পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Yo$' withstos on Nobel o Prize focol তোলা রইল। কিন্তু যদি পাই ? বিড়ালের ভাগ্যে সে শিকে যদি ছেড়ে ! সেও আবার ধিপদের কথা হলে । Nobel পাওয়ার অর্থ শুধু অনেকটা টাকা পাওয়া নয়, সেই সঙ্গে অনেকখানি সন্মান পাওয়া । অনর্থ এ ক্ষেত্রে অর্থ নয়, কিন্তু তৎসংস্থষ্ট গৌরব টুকু। বাঙ্গলা লিখে আমরা কি অর্থ কি গৌরব, কিছুই পাই নে। বাঙ্গল সাহিত্যে আমরা ঘবে ব থেয়ে বনের মো’ষ তাড়াই এবং পুবষ্কারের মধ্যে লাভ করি তার চাটু টুকু ৷ স্বদেশের শুভইচ্ছার ফুলচন্দন কালেভদ্রেও আমাদের কপালে জোটে না বলে ইউরোপ যদি উপযাচী হয়ে, আমাদের মাথায় সাহিত্যের ভাইফেঁাট পরিয়ে দেয়, তাহলে তার ফলে আমাদের আয়ু বৃদ্ধি না হয়ে হ্রাস হবারই সম্ভাবনা বেড়ে যায়। প্রথমেই দেখুন, যে, Nobel Prize এব তারের সঙ্গে সঙ্গেই আমরা শত শত চিঠি পাব। এবং এই অসংখ্য চিঠি পড়তে এবং তার উত্তর দিতেই আমাদের দিন কেটে যাবে, সাহিত্য পড়বার কিম্বা গড় বার অবসর আর আমাদের থাকৃবে না । এক কথায় সমাজের খাতিরে, ভদ্রতার খাতিরে, আমাদের সাহিত্যের ফুলফল ছেড়ে শুধু শুষ্কপত্রের রচনা করতে হবে । এই কারণেই বোধ হয় লোকে বলে যে Nobel Prize লাভ করার অর্থ হচ্ছে সাহিত্যজীবনের মোক্ষ লাভ করা । Prize उछ{ब्रडी • মাঘ, ১৩২৯ আর এক কথা, টাকাটা অবশ্য ঘরে তোলা যায় এবং দিব্য আরামে উপভোগ করা যায়, কিন্তু গীরব জিনিষটে ওভাবে আত্মসাৎ কব চলে না। দেশশুদ্ধ লোক সে গৌরবে । গেীব বান্বিত হতে অধিকারী । শাস্ত্রে বলে “গেীরবে বহুবচন ।” কিন্তু তার কত অংশ নিজের প্রাপ্য আর কত অংশ অপবের প্রাপ্য সে সম্বন্ধে কোন একটা নজির নেই বলে’, এই গেীর ব-দায়ের ভাগ নিয়ে স্বজাতির সঙ্গে, একটা জ্ঞাতিবিবোধের স্বাক্ট হওয়া আশ্চর্য্য নয়। অপর পক্ষে যদি একের সন্মানে সকলে সমান সম্মানিত জ্ঞান কবেন এবং সকলের মনে কবির প্রতি অকৃত্রিম ভ্রাতৃভাব জেগে ওঠে তাতেও কবির বিপদ আছে । ত্রিশ দিন যদি বিজয়।দশমী হয়, এবং ত্রিশকোটি লোক যদি আত্মীয় হয়ে ওঠেন, তাহলে নররূপধারী একাধায়ে তেত্রিশকোটি দেবতা ছাড়া আর কারও পক্ষে অজস্র কোলাকুলির বেগ ধাবণ করা অসম্ভব । ও অবস্থায় রক্তমাংসের দেহের মুখ থেকে সহজেই এই কথা বেরিয়ে যায় যে “ছেড়ে দে মা কেদে বঁt'চ ” এবং ও কথা একবার মুখ ফস্কে বেরিয়ে গেলে, তার ফলে, কবিকে কেঁদে মরতে হবে । তাই বলি, আমাদের বাঙ্গালী লেখকদের পক্ষে Nobel Prize হচ্ছে দিল্লির লাড– যো খায়া ওভি পস্তায়া, যে না খায়া ওভি পস্তায় । - বীরবল।