পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

و 4 ه لا অন্তান্ত প্রতিদ্বন্দ্বী য়ুৰোপীয়জাতির মধ্যে ইংরাজদের প্রভুত্ব বলবত্তর হইয়া উঠিল । নানা সাহেবের শেষদশী শোচনীয় । তিনি পাণিপতের যুদ্ধে স্বজাতির অধঃপাত স্বচক্ষে দর্শন করিয়া হতাশ হুইয়! ফিবিয়া আসিলেন —ভারতবর্ষে স্বাধীন হিন্দুরাজ্য পুনঃস্থাপনের আশায় জলাঞ্জলি দিতে হইল। ইহার পর নানা সাহেব আর অধিক দিন জীবিত থাকেন নাই। এই মৰ্ম্মান্তিক আঘাতে র্তাহার বুদ্ধিশুদ্ধি লোপ পাইল । তিনি আস্তে আস্তে পুণায় ফিরিয়া শয্যাশায়ী হইয়া পড়িলেন এবং কয়েক মাসের মধ্যেই পাৰ্ব্বতী মন্দিরে দেহত্যাগ করিতে ন । চতুর্থ পেশওয়া বড় মাধবরাও ১৭৬১–৭২ নানার জ্যেষ্ঠ পুত্র পাণিপতের যুদ্ধে মারা পড়েন ; তাহার দ্বিতীয় পুত্র মাধবরাও পেশওয়ার পদে অধিরূঢ় হইলেন। তখন র্তাহার বয়ঃক্রম ১৭ বৎসর। র্তাহার পিতৃব্য রাখোব পেশওয়াকে হাতে রাখিয়া স্বয়ং কৰ্ত্ত হইবার প্রয়াসী ছিলেন কিন্তু তাহাতে কৃতকাৰ্য্য হইতে পারেন নাই। মাধবরাও স্বহস্তে রাজ্যভার গ্রহণ পূর্বক , অসামান্ত চাতুর্য্যের সহিত রাজকাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহ করিতে লাগিলেন। মারাঠীদের দিন দিন ঐসমৃদ্ধি দর্শনে ইংরাজের সশঙ্কিত কিন্তু এই সময়ে র্তাহার হাইদর আলির উপদ্রব নিবারণে সমুৎসুক। হাইদর দমনে মারাঠীদের সহিত সদ্ভাব বন্ধন প্রয়োজন সুতরাং তাহদের মনোভাব যাহাই হউক সদ্ভাবব্যঞ্জক দৌত্য পঠাইয় পেশওয়াকে কোন মতে থামাইয়৷ ভারতী মাঘ, ১৩২০ রাখিলেন । যাহাতে হাইদরের বলপুষ্টি নিবারিত হয় সেই তাহদের প্রথম চেষ্টা । ইংরাজ দৌত্যের পাঁচ বৎসর পরে মাধবরাও লোকান্তর গমন কবেন। তিনি সস্তান সন্ততি রাখিয়া যান নাই। র্তাহার স্ত্রী রমাবাই অত্যন্ত পতিব্ৰতা ছিলেন, মূতপতির অমুমৃত হইয়া চিতানলে দেহত্যাগ করেন । মাধববাও পেশওয়া দ্যায়পরায়ণ শাসনকর্তা বলিয়া প্রখ্যাত ; বলবনের বিরুদ্ধে দুৰ্ব্বলের, ধনীর বিরুদ্ধে দরিদ্রের সহায় ছিলেন । এই হ্যায়ী সাহসী প্রজবল্লভ দৃঢ়মতি নৃপতি বিয়োগে রাজ্যের যত হানি হয়, পাণিপতের যুদ্ধেও তেমন হইয়াছিল কিনা সন্দেহ । নারায়ণরাও হত্যা পঞ্চম পেশওয়া নারায়ণরাও, মাধবরাও এর কনিষ্ঠ ভ্রাতা,—অষ্টাদশ বর্ষ বয়সে সিংহাসনে আরোহণ করেন। রাঘেণবা কাকা তাহার অভিভাবক। মাধবরাও মৃত্যুকালে অনেক বলিয়া কহিয়া ভাইটিকে রাঘোবার হস্তে সঁপিয়া যান। কতককাল খুড়া ভাইপোল্প মধ্যে মৌখিক সদ্ভাব বজায় ছিল কিন্তু নারায়ণরাওয়ের মাতা গোপিকাবাই ও রঘোবার পত্নী আনন্দীবাই এই দুজনে বনিবনাও ছিল না । মন্ত্রীবর্গের সঙ্গেও রাঘোবার মনান্তর ; এই সকল কারণে তিনি প্রাসাদে বন্দীকৃত হইয়া রছিলেন। তদবধি তিনি ভ্রাতু-পুত্রের অনিষ্ট সাধনের উপায় দেখিতে লাগিলেন। সেনাদের ঘুম দিয়া বশ করা তাহার প্রথম চেষ্টা। হঠাৎ একদিন গোল উঠিল পেশওয়ার সৈন্যদল ক্ষেপিয়া উঠিয়াছে। নারায়ণরাও তুখন প্রাসাদে নিদ্রিত ছিলেন।