পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> * @ 8 শেষে এমন হইল সাতারার রাজা সাতারায় বন্দী, পেশওয়াই সৰ্ব্বময় কৰ্ত্ত । নুতন পেশওয়ার অভিষেক কালে অভিষেক বসন মহারাজের নিকট হইতে আনান হইত এই য রাজমর্য্যাদার অবশিষ্ট রহিল । ১৭১৮ সালে বাগাজী পেশওয়া সইয়দ ভ্রাতৃদ্বয়ের পোষকৃতায় সসৈন্য দিল্লী যাত্রা করেন। তার বৎসর দুই পরে দাক্ষিণাত্য রাজস্বের চেীথ আদায়ের বাদসাহী পরওয়ান লাভ কবেন, র্তাহার প্রযত্নে পুণা ও সাতারার অধীনস্থ প্রদেশ সমূহে মহারাষ্ট্র রাজপতাকা বিধিমত বদ্ধমূল হইল । বাজিরাও ১৭২১ বালাজীর পুত্র বাজিরাও দ্বিতীয় পেশওয়া । ইনি একজন অসাধারণ ধীশক্তিসম্পন্ন তেজস্বী পুরুষ ছিলেন। যোগ্য পিতার যোগ্যতর সন্তান । হাইদ্রাবাদে নিজাম রাজ্য সংস্থাপক নিজাম আলি ই হার - প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন-ই হার সহিত শেষ পর্য্যন্ত বাজিরাও এর দ্বন্দযুদ্ধ চলিয়াছিল। কিন্তু পেশওরার প্রধান লক্ষ্য ছিল উত্তর হিন্দুস্থান । মোগল রাজ্যের ভষ্ম স্তুপের মধ্যে মহারাষ্ট্র জয়ন্তম্ভ নিখাত করাই তাহার আন্তরিক বাসনা। একদা তিনি মন্ত্রীসভায় সাহু রাজাকে বলেন "এই আমাদের সময় । ভারতভূমি হইতে বিদেশীদিগকে বহিস্কৃত করিয়া অক্ষয় কীৰ্ত্তি উপার্জনের এই অবসর । শুষ্ক তরুমূলে কুঠারাঘাত কর, শাখা সকল আপন হইতেই পড়িয়া যাইবে ।” তাহার উৎসাহ বাক্যে সাহুর চিত্ত পিতামহোচিত জলন্ত উৎসাহে ক্ষণকালের নিমিত্ত উত্তেজিত হইল। তিনি ভারতী মাঘ, ১৩২০ উত্তর করিলেন, “পিতার তুমি যোগ্য পুত্র, তুমিই স্বহস্তে মহারাষ্ট্র জয়ধ্বজ হিমালয় বক্ষে নিখাত করিবে । বাজিরাওয়ের বলবীর্য্যে মাবাঠ রাজ্য বিপুল বিস্তার লাভ করিল। ১৫ বৎসবের মধ্যে তিনি বাদসাহী মুলুক হইতে মালব ছিনিয়া লন ও বিষ্ক্যাচলের উত্তর পশ্চিম নৰ্ম্মদ হইতে চম্বল পৰ্য্যন্ত রাজ্য বিস্তার করেন । ১৭০৯ সালে পোর্তুগীসদের নিকট হইতে বালীন অধিকার করেন । এই সকল দেখিয়া মহারাষ্ট্র রাজ্যের উপর ইংরাজদের কটাক্ষ পড়ে । বাসীন বিজয়ানস্তর ইংরাজের সাহু রাজার নিকট দূত প্রেরণ করেন। দূতের প্রতি উপদেশ এই “রাজসভায় বাজিরাওয়েয় শক্র অাছে কি না সন্ধান নিবে । তাহাব বিরুদ্ধে শক্রদলের ঈর্ষ। জালাইয়া দিবার সুযোগ পাইলে আমন সুবিধা যেন ছাড়া না হয়, কিন্তু সাবধান, দেখিবে তিনি যেন আমাদের শক্র হইয়া না দাড়ন ।” সে যাহা হউক, দৌত্য সফল হইল। ১৭৩৯ সালে পেশওয়ার সহিত সন্ধিবন্ধনে মহারাষ্ট্রে ইংরাজ বাণিজ্য প্রমুক্ত হইল । এই সন্ধির এক বৎসর পরে বাজিরাওয়ের মৃত্যু । বাজিরাও রূপবান, বীৰ্য্যবান, অমায়িক, সরলান্তঃকরণ ছিলেন । যুদ্ধযাত্রা কালে তিনি বীরোচিত কঠোর ব্রত পালন পূৰ্ব্বক আড়ম্বর-শূন্ত সহজ ভাবে চলিতেন । র্তাহার চরিত্র সম্বন্ধে একটা গল্প আছে । র্তাহার সহিত নিজাম-উল-মুলকের প্রথম যুদ্ধারম্ভে নিজাম একজন সুবিখ্যাত চিত্রকরকে ডাকাইয়া আদেশ কবেন, “বাজিরাওকে গিয়াই যে ভাবে দেখিবে সেই ভাবে তাহার ছবি তুলিয়া আনিবে।” চিত্রকর