পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

's eసిశి আছে । বিশেষত একটি গুণে ইহা সকলের চিত্তরঞ্জন করে । ভাবার্থের সরলতা ও ভাব প্রকাশের সরলতা; ভাষা বেশ বিশদ, পরিপাটী ভারতী মৃtঘ, ১৩২০ ও বিশুদ্ধ ; কল্পনার রূপগুলি নুতন না হইলেও, বেশ সত্যানুযায়ী ও মুকুমার। ( ক্রমশ: ) শ্ৰীজ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর । সৌধ-রহস্য সেই সংক্ষুব্ধ সাগর বক্ষে একটা উজ্জ্বল আলোক জ্বলিয়া উঠিল, সেটা জাহাজেরষ্ট একটা সাঙ্কেতিক আলোক । আমরা দেখিলাম সৰ্ব্বনাশ ! চোরা পাহাড় হানশেল শৃঙ্গের উপর জাহাজ খান ক'ত হইয়া পড়িয়া আছে। দেখিবা মাত্রই চিনিলাম এ-সেই—জাহাজ, যেখানকে আমি বৈকালে দেখিয়া গিয়াছি, যে তাহার সমস্ত পাল তুলিয়া দিয়া সমস্ত হালের শক্তিতেও,—আপনার গুরুভার দেহ স্রোতের প্রতিকুলে টানিয় আনিতে পারিতেছিল না । সাঙ্কেতিক আলোকের সাহায্যে জাহাজ থানার পশ্চাতে ইউনিয়ান জ্যাকের পতাকা চিকু দেখিয়া এখান যে কাহীদের জাহাজ তাহাও বুঝিতে পারিলাম। কম্পিত আলোকের মধ্য দিয়া আমরা এ জাহাজ খানার প্রত্যেক মাস্তুল, কাছি সমস্তই স্পষ্ট দেখিতে পাইতেছিলাম । প্রকাও প্রকাণ্ড ঢেউগুলা ফেনপুঞ্জের কিরীট ধারণ করিয়া যেন পাতাল পুরী হইতে রুদ্ধ দৈত্যদলের দ্যায় স্বষ্টি সংহারোদেশে অক্লান্ত অশ্রান্ত তেজে ছুটিয়া আসিতেছিল। আলোট যখন তাহীদের উপর পতিত হইতেছিল তখন মনে হইতেছিল—সেই হতভাগ্য দারুময় জাহাজখান, তাহদের সেদিনকার বুভুক্ষু উপরের একমাত্র শীকার । জাহাজের গাত্রে পৰ্ব্বতের মত সফেন তরঙ্গাঘাত— তাহদের যেন গগনপুরিত ভৈরব নৃত্য! জাহাজের মাস্তুল ধরিয়া প্রায় জন দশ বাবে নাবিক বাহুড়ের মত ঝুলতেছিল । তাহাদের মুখ কি ভয়ানক বিবর্ণ,—নৈরাশু কাতর ! তাহারা যখন আমাদের আগমন বুঝিতে পারিল তখন সাহয্যের আশায় এমম সকরুণ প্রার্থন জানাইতে লাগিল যে, তাহ অবর্ণনীয় ! আহা ! হতভাগ্য বেচারার আমাদের আগমনে যেন কোন অভিনব তাশার বাণী শুনিতে পাইল । তাহীদের জাহাজের ছোট বোটখান তরঙ্গে ভাসাইপ্পা লইয়া গিয়াছে,—মৃত্যুর জন্ত প্রতীক্ষা করা ছাড়া -- আর গত্যন্তর নাই,—কি ভয়ানক সেই মৃত্যু চিস্ত ! মাস্তুলের উপর যাহারা বাদুড়ের মত বুলিেেতছিল,—তাহারা ছাড়া, ভাগ্যস্থত্রে জড়িত অপর আরোহীও জাহাজে ছিল । সে অবস্থাতেও আমরা বিক্ষিত দৃষ্টিতে চাহিয়া দেখিলাম, জাহাজের পশ্চাতের ডেকের উপর দাড়াইয়া রেলীংএ ভর রাখিয়া ষে তিনটি যাত্রী পরস্পরের সহিত কথোপকথন করিতেছিল—তাহারা যেন ভিন্ন জগতের জীব । পরিচ্ছদেও তাঁহাদের ভিন্নজাতিত্বের ও ভিন্ন প্রকৃতির পরিচয় পাওয়া যাইতেছিল। তাহদের মুখে চোখে শান্ত ঔদাসিষ্ঠের ভৰি