পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

' eఫె8 ভারতী ভগবানকে শত সহস্র ধন্যবাদ ! আমরা নিরাপদে জাহাজের পাল তুলিবার দণ্ডটার নীচে পৌঁছিয়া মরণাপন্ন ভয়াতুর প্রত্যেক আরোধীকে আপনাদের জেলে বোটে উঠাইয়া লইতে পারিলাম । ফিরিবার মুখে যখন আমরা অৰ্দ্ধপথ অতিক্রম করিয়াছি দেখিতে পাইলাম আবার একট। প্রকাগু ঢেউ আসিয়া জাহাজের ভগ্নঅংশে আঘাত করিল। সিগনাল লাইট্রট নিবিয়া গেল—অস্পষ্ট নক্ষত্রালোকে সমুদ্র বক্ষ ঝাপা দেখাইতেছিল, সস্কুচিত দৃষ্টি প্রসারিত করিয়া চাহিয়া দেখিলাম—কিছু নাই,—জাহাজের চিহ্ন মাত্র নাই—প্রকৃতিৰ সেই ধ্বংস দৃষ্ঠের উপর একখানা গাঢ়কৃষ্ণ বর্ণের যবনিকা নিক্ষিপ্ত হইয়া গিয়াছে মাত্র । আমরা নিরাপদে তীরে উঠিলাম ;– আমাদের তীরস্থিত বন্ধুরা আমাদের প্রশংসা করিতে করিতে আমাদের বিপন্ন সঙ্গীদের সহিত আমাদের অভ্যর্থনা করিয়া লইলেন । জাহাজের আরোহীর সংখ্যা মোট তেরটি, তাহারা ভয়ে নিতান্ত অভিভূত হইয়া পড়িয়াছিল ; কিন্তু কপ্তেন মেডোজ ভিন্ন প্রকৃতির লোক । তিনি যেমন বলিষ্ঠ—তেমনি সাহসী ! ঘটনাটিকে তিনি যেন তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখিতেছিলেন। আশ্রয়হীন লোকগুলির মধ্যে দুই চারিজনকে এখানে ওখানে স্থান করিয়া দিয়া, অবশিষ্ট কয়েকজনকে লইয়া আমরা বাটী ফিরিয়া আসিলাম। প্রথমেই শুষ্ক বস্ত্ৰ দিয়া তাছাদের শীত নিবারণ করিয়া, রন্ধন গৃহের অগ্নিকুণ্ডের নিকটে তাহদের আনিয়া কিছু মদ্য ও মাংস দিয়া সুস্থ করিলাম। মাঘ, ১৩২০ কাপ্তেন মেডোজ তাঙ্গর স্থূলদেহ আমার পরিচ্ছদে টানিয়া বুনিয়া যথাসাধ্য আবরিত করিয়া আমাদের বসিবার ঘরে বাবার খুব নিকটে একখান চেয়ার টানিয়া লইয়া উপবেশন করিলেন । আমার দিকে চাহিয়া একটুখানি কৃতজ্ঞতাপুর্ণ হাসি হাসিয়া কহিলেন “মিঃ ওয়েষ্ট, আপনি আর আপনার ঐ সাহসী সঙ্গীগুলির সাহায্য না পেলে আমরা এতক্ষণ চল্লিশ হাত জলের নীচে ঘুমিয়ে থাকৃতেম। বেলিওরের কথা যদি বলেন ?—বেচার জীর্ণ পুরোণ তক্ত মাত্ৰ—ওর জন্তে ওর সত্বাধিকারী বা আমাদের কারুই অস্তঃকরণে আঘাত লাগেনি, জাহাজ খান ভাল রকম ইনসিওর করাও ছিল । আর কতকদিন বাদে জালানি কাঠ ছাড়া ওখান আর কোনই উপকারে আসত না ।” বাবা করুণার্ড ব্যথিত স্বরে কহিলেন, “কিন্তু কাপ্তেন তোমার সেই তিনটী বিদেশী সহযাত্রীকে আমরা হয়ত- হয়ত কেন নিশ্চয়ই আর কখনও দেখতে পাবনা ? সমুদ্রের ধারে ধারে লোক রেখেচি যদি তাদের কোন খোজ পায় । কিন্তু সে বৃথা আশ, আমি তাদের ভাঙ্গ মাস্তুলের সঙ্গে জলের নীচে তলিয়ে যেতে নিজের চোখে দেখেচি, ভগবান যদি াত ধরে তাদের তীরে তুলে দেন এ ছাড়া ত বঁচিবার তাদের কোন আশাই নেই। নাং, বাচতে র্তারা কিছুতেই পারেন না ।” কাপ্তেনের দিকে চাহিয়া আমি জিজ্ঞাসা করিলাম “র্তার কে ? কোন মানুষ যে নিশ্চিত মৃত্যুর সাম্নে এমন অবিচল