পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*?१३ রঙ্গের রেশমী মালথাল্লা, মাথায় একটা গেরুয় রঙ্গেৱ মুৰ্বহৎ পাগড়ী, পায়ে শিং-উণ্টান স্বভূত দর্শনের পশ্চিম দেশীয় নাগর নামধারী এক প্রকার জুতা। তাহার অত্যন্ত নিকটমূৰ্ত্তী হুইয়া আমি মনোযোগের সহিত লক্ষ্য কুরিয়াছিলাম যে, গত রাত্রির জলে ভেজার কোন চিত্বই তাহার পোষাকে ছিলনা, একটি কুষ্ঠিত রেখা, এতটুকু বর্ণহীনতা, জলের দাগ किहूद्दे न । সুমিষ্ট সহস্তে স্বরে মেডোজ, ও তাহার সহকারীর দিকে চাহিয়া সন্ন্যাসী কহিলেন, “কালকের চুবন থেয়েও তাহলে আপনাদের বিশেষ কষ্ট হয়নি দেখ চি, আপনার অনুগত গরীব থালাসীরা, তারা সব থাকৃবার ভাল জায়গা পেয়েচে ত?” কাপ্তেন বলিলেন “আমরা সকলেই নিরাপদে আশ্রয় পেয়েচি, কিন্তু আপনার আর আপনার বন্ধু দুজনের রক্ষা পাবার সম্ভাবনা মনে না আসায় এইমাত্র আমি মিঃ ওয়েষ্টকে আপনাদের দেহের উপযুক্ত সৎকার করবার জন্তে অনুরোধ কছিলেম। ভগবানকে ধন্যবাদ, তিনি আপনাদের আশ্চৰ্য্য উপায়ে বাচিয়ে দিয়েছেন।” সন্ন্যাসী উন্নত মধুর দৃষ্টিতে আমার দিকে মুখ ফিরাইলেন, একটু খানি ঔদাসিন্তের মৃত্যু হাসি র্তাঙ্কণর আরক্ত ওষ্ঠের মধ্যেই বদ্ধ রহিল। “এখন কিছু কালের জন্য আমরা মিঃ ওয়েষ্টকে সে বিষয়ে কোন কষ্ট দেব না ? আমি আমার আমার সঙ্গী জ্বজন এখান থেকে আধ মাইল দূরে একটা নির্জন ভাঙা কুঁড়েতে আশ্রয় নিয়েচি। জায়গাটি খুবই নির্জন, কিন্তু আমাদের ভজনের পক্ষে ভারী চমৎকার স্থান।” - ভারতী هجمالا ,itaة কাপ্তেন কছিলেন, আমরা আঞ্জ সন্ধ্যাপ্ত ট্রেনে গ্লাসগো যাচ্চি, আপনার যদি আমাদের সঙ্গী হন তাহলে আমবা অত্যন্ত মুর্থী হব । অামার বোধ হয় এর আগে আপনার আর কখনও ইংলণ্ডে আসেননি তাহলে কিন্তু এক সহরে বেড়ান আপনাদের পক্ষে ভারী কষ্টকর হবে।” সন্ন্যাসী তাহার স্বভাবসিদ্ধ মধুর স্বরে উত্তর দিলেন “ধন্তবাদ মিঃ মেডোজ ! আপনার সহৃদয়তার জন্ত আমাদের আন্তরিক ধন্যবাদ! কিন্তু আপাততঃ কিছু দিন আমরা এইখানেই থাকৃব মনে করেচি। প্রকৃতি মাতা আমাদের স্বেচ্ছায় যেখানে এনে ফেলেছেন আমরা সেইখনটিকেই একটু ভাল করে দেখতে ইচ্ছে করচি, সেইজন্তই আপনার মেহের আহবান নিতে পাল্লেম না, মাপ করবেন।” _ কাপ্তেন স্কন্ধ গুটাইয়া একটু তাচ্ছিল্ল্য ভঙ্গিতে কহিলেন “যা ভাল বোঝেন,—এ জায়গাটাতে বিশেষ কিছু যে দেখবার শোনবার অাছে তাত আমার মনে হচেচ ন,—আমার মনে হয় এটা যেন ঈশ্বর বর্জিত দেশ।” শনৎসুন হাসিতে লাগিলেন, “আমার কিন্তু উণ্টে৷ মত। আপনার হয়ত মিলটনের সেই লাইনটা মনে আছে “স্বর্গ ও নরক মামুষের নিজের মনে ।” আমার বোধ হয় আমরা এখানে দিন কতক বেশ আনন্দেই কাটাতে পারব। তা ছাড়া এটা যে কেবল অসভ্যদেরই দেশ, আমার ত এমন বোধ হুচে না । তার কারণ আমি যদি ভুল করে না থাকি তাহলে এই যুবপুরুষের পিতা, জন হাণ্টার ওয়েষ্ট