পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> o $» so v দিতে পারে নাই । বড়ই বাজিয়াছে । মাসিমর স্নেহ তাহার অপরিসীম করুণ মঙ্গল কবচের মতই তাছাকে এতদিন রক্ষণ করিয়াছে। এতখানি সে আর কোথায় পাইত ! সেই মাসিম আজ কাদিয়া বুকে টানিতে চাহিতেছেন, সে বাহপাশ তবু কাটিতেই হইবে। বড় পাষাণের কাজ ! অতি ধীরে কে গৃহে প্রবেশ করিল, শচী দেখিল কল্যাণী ! “দাদ! !” মুহূর্তে সে আসিয়া তাহার কোলে মুখ লুকাইল ”দাদা আমাদের সব মায়া কাটাবে দাদা ?” এবার পাষাণ টলিল, বিন্দু বিন্দু অশ্রুঝরিয়া তাহার মস্তকে পতিত হইল। সহানুভূতিহীন এ সংসারে এই একটি করুণার উৎস কঠোর বিচার দৃষ্টির বাহিরে একটিমাত্র স্নেহশীতল দৃষ্টি । এ যে অপার্থিব ধন ! ছোট বেলা হইতে আজ পর্য্যস্ত কত কথা তাহার ঝটিক|উদ্বেগ বক্ষের মধ্যে উঠিতে পড়িতে লাগিল। “দাদা সত্যি যাবে ?” “কি করি কল্যাণ ! বলে দেনা ?” "দাদা s" “কলি তুইও তো ওই কথা বলবি ? ও ছাড়া আর কোন দণ্ড তোরা দিতে পারিসনে ?” কল্যাণী মুখ তুলিল “ন দাদা ওকথা আমি বলি না, কিন্তু কেন এমন হলো দাদা ! এ কি করলে ?” “আমায় আর বকিসনে কল্যাণী ! আমি। আর বরদস্তি করতে পরিচিনে। সবাই মিলে আর বলিসনে আমি পাপ কংেচি। এর আর একটা দিক হচ্ছে, সমাজের কুপ্রথাচ্ছেদ, সত্যপালন, অনাথার প্রতি’ নিষ্ঠুরতার প্রতিকার । এগুলো কি সত্যই এত खांबउँौ মাঘ, ১৩২০ তুচ্ছ ? আর ষে যা বলে বলুক শুধু তুই বল যে, না, তুমি পাপ করনি, তোমার বাগদত্তা বধু তোমারি ।” (88) আকস্মিক বজ্রাঘাতে বিহবলতা জন্মায়, কিন্তু সেই বিদ্যুদগ্নি যখন লোলরসন বিস্তৃত করিয়া গ্রাস করিতে ছুটিয়া আসে তখন মুহূর্তেই জড়ত্ব ঘুচিয়া যায়। কমলা চুপ করিয়া বসিয়া সবই দেখিল, কানের কাছে যাহা পৌছিল সকল কথাই শুনিল কিন্তু ইহাতে তাহার মধ্যে বড় একটা ভাবান্তর ঘটিল না, সে যেন পাষাণ হইয়া গিয়াছে কোন বিষয়ে ভালমন্দ বিচার শক্তি তাহার কোথায় ? এ বাড়ীতে এই রহস্যময় অভিনয়ের অভিনেত্রীরূপে আজ সে স স্ৰ কৌতুক দৃষ্টি ও শত ব্যঙ্গপূর্ণ রসনার লক্ষ্য! বিদ্রুপ, কুৎসা, অভিশাপ ধারাকারে তাহার মস্তকোদেশে বর্ষিত হইতেছিল, তাহাতে তাহার ক্ষতি দ্ধি কি ? কিন্তু যখন আশপাশের লোকের ঘটনার পরিচয় দান করিতেছিল তখন সহসা সে চমকিয়া উঠিয়াছিল। কি যে ঘটিয়া গিয়াছে এতদিনের পর আজই সে যেন ইহা প্রথম অনুভব করিল । তাহার লুপ্ত স্মৃতি জাগিয়া উঠিয়া বহু পূর্বের কি যেন একটা ঘটনা স্মৃতিপথে টানিয়া আনিতেছিল, আবার ভক্তিনাথের গৃহে, নৈহাটি ষ্টেশনে—সেই অৰ্দ্ধোচারিত তাহারই নাম—এ সবই যেন একটা ধারাবাহিক ঘটনার সামঞ্জস্ত রাখিয়া আসিয়াছে! আর কে এই তাহার জীবনের শনিওহে ! দুষ্ট ধূমকেতু । ’লে নাকি কাশীর সেই সাৰ্ব্বভৌম মহাশয়ের,—তাহার