পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

סו* 0 ל অনেকেই দুঃখ প্রকাশ করিয়া থাকে যে উহাদের দেশে জীব জন্তুর সংখ্যা কম । জাপানীদের প্রধান ভোজন তিনবার । সাধারণ জাপানীর বারই ভাত খাইয়া থাকে । আর নব্য ধরণের জাপানী মধ্যাক্লে পাউরুটি খাওয়া পছন্দ করে । প্রতিদিন নিয়মিত সময়ে উহার আহার কবে । প্রাতে ছয়টা বা সাড়ে ছয়টায় দুপুরে বাবটা বা সাড়ে বাবটায় এবং সন্ধ্যায় ছয়টা সাড়ে ছয়টায় আহাব করে। এতদ্ব্যতীত মাঝে মাঝে চা পিষ্টক প্রভৃতি থায় । দুখান কাষ্ঠফলকের সাহায্যে আহার করিলেও আমাদের চেয়ে অল্প সময়ে অধিক অন্ন ইহারা উদরসাৎ করিয়া ফেলে । উহার বড় মিষ্টান্নভক্ত। বিলাতী ধবণের কেক ছাড়া চিনি এবং চাল ডাল চুৰ্ণ দ্বারা জাপানে দিনে এই তিন ভারতী মাঘ, ১৩২০ একরূপ পিষ্টক প্রস্তুত হয় উহা সাধারণ সকলেই খায়। জাপানে ফল প্রচুর জন্মে । এবং সকলেই ফল খাইতে বড় ভাল বাসে । অন্ত দেশের লোকের সহিত তুলনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় উহার এক সময়ে এক রকম জিনিস যথেষ্ট পরিমাণে খায় । ফল খাইতে বসিলে হয় তো ছোট খাট এক ডাল ফলই এক নিঃশেষ করিয়া ফেলিবে আবার মিঠাই খাইতে বসিয়া এক কঁাড়ি মেঠাই খাইয়া ফেলিবে । জাপানীবা যেরূপ খাদ্যই গ্রহণ করুক আর যে পরিমাণেই গ্রহণ করুক উহাতে কোন অসুখ হইতে দেখি নাই। উহাতে স্বাস্থ্য দেখিয়া আমরা ঈর্ষা না করিয়া পরিতাম না । শ্ৰীযদুনাথ সরকার আমার বোম্বাই প্রবাস ( ১ 8 ) তুকারাম ও রামদাস তুকারাম ও রামদাস শিবাজী বাজার সমকালবৰ্ত্তী দুই মঙ্গপুরুষ। তাহারা মহারাষ্ট্রেব সাধু ও ভগবদ্ভক্ত বলিয়া সৰ্ব্বত্র পূজিত। তাগং সেই সময়কার লোক, যে সময়ে মারাঠা জনপদ অনেককাল মুসলমান আধিপত্যে অবসন্ন থাকিয়া স্বাধীনতা প্রত্যাহরণের জন্ত সহসা উত্তেজিত হইয়া উঠে ও যবন অধিকারের ভিতরে এরূপ রাজ্য প্রতিষ্ঠা কবে যাহাতে শতাব্দীর মধ্যে মোগল সিংহাসন সমুলে কম্পমান হুইয়া ভগ্নদশা প্রাপ্ত হয় । যে দুইশত বৎসর মারাঠীগণ স্বাধীন রাজ্য উপভোগ করিয়াছিল, তাহার প্রারম্ভকালের জাতীয় ধৰ্ম্মভাব এই দুই সাধুর জীবনে প্রতিফলিত দেখা যায় । বামদাস শিবাজীর গুরু ছিলেন, তাহার উপদেশ না লইয়। মহারাজ কোন মহৎ বীৰ্য্যে প্রবৃত্ত হইতেন না । তুকারামের সাধু জীবনীও শিবাজীর জীবনে সবিশেষ কাৰ্য্যকরী হইয়াছিল। তুকারামের পবিত্র চরিত্র ও অলোক