পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা পৌছলে গৃহস্বামী তাকে নিজের সম্পত্তি জ্ঞান করেন । হিনেমোয়া মহা মুস্কিলে পড়লেন । আর ত বঁাশীর স্বর শোনা যাচ্ছে না, কার বাড়ী যাবেন কার দখলে পড়বেন, তিনি ভাবনায় আকুল হয়ে উঠলেন। এদিকে টুটেনিকাই বাঁশী বাজিয়ে ক্লান্ত হয়ে টিকিকে জল আনতে বললেন । টিকি যেখানে হিনেমোয়া গরম জলের মধ্যে বসে অjছেন তাব পাশে শীতল প্রস্রবণের নিকট গেল। মানুষের পদ শব্দ শুনে হিনেমোয় পরুষ স্বরে বললেন “তুই কে, কে তোকে এখানে পাঠিয়েছে।” বেচাব৷ টিকি যথাযথ পরিচয় দিল । কিন্তু হিনেমেীয়া ত টিকিকে চিনতেন না । তার সন্দেহ হ’ল পাছে র্তাকে কেউ প্রতারণা কবে । তিনি মতলব খাটিয়ে টিকির কাছ থেকে জলপূর্ণ পত্রিট চেয়ে নিয়ে পানশেষে আছাড় দিয়ে ভেঙ্গে ফেললেন। ভূত্যেব মুখে এই বৃত্তান্ত শুনে টুটেনিকাই অত্যন্ত ক্রদ্ধ হয়ে অপমানের প্রিয়দশিক ծ օԵ:ծ প্রতিশোধ নেবার জন্ত যে কুণ্ডে হিনেমেীয়া লুক্কায়িত আছেন তার কাছে এসে আততায়ীর নাম জিজ্ঞাসা করলেন । “সে আমি” এই উত্তর দিয়ে হিনেমেীয়া জল থেকে তীরে এসে দাড়ালেন । “তুমি হিনেমোয়া” আনন্দে ও বিস্ময়ে এই কথা বলে রাজপুত্র তাকে আলিঙ্গনপাশে আবদ্ধ করলেন । রাজপুত্রের পালকের গাত্রাবরণে সুন্দরী প্রণয়িনীর শীত নিবারিত 6इ{६] । তারপর তার রাজবাড়ীতে চলে গেলেন । কিছুদিন পরে মহাসমারোহে উভয়ের বিবাহ হয়ে গেল । যেখানে হিনেমোয়া শীতল জল থেকে হঠাৎ গরম জলে গিয়ে পড়েছিলেন, বটোরুয়া হ্রদের সেই অংশটাকে হিনেমোয়া কুণ্ড বলে । সে স্থানের জল অত্যন্ত উপকারী ; দেশ দেশান্তর হতে অনেক লোক মানের জন্ত বৎসর বৎসর বটেরিয়ায় আসে । শ্রীনন্দলাল সাও প্রিয়দশিক ১ । প্রিয়দর্শিক রত্নাবলীরই দ্যায় একটি নাটিকার নায়িকা। প্রিয়দশিকার পিত দৃঢ়বন্ধ, কলিঙ্গরাজের সনিৰ্ব্বন্ধ প্রার্থনাসত্ত্বেও বৎসরাজের সহিত প্রিয়দশিকার বিবাহ দিলেন । কলিঙ্গরাজ, বৎসরাজের একটা ক্ষণিক পরাভবে সুযোগ পাইয়া দৃঢ়বশ্নের উপর প্রতিশোধ লইলেন ; দৃঢ়বৰ্ম্মের সহিত যুদ্ধ করিয়া, তাহাকে স্বীয় রাজ্য হইতে বহিস্কৃত করিলেন । প্রিয়দর্শিকার পিতৃমিত্র রাজা বিন্ধ্যকেতু প্রিয়দশিকাকে হস্তগত করিলেন। ইহাতে বৎসরাজ ক্রুদ্ধ হইয়া বিষ্যকেতুকে শাস্তি দিবার জন্ত স্বীয় সেনাপতি বিজয়সেনকে আদেশ করিলেন। এই যুদ্ধের অবসানে এই নাটিকার কার্য্যারম্ভ। বিজয় সেন, বিন্ধকেতুর পরাভব ও মৃত্যুর সংবাদ স্বীয় প্রভুকে জ্ঞাপন করিলেন ; বিন্ধকেতুর প্রাসাদে একটি রোরুদ্যমান। নবযুবতীকে পাওয়া যায় ; মনে হইল তিনিই বিজিত