পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্য, দশম সংখ্যা নিৰ্ব্বিকার ভাবে দাড়িয়ে থাকৃতে পারে,— এর পুৰ্ব্বে আমার সে জ্ঞানই ছিল না ?” ধূমপান করিতে করিতে চিন্তিত মুখে কাপ্তেন কহিলেন “র্তারা কে ? বা র্তার। কি ? এ প্রশ্নের উত্তর দেওয়া খুব সহজ নয় । আমরা ভারতবর্ষের উত্তর করাচি থেকে শেষ জাহাজ ছাড়ি,—আর তার গ্লাসগোর যাত্রী বগায় তাদের তুলে নেই। র্তাদের মধ্যে ছোটটির নাম শনৎসুন । আমি এব সঙ্গেই একটু আধটু আলাপ সালাপ করেছিলুম। সবার সঙ্গে আলাপ না হলেও আমি তাদের নিবীহ শাস্ত প্রকৃতি ভদ্রলোক বলেই মনে করেছিলেম। তারা কি কাজ কৰ্ত্তেন —? না, সেকথা আমি তাদের কিছু জিজ্ঞেস করিনি, কিন্তু আমি আন্দাজ কবেছিলেম যে তার পাশা ব্যবসাদার । ভারতবর্ষে এত রকম জাত বাস করে যে ওদের কে যে কি তা বোঝাই দায় । ব্যবসায়ের-জন্তই হায়দ্রাবাদ থেকে আসছিলেন অবশু । এটা আমি আমার নিজের অনুমানের কথা বলচি । আমি ত ভেবেই পেতেম না—যে এই নিরীহ নম্র-প্রকৃতির যাত্রী তিনটীকে,—আমাদের জাহাজ শুদ্ধ লোক এমন কি জাহাজের মেটু পর্য্যন্ত, এত ভয় করত কেন ? তার কিন্তু এব চেয়ে একটু উন্নত জ্ঞান থাকা উচিত ছিল ?” আমি আশ্চৰ্য্য হইয়া কহিলাম “ভয় করত ? তাদের ভয় করত ?” “হা, সবারই তাদের উপর কেমন একটা সংশয়ের ভাব ছিল । আমি নিশ্চয় বলতে পারি,—আপনি যদি এখন রান্নাঘরে যান শুনতে পাবেন সেখানে এই কথারই সৌধ-রহস্ত ) లీ ఫిd আলোচনা চলচে ! এই যে অতর্কিত বিপদটা ঘটে গেল –এর জন্তে দেখবেন যে সেই বেচার ভালমানুষ যাত্রী তিনটিকে সৰ্ব্ববাদী লিচারে অপরাধী হতে হয়েচে ?” কপ্তেনের কথা শেষ হইবামাত্র একজন দীর্ঘাকার লাল দাড়ীওয়াল ব্যক্তি ধীরে ধীরে দরজা খুলিয়া কক্ষ মধ্যে প্রবেশ কৱিলেন। ইনি কাপ্তেনের সহকারী, আমাদের কোন দয়ালু প্রতিবাসীর নিকট । একসেট পোষাক অণর চৰ্ব্বি-লাগান এক জোড়া চকুচকে জুতা উপহার পাইয়াছিলেন । আমাদের আতিথ্যের ছোট রকম একটু প্রশংসা করিয়া তিনি অগ্নিকুণ্ডের নিকটে চেয়ার টানিয়া উপবেশন করিলেন, তার পর বড় বড় খসখসে হাত দুখান আগুনের তাপে গরম করিয়া লইতে লইতে তাহার উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচাবীর প্রতি চাহিয়া কহিলেন, “কি বলেন–কাপ্তেন মেডোজ এখন কেমন মনে হচ্ছে ? বেলিণ্ডারে ঐ হতভাগাগুলোকে তুল্লে যে কি ফল হবে, আমি তা আপনাকে অনেক আগেই গুণে বলিনি কি ? কাপ্তেন মেডোজ তাহার স্থলবাহুর ভর চেয়ারের হাতের উপর রাখিয়া চক্ষু মুদ্রিত করিয়া হো হো শব্দে প্রাণ খুলিয়া খুব এক চোট হাসিয়া লইলেন । হাসি থামিলে, সম্মিত অর্থযুক্ত কটাক্ষে আমার মুখের দিকে চাহিয়৷ বলিলেন “দেখুন ; আমিও কি এই কথাই বলিনি,–গুণ তে শুধু উনিই জানেন তা নয়— আমিও কিছু কিছু শিখেছি ?” কথার সঙ্গে সঙ্গেই আবার সেই হো হো হাসি আরম্ভ হইল । সহকারী তাহার মদ্যপানে আরক্ত মুখখানার বিরক্তি ভাব গোপন না করিয়াই