পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দশম সংখ্যা —যার নাম আমাদের দেশের পণ্ডিতেরাও খুব সম্মানের সঙ্গে উচ্চারণ কবে থাকেন— তিনি ত এই প্রদেশেই বাস কচ্চেন ?” আমি একটুখানি বিম্মিত ভাবে কহিলাম “সত্য সত্যই বাবা একজন সংস্কৃতজ্ঞ পণ্ডিত ।” সন্ন্যাসী অত্যন্ত ধীর গাম্ভীৰ্য্যপূর্ণ স্বৰে উত্তর দিলেন “এ রকম একজন মহানুভব ব্যক্তির অবস্থানে বন প্রদেশকেও সহবে পরিণত করে, অসংখ্য ইষ্টক কাষ্ঠবেষ্টিত অট্টালিকার চেয়ে—একটি মহfন অtয় –সভ্যতাব ঢ়েব বেশী উচ্চনিদর্শন ! যদিও স্ত্যার উইলিয়াম কোন্‌—কিম্ব ব্যাবণ ভন্‌হামার পার্গঠনেব হ্যায়—আমন গভীব ভাবে প্রাচ্যভাষায় র্তার দখল নেই তবু ঐ দুজনের অনেক গুলি গুণ র্তীতে বিদ্যমান আছে। অামাব হয়ে মিঃ ওয়েষ্ট আপনি আপনার পিতাকে বলতে পারেন যে তিনি তামুলিক ও সৈদীধাতুব মধ্যে যে সোসাদৃশ্য দেখাবার চেষ্টা করেচেন-সেট। কিন্তু তার ভ্রম!” আমি উত্তর দিলাম “আপনি যখন এই জলাভূমিতে কিছুদিন বাস করে আমাদের সম্মানিত করতে ইচ্ছা করেছেন তখন বাবার সঙ্গে আলাপ না কল্পে তিনি ভারী দুঃখিত হবেন । তিনি এ দেশের জমিদারেব প্রতিনিধি—আর আমাদের স্কটল্যাণ্ডের নিয়ম এই যে, কোন বৈদেশিক বিখ্যাত লোক এদেশে এলে জমিদারগৃহই তার অভ্যর্থনার জন্য মুক্ত থাকে।” আমার আতিথ্যপ্রিয়তাই র্তাহাকে আমাদের গৃহে অভ্যর্থনার প্রধান কারণ, ইহার অপর কোন নুতন কারণ ছিল না, কিন্তু সহকারী আমার কথায় এমন ভাবে আমার জামার হাতী ধরিয়া সোধ-রহস্ত ১১৯৩ টানিয়া চক্ষুর কট ক্ষে ইশারা করিলেন, যাহাতে বুঝিলাম যে সন্ন্যাসীদের আতিথ্য প্রদান করি ইহা তাহার সম্পূর্ণ অনিচ্ছ । তাহার আশঙ্কার কোন কারণ ছিল না । ঈষং মস্তক সঞ্চালন কবিয় শন ৎমুন আমার আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান করিলেন “আপনার নিমন্ত্রণে আমি ও আমার বন্ধুর বিশেষ সম্মানিত হলেম, কিন্তু আমর। যেখানে আছি সেইখনেই আমরা থাকৃতে ইচ্ছে কচ্চি । তার একটু বিশেষ কাবণও আছে, যে কুটীরটিতে আমরা এখন বাস কচ্চি সেটি যদিও নির্জন স্থানে অবস্থিত, আর স্থানে স্থানে ভগ্ন তবু আমাদের বেশ ভালই লেগেচে । ইউরোপীয়ানদের যে সকল জিনিধ না হলে চলে ন—ভারতবাসী আমরা - আমাদের সেগুলো অনবগু ক ভার বলেই মনে হয়। কারণ আমাদের বিশ্বাস যার যত আছে সেই অনুপাতে সে ধনী নয়—বে যত ত্যাগ করতে পারে—প্রকৃত পক্ষে সেই তত ধনী। একজন দয়ালু জেলে আমাদের কিছু কিছু শাক আর রটি দিয়ে যাচ্চে, —শয়নের জন্ত প্রচুর শুষ্ক খড় আছে – মানুষের এর চেয়ে বেশী প্রয়োজনই বা কি ?” কাপ্তেন কহিলেন “আপনাদের উষ্ণপ্রধান দেশে ওতে চলতে পারে—কিন্তু এখানকার ঠাণ্ডায় আপনাদের কষ্ট হচ্চে না ত?” জলধিবক্ষনিবদ্ধ দৃষ্টি ফিরাইয়া সন্ন্যাসী কহিলেন “হতে পারে সময় সময় আমাদের শরীব ঠাণ্ড হয়ে যায়—কিন্তু আমরা সেটা কৈ লক্ষ্য করিনি, আমরা বহুকাল চিরতুষারাবৃত হিমালয়ের অধিত্যকায় কাটমেচি —ঠাণ্ডায় আমাদের কিছু ক্ষতি হয় না।”