পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Segb. छांबउँौ মাঘ, ১৩২০ আছেন কিন্তু এত বড় কণগুটাকে তো তাই মনের মধ্যে কি রকমই হইতেছে। গিরিজ তাহাতে এখন বলিয়া চাপিয়া যাওয়া চলে না, সমাজ একেবারে উৎসন্ন হইয়া যাইবে। অবহিত হইয়া যতশাস্ত্র সম্ভব এ কলঙ্কের দাগ ধুইয়া নিৰ্ম্মল হইতে হইবে। বিধান জিজ্ঞাসায় কহিলেন, যা সব চেয়ে সোজা, ঐ কন্যাকে পরিত্যাগ করিয়া শচীকান্ত যথাবিধি প্রায়শ্চিত্ত পূৰ্ব্বক স্বঘরে বিবাহ করুন, সকল গোল মিটিয়া যাক।” গিরিজ একটু নীরব থাকিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন “মেয়েটির দশা কি হইবে ?” “ঐ রাঢ়ীর মেয়ের ! কি হইবে ? বাপের ঘরে গিয়া থাকুক। কোন ভাল কুলীনের ঘরের মেয়ে রাঢ়ী বারেন্দ্রের ঘরে শ্বশুর ঘর করিয়াছে!” মাসিমা ভাবিলেন হায় শচি ! অভাগিনীর জন্মটা খোয়৷ইয়া দিলি, কি করিলি রে । কিন্তু এ ভিন্ন উপায়ই বা কি ? গোপনে উহার খোরপোষের একটা ব্যবস্থা করিয়া দিব, কিন্তু ঘরে লওয়াও তো চলে না, সমাজ তো আগে। " বাসস্তীর মাতামহ এ দলের অগ্রণী, শচীকান্তর উপর ক্রুদ্ধ হইবার তাহার কারণও আছে। মনের মত বর যখন পাওয়৷ যাইতেছে না তখন এই বর্জন কাৰ্য্যটা সমাধা করাইয়া ছাল্লা তলার বন্দীশালায় এই অবাধ্য যুবককে বাধিতে পারিলে নিশ্চিস্ত হওয়া যায়। প্রস্তাব করিলেন এ সকল কার্য্যে বিলম্ব অবিধেয়, প্রত্যুষেই রাঢ়ী কন্যাকে স্বস্থানে প্রত্যাবর্তন করিতে হইবে, শচীকে একবার ডাব ইয়া কথাবার্তা স্থির করা হউক ৷” এ যুক্তিতে সকলেই সায় দিলেন । পাশের ঘরে পশিদ শোনা গেল, শচী ও বেশ করিল, না জানি ঘৃণায় লজ্জার তাহার কবাটেৰ কাছে একটু সরিয়া আসিলেন । বিজ্ঞ বিচারপতিগণ যথেষ্ট ভূমিকা সহ বক্তব্য বিষয়টি প্রকাশ করিলেন, বলিলেন যা কবেছ এমন কেউ কখনও করেনি, কানেও কখনও শোনা যায় না ! কিন্তু গতস্ত শোচনী নাস্তি ; হায় হতোশ্মি করলেও আর যা হয়েছে তার বদল হবে না । এখন এর একমাত্র উপায়—ব্রান্তি মিটিয়ে নেওয়া । ঐ কস্তাটিকে পরিত্যাগপূর্বক রীতিমত প্রায়শ্চিত্ত গ্ৰহণান্তর পুনৰ্ব্বার দ্বার গ্রহণ করিলেই সকল দোষ খণ্ডন হয়ে যায় আর সে ঘটনা যত শীঘ্র ঘটে ততই পাপ কম । আগত ভোরের ট্রেণে হরচন্দ্র ঐ রাঢ়ী কন্যাকে যথাস্থানে রাখিয়া আমুন। পঞ্জিকায় প্রায়শ্চিত্ত ও বিবাহের দিন দেখা যাক্ ! এ পুণ্যাহ মাস শুভদিনের অভাব হবে না, কি হবে ছেলেমানুষ বয়সের গরমে একটা অষ্ঠায় কাজ করে ফেলেছে, তা এক রকম করে শুধরে দেওয়া যাবে । এ ত আর পরের ঘরের কথা নয়— ।” গিরিজ উত্তর শুনিবার জন্ত উৎকণ্ঠ হইয় উঠিয়াছিলেন, শুনিতে পাইলেন – সংক্ষিপ্ত উত্তর “না” । চমকিয়া উঠিয়া তিনি গৃহভিত্তির উপর দেহভার রক্ষা করিলেন । সকলে কহিল, “কি ? না ! ত্যাগ করবে না ?” “না” আবার শচীকাগু কহিল অপরাধে ত্যাগ করব বলে দিন ?” “অপরাধ? প্রথম সে রাঢ়শ্রেণী, দ্বিতীয় অন্তের বাগদত্ত, তৃতীয় উন্মাদগ্ৰস্তা, ইহার প্রত্যেকটিই ত্যাগের প্রস্তুষ্ট কারণ, শাস্ত্র ও আইনু সঙ্গত।” “কি