পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা রাশখানাও তেমনি কবিয়া সেই দিকে ফিরিয়া দাড়ায় ! পরিশ্রমের সকল ক্লাস্তি অপনীত হইয়া হৃদয় যেন একটা উৎসাহের হাওয়ায় তাজী হইয়া উঠে। কোনমতে পথটা কাটাইয়া বাড়ীর যত নিকটবৰ্ত্তী হয় মনটা আবার ততই সঙ্কুচিত হইয়া আসে। প্রতিদিন নিরাশ হইয়াও প্রত্যহ একবার উপরের ঝিলমিলির দিকে চাহিয়া দেখার লোভ সম্বরণ অনিবাৰ্য্য হয়, কিন্তু সেখান হইতে কেবলমাত্র একটা তীব্র ব্যর্থতার লেপা চোখের উপরে জলজলিয়া উঠে, আর কিছুই না। নীচের ঘরে কাপড় ছাড়িয়া একখানা আবাম চৌকির উপর হাত পা মেলিয়া শুইয়া পড়ে। দাইতোকোরে। ૭૦% তার পর ? হায় তাহার বুঝ অfর পর নাই। অজস্র চিন্তা, তীব্র অনুতাপ, আত্মগ্রানি, আরো কত কি তাহা বলিবার নয়। তবুও সেখানে একটা আশা ছিল, একট মুগ্ধ প্রতীক্ষা ছিল। " একদিন যে এই নীরব সহিষ্ণুতা কমলাব বিমুখ চিত্ত তাগর নিকটবৰ্ত্তা করিয়া দিবে এ সম্বন্ধে সে দৃঢ় নিশ্চিন্ত । কিন্তু সেদিন কবে আসিবে ? ওগো কবে ? কত দূরে— কত দূরে সে ভবিষ্যৎ ? জীবনের এ পাবে না ও পাবে ? হে ঈপ্সিত হে প্রার্থিত ! এসো এসো, আবে যে পারা যায় না, দেখা দাও ওগো দেখা দাও ! শ্ৰীঅনুরূপ দেবী। দাইতোকোরে জাপানী ভাষার দাই অর্থ প্রধান এবং তোকোরো অর্থ স্থান। দাইতোকোরো অর্থাং রান্নাঘর । বাস্তবিক রান্নাঘব যে গৃহের প্রধান স্থান তাহাতে আর সন্দেহ কি । রান্নাঘরের ক্রিয়া দুই এ দিন বন্ধ রাখিলেই জগতে প্রলয় উপস্থিত হয়। জাপানীদের আচাৰ্য্য সম্বন্ধে অনেকে অনেক প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেন। অনেকের ধারণ জাপানীরা নিরামিষভোজী। আবার কেহ কেহ নিরামিষ আহার্য্যের শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিপাদনার্থে কখন কখন সংবাদ পত্রে লিথিয়া থাকেন— নিরামিষভোজী জাপানীর প্রবল পরাক্রান্ত রুষকে জলে স্থলে পরাভূত করিয়াছে। পাঠকগণের অবগতির জন্ত আজি উহাদের রান্নাঘব ও আহার্য্য সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ আলোচনা করিব। জাপানীগণের সুদৃঢ় গঠন এবং পোষাক পরিচ্ছদের বাহ্যিক আড়ম্বর দেখিলে মনে হয়, না জানি উহার ক্ষীব সব নবনী কত কি খায়, কিন্তু রান্নাঘর এবং আহার্য্য দেখিলে মনে চয় কি করিয়া উহাবা এত হৃষ্টপুষ্ট । ইতর, ভদ্র, ধনী, দরিদ্র সকলেরই রান্নাঘরে একইপ্রকারের আসবাব, বাসনপাত্র । ঢালাই লোহার একটি চুল একটি মাটির ক্ষুদ্র চুলা ( শিচিরিণ ), এবং ভাত রাধিবার পাত্র, এবং দুই একটা কাঠের বালতি ইহা ছাড়া রান্নাঘরের মেজের উপর অন্ত কোন আসবাব দেখিতে পাওয়৷