পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মেরুতে অর্য্যেদিগের আদিনিবাস বিশেষরূপ অনুসন্ধান করিলে কেবল উত্তর কুরুতেই জাৰ্য্যদিগের আদিনিবাসের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহা নহে–কিন্তু মেরুতেও আদিনিবাসের প্রমাণ পাওয়া যায়। বর্তমান প্রবন্ধে আমরা সেই প্রমাণের আলোচনায় প্রবৃত্ত হইতেছি । আমাদের জন্মভূমি যে কিরূপে ভূ স্বর্গে পরিণত হয় ইংরেজ কবি মণ্টগোমরীর (Mont Gomery) “Home” (“Is) afos কবিতার নিম্নোদ্ধত কয়েকটা পংক্তি হইতেই তাহা উপলব্ধি হইবে,— "There is a land of every land the pride, Beloved by Heaven o'er all the world beside, Where brighter suns dispense serener light, And milder moons emparadise the night A land of beauty, virtue, valour, and truth, Time-tutored age and love-exalted youth.” সৰ্ব্বদেশের গৌরব, অপর সমগ্র পৃথিবীর অপেক্ষ ঈশ্বরের প্রিয় এরূপ একটা স্থান আছে, যেখানে উজ্জ্বলতর সুর্য্য স্নিগ্ধতর আলো বিকিরণ করে— সৌম্যতর চন্দ্র রাত্রিতে স্বর্গের শোভা স্বষ্টি করে। এই স্থান সৌন্দৰ্য্য, পুণ্য শক্তি ও সত্যের আকর। এখানে ৰাৰ্থক্য অভিজ্ঞতা দ্বারা শিক্ষা প্রাপ্ত, যৌবন প্রতির দ্বারা সমুন্নত।’ অপর একজন ইংরেজ কবি বলিয়াছেন ঃ

  • A charm from the skies seems to hallow

all there. John Howard Payne, * श्रांकां★ झईt७ चैष्णसांजिक &थलांरु ठषांकांग्न জনগুই পুণ্যময় ক্ষরিয়া থাকে। আমরা স্বদেশ ছাড়িয়া বিদেশে গমন "করিলে আমাদের স্বদেশের প্রিয় স্মৃতি জাগরিত হইয়া পূৰ্ব্বোক্ত স্বর্গের ভাবকে যে আরও বাড়াইয়া তোলে তাহাতে সন্দেহ নাই। বোধ হয় এই ভাবের অভিব্যক্তি হইতেই “জননী জন্মভূমিশ্চ স্বর্গাদপি গরীয়সী” এই বাক্যের উৎপত্তি হইয়াছে। আর্য্যগণ র্তাহীদের আদিনিবাস মেরুপ্রদেশ হইতে যখন চিরবিদায় গ্রহণ পূৰ্ব্বক নুতন দেশের সন্ধানে বহির্গত হইলেন ; তখন র্তাহারা যতই জন্মভূমি হইতে দূরবর্তী হইতে লাগিলেন ততই ইহার স্মৃতি র্তাহীদের মনকে ক্রমে ক্রমে অধিকতর রূপে অধিকার করিতে লাগিল । তাহাদের জন্মভূমির প্রিয় ও পবিত্র স্মৃতি এইরূপে চরমসীমা প্রাপ্ত হইয় তাহাদের জন্মভূমিকে প্রথমতঃ পৃথিবীতে আদর্শ মুখের স্থান ও অপার দিব্য মুখের স্থানরূপে কল্পনা করিয়া লইল । অভিধানে মেরু শব্দের যে পৰ্য্যায় শব্দ পাওয়া যায় তাহা হইতেই পূৰ্ব্বোক্ত সত্যের উদ্ধার হইতে পারে। অমরকোষে মেরু শব্দের পর্য্যায় শব্দসকলের এইরূপ উল্লেখ দেখা যায়— "মেরুঃ সুমেরুহেঁমাত্রীরত্নসামুঃ স্বরলিয়ঃ ।” এ স্থলে দেখা যাইতেছে যে মেরু যেমন ‘সুমেরু বা ‘হিমাদ্রি’ নামে অভিহিত হইয়াছে, তেমনিই ‘সুরালয়’ নামেও অভিহিত হইয়াছে। 'মুরালয়’ ও ‘দেবালয়’ বা স্বৰ্গকেই বুঝাইয় থাকে। সুতরাং আমরা দেখিতে পাইতেছি যে মেরু বা মেরুস্থিত সুমেরু পৰ্ব্বভই “মুরালয়’ নাম প্রাপ্ত হইয়াছে। শব্দকল্পদ্রমে স্বমেরু শব্দের জটাধর ধৃত যে পৰ্য্যায় শব্দ সকল প্রদত্ত