পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ¢\y এবং তাঁহাতে শরীরের এমন একটা সহগুণ জন্মায় যে, উক্ত বোগের বীজ অধিক মাত্রায় শরীরে প্রবেশ করিলেও রোগ প্রবলভাবে প্রকাশিত হইতে সমর্থ হয় ন}, এমন কি, অনেক সময়ে রোগের কোন লক্ষণই প্রকাশ পায় না। ক্ষিপ্ত কুকুরে দংশন কবিলে কসেীলি নামক স্থানে যে টীকা দিবাব ব্যবস্থা প্রচলিত আছে, তাহা এই প্রণালীতে সম্পাদিত হইয়া থাকে । পূৰ্ব্বে আমাদের দেশে বসন্ত-নিবারণের জন্ত যে মনুষ্য-বীজের টীকা লওয়া হইত, তাঙ্গতে রোগীর গুটী হইতে রোগের বীজ সংগ্ৰহ করিয়া অতি সূক্ষ্মমাত্রায় সুস্থ ব্যক্তির শরীবে প্রবেশ করান হইত। ইহা দ্বারা তাহার শরীরে অতি মৃদুভাবে বসন্ত বোগ প্রকাশ পাইত এবং তদ্বারা শরীরের মধ্যে এরূপ পরিবর্তন সংঘটিত হইত যে তাহার পুনরায় বসস্ত রোগে আক্রান্ত হইবার সম্ভাবনা থাকিত না । কিন্তু বসন্তেব টীকা লওয়া সম্পূর্ণ নিরাপদ নহে ; এইরূপ টীকা লইয়া অনেক সময়ে সাংঘাতিক বসন্ত রোগ হইতে দেখা গিয়াছে এবং উহা বিস্তৃতভাবে ছড়াইয়া পড়িয়া কতলোকের জীবন নাশের কারণ হইয়াছে। এক্ষণে আমরা বসন্ত-রোগ নিবারণের জন্ত গো-বসন্তের (Cow pox) টীকা লইয় থাকি। মনুষ্যের বসন্ত গরুর শরীরে প্রবেশ করিলে বীজের এরূপ পরিবর্তন সাধিত হয় যে উহা গো জাতির কোন অনিষ্ট সাধন করে না, অথচ গো -দেহ হইতে মনুষ্য শরীরে ঐ বীজ পুনঃপ্রবেশ করাইলে বসন্তের আক্রমণ চুইতে এক প্রকার অব্যাহতি লাভ ভারতী কাৰ্ত্তিক, ১৩২৪ বলিতে পারা যায়। বিখ্যাত ডাক্তার স্তর উইলিয়ম্ জেনার প্রথম এই তত্ত্ব আবিষ্কার করেন এবং তদবধি এই টীকা বসন্ত প্রতিষেধের জন্ত ব্যবহৃত হইয় অসংখ্য লোকের প্রাণ রক্ষার কারণ হইয়াছে এবং পৃথিবীব অনেক স্থান হইতে বসন্ত রোগ একেবারে অদৃশু হইয়া গিয়াছে। গো-বীজের টাকাকে ইংরাজিতে Vaccination কহে । শৈশবে একবার এবং ৭ হইতে ১২ বৎসরের মধ্যে আর একবার গো-বীজের টীকা লইলে বসন্ত রোগের আক্রমণ সম্বন্ধে এক প্রকার নিশ্চিন্ত হইয়া থাকিতে পারা যায়। তবে বসন্তরোগ মহামারী রূপে আবিভূত হইলে অথবা বসন্ত রোগীর সংস্পর্শে আসিবার সস্তাবনা থাকিলে সকলেরই সেই সময়ে একবাব টীকা লওয়া কৰ্ত্তব্য। যিনি বসন্তরোগীর সেবা করিবেন, তিনি যেন চাব নুতন করিয়া লইয়া রোগীর সেবায় প্রবৃত্ত হয়েন, নতুবা ঐ রোগে তিনি আক্রান্ত হইলেও হইতে পারেন। বহুদিনের টীকার উপর এইরূপ অবস্থায় বিশ্বাস করিয়া নিশ্চিন্ত থাকিতে পারা যায় না। বসন্ত রোগের স্তায় প্লেগ, কলেরা, টাইফয়েড় ফিভার প্রভৃতি রোগ নিবারণের জন্তও টীকার বন্দোবস্ত করা হইয়াছে। যদিও এই সকল রোগের টীকার রোগ-নিবারণী শক্তি অধিক দিন স্থায়ী হয় না, তথাপি যাহাদিগকে সৰ্ব্বদ এই সকল রোগের সংস্পর্শে আসিতে হয়, যাহাদিগকে এই সকল রোগীর সেবা করিতে হয়, তাহারা টকা হইলে, বেশী দিন না হউক, অন্ততঃ রোগের প্রাদুর্ভাবের সময় রোগের সংস্পর্শে থাকিয়াও রোগের আক্রমণ হইতে আপনাদিগকে রক্ষা করিতে সমর্থ হইয়া থাকে। সুতরাং তাহদের, পক্ষে টাকা