পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

're tట్ర প্রতিকূল যুক্তির সাহায্যে খণ্ডন করিতেছিল, ততই যেন সেগুলাকে ক্ষুরধারে কাটিয়া এই মৰ্ম্মদাহকারী দুশ্চিন্তা আপনাকে অক্ষয় কবচে অঁাটিয়া তুলিতেছিল। পাষণে প্রাণ সঁপিয়াছিল এমন মুখ সে! এই কল্পনার স্বর্গ। এই কমলা ! হায় সুন্দর ! তোমার অস্তরে বাহিরে কি সকল সময়ই এমনি ভেদ | মনকে বাধিবার কোন সূত্র ছিল নাতথাপি হাল ছাড়িলেও চলে না, অপ্রিয় চিন্তা ত্যাগ করিয়া একখানা সংবাদ পত্র টানিয়া লইয়া চোখ বুলাইয়া যাইতে লাগিল, কিন্তু হায় মনকে কে ফিরাইবে । সে যে দেশের ছোটলাট, বড়লাট এমন কি সমন্ত্রিসভা সসাগর ভারতের একছত্র অধীশ্বরীর কোন সংবাদই আমলে না আনিয়া নিজের কান্নাই কাদিতে চাহে । সহসা-একি ! একি সংবাদ ! সে উঠিয়া দঁাড়াইল, এও একটা ইন্দ্রজাল, না অপর সকল ঘটনারই মত বাস্তব ! বড় বড় অক্ষরে ভিতর দিকে শেষ কলমে একটা বিজ্ঞাপন । রহিয়াছে—“করালীচরণ ! কমলাকে অবিলম্বে ফিরাইয়। জ্ঞানে, যাহা চাহ অঙ্গীকার করিলাম।” নীচে সাঙ্কেতিক অক্ষর যাহ। আছে তাহাতে শিবনারায়ণ গঙ্গোপুাধ্যায় আন্দাজ করা অসঙ্গত হয় না । কাগজখানা ভূমিতে ফেলিয়া শচীকান্ত আনত কাতরভৃষ্টিতে শূন্তে চাহিয়া রহিল, এমন সময় তৃত্য জানাইল, মাঠাকুরাণী ডাকিতেছেন। এখন ! অসময়ে ! কেন ! গিরিজাসুন্দরী গৃহমধ্যে একাই ছিলেন, প্রবেশপথে অধো দৃষ্টিতে দাড়াইয়া ভক্তিনাথ! বজ্রপাতের জন্তু প্রস্তুত হইয়াই সে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করিল। এ সময় একদিন যে নিশ্চিত ভারতী মাধ, ১৩২০ আসিবে ইহা সে জানিত এবং এই সময়টা যত বিলম্বে আগমন করে ততই মঙ্গল, মনে মনে ক্রমাগত এই প্রার্থনা থাকিলেও যতক্ষণ না আসিতেছিল তাহাতেও যেন শাস্তি পাইতে ছিল না । ঝড়ের পূৰ্ব্বে আকাশে বাতাসে নদীতে যে ভাব ব্যক্ত হয় মানুষের মনের মধ্যে যখন ঝড় আসন্ন তখন তাহার বাহিরটাকে ঠিক তেমনি নিৰ্ব্বাতনিষ্কম্প দেখায়। মাসিম কহিলেন “তুমি যাকে বিয়ে করেছ সে মেয়ে চাকদায় থাকত ?” তাহার স্বর স্থির গম্ভীর । অপরাধী কছিল “হঁ্যা” । “সে গাঙ্গুলীদের মনীশের বাগদত্ত ?” “ন, সে বাকৃদন যথার্থ বাক্‌দান নয়, তার বহু পূৰ্ব্বে এর ভাই আমার সঙ্গে বাকৃদত্ত হয়েছিলেন ।” তবে যথার্থই ও মেয়ে রাঢ়শ্রেণীর, তুমি স্বীকার করলে ?” পতনোমুখ অশনি এবার গৰ্জ্জিয়া উঠিল “হতভাগা ছেলে এই করতে তুই আমার কাছে এসেছিলি! সভার মাঝখানে আমার মুখখান একেবারে পুড়িয়ে দিলি ।” আত্মসন্মানে পূর্ণদৃষ্টি জমিদার গৃহিণীর দুই নেত্রে আগুনের হুলক ছুটিয়া গেল । “কত বড় বংশের বংশধর তুই—কি মহাপুরুষের সন্তান একবার ভাবলি নে। এত বড় একটা দাগ মহাপাতক একটা ছেলেখেলার মতন অনায়াসে করে গেলি ! তুই আমাদের শচি ? দুধের ছেলে তুই, তোর মধ্যে এত বড় প্রবঞ্চন একি ভাবতে পারা ধাঁয়!—” রুদ্ধকণ্ঠে সহসা তিনি থামিয়া গেলেন। মাতৃহৃদয়ের নারীইঁদয়ের সমস্ত ৰেনো হতাশ