পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, নবম সংখ্যা “এ লোক নয় সেনাপতি সাহেব এ লোক নয় ।” “কেন ? ও কি একজন বাজিয়ে নাকি ? “সত্যি কথা ব’লতে কি নাল্লি ! কাণায় চোখ পেলে যেমন আহিলাদিত হয় ‘বাজিয়ে” কথাটা শুনে আমার ঠিক তেমনি আহলাদ হ’ল । সঙ্গে সঙ্গে আমি বল্লুম,—“হঁ্যা সাহেব এ খুব একজন ভাল বাজিয়ে—ওদের দলের মধ্যে সেরা !" “সেনাপতি গম্ভীর মুখে বল্লেন,—হু, ও কি বাজায় ?” J{-\sصلى الله عليه وسلم س-g-sاس-8“ বাজায়।" “সেনাপতি পিছনে ফিরে কাকে জিজ্ঞাসা কল্লেন, বাণীবাজিয়ে লোক আমাদের দরকার আছে কি ?” “লোকটা পাচ সেকেও নিরুত্তর রইল— সেই পাঁচ সেকেও আমার কাছে পাচ যুগ ব’লে বোধ হ’তে লাগল ! “সে লোকটা ব’ল্লে—“হ্যা সাহেব, আম|দের বঁাশী বাজনার কাল মবে গেছে।’ “আমার দিকে ফিরে সেনাপতি বল্লেন, —“তবে ওকে সরিয়ে নিয়ে যাও।” “মুহূৰ্ত্ত বিলম্ব না ক’রে আমি তোমায় এখানে নিয়ে এলুম।” রামদীনের কথা শেষ হইল। আমি বলিলাম—ভাই রামদীন তুমিই এ যাত্রায় আমার প্রাণ রক্ষা ক’রেচ ।” “সে কথা এখন থাক— এখন বল দেখি তুমি বঁাশী বাজাতে জান ? “জানি বটে, খুব সামান্ত ! সে কি বঁাশী, বাণী বাণী আজকের কথা ! সেই ছেলে বেলায় একবার একটু শিখেছিলুম। এখন তা আন্ন মনে cनझे द'एल्लझे झग्न !” - “তবে সত্যি কথা বলতে গেলে তুমি বঁাশী বাজাতে মোটেই জান না! হা অদৃষ্ট ! এত ক’রেও তোমায় বাচাতে পারলুম না! যে মুহূর্তে সুলতানের কাণে এ কথা পৌছবে সেই মুহূর্তেই তোমায় গুলি ক’রে মেরে ফেলবে । সঙ্গে সঙ্গে বিশ্বাসঘাতক ব’লে আমার ও প্রাণ যাবে।” ইতিপূৰ্ব্বে আমার হৃদয়ে যে আশার বাতি জলিয়া উঠিয়াছিল রামদীনের কথা শুনিয়া সে ক্ষীণ শিথাও নিভিয়া গেল । বহুক্ষণ নী ববে চিন্তা করিয়া আমি তাহাকে জিজ্ঞাসা করিলাম,—“আচ্ছ, আমার ডাক ক’দিন পরে প’ডুবে ? অান্দাজ ?” “প্রায় এক পক্ষের ভিতর তোমায় ডাক পড়বে।” “এক পক্ষ ? ঠিক জান ?” “হ্যা ঠিক এক পক্ষ পরে। তুমি ত’ মোটেই বাজাতে জাননা আর এ সত্য যুগও নয় যে গাছের কাছে বর নিয়ে তুমি একেবারে হঠাৎ ওস্তাদ হ’য়ে প’ডুবে । কাজেই আমি বেশ দেখতে পাচ্চি আমাদের দু’জনকেই অবিলম্বে মরতে হবে।” আমি বলিলাম,—“না ভাই রামদীন ! আমি চৌদ্দ দিনের মধ্যেই বঁাশীতে ওস্তাদ হয-নিশ্চয়, নিশ্চয়, নিশ্চয় । দেখো তুমি! রামদীন বালকের মত সরল প্রাণে হে হো করিয়া হাসিয়া উঠিল। 鬱 臀 觀 মামুষের মনের জোরের উপর তোমাদের