদ্ধ বয়সে নানা শোক দুঃখের আঘাত পাইয়াও তিনি ইহা হইতে প্রতিনিবৃত্ত হন নাই । অক্লান্ত পরিশ্রমে, কাৰ্য্য করিয়া বহু অধ্যায়ে প্রথমভাগ শেষ করিয়াছেন। এই নিলিপ্ত ভাব পণ্ডিত জনেরই উপযুক্ত। এতদ্বারা তাহার প্রতি স্বতঃই আমাদের মনে গভীর শ্রদ্ধার উদয় হয়। গ্রন্থখানি *il¢ cमझे आकां दन्नभूल श्झ याञ्च । গ্রন্থখানি বঙ্গীয় শিক্ষিত সম্প্রদায়ের আদরের বস্তু,= ইহ পাঠে যে সকলেই অনেক বিষয়ে জ্ঞান লাভ করিবেন তাঁহাতে সন্দেহমাত্র নাই । বস্তুত আমার মত লোকের পক্ষে ইহার সমালোচনা করিতে ষাওয়া ধৃষ্টতামাত্র, তাই আমি করিও নাই। বইখানির যে যে স্থলে আমার মনে প্রশ্নোদয় হইষছে, যে স্থান সুবোধগম্য বা যুক্তিসঙ্গত মনে করিতে পারি নাই তাহারই উল্লেখ করিয়াছি মাত্র। অtশাকরি দ্বিতীয় ভাগে গ্রস্থকার এই বিষয়গুলি বিশদরূপে মীমাংসা করিয়া দিবেন। ঐীনগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যtয় । বাউলের গান হে গুরু, হে স্বামি তুমি এই দীনজনে, শিথালে বাজাতে বীণা অতি সযতনে। সুর বাধিবারে কিন্তু শিক্ষা দাও নাই, সে কষ্ট সে শ্রম নিজে লয়েছ সদাই । আজ তুমি নাহি কাছে, গেছ চলি দূরে ;– ছিন্ন ডোব বীণা তাই বাজিছে বেমুরে। নীরব ধ্রুপদ, টপ্পা, খেয়াল সুতান, একতারে বাজে শুধু বাউলের গান। ঐস্বর্ণকুমারী দেবী ।