পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪১৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“রবীন্দ্র »; কবীন্দ্র রবীন্দ্ৰ তুমি আকাশ সম্রাট, একাধারে ইন্দ্র আর রবি, আলোছায় বৃষ্টিধারা ইন্দ্র ধমু খেলা ইচ্ছামত রচিতেছ সবি ! সপ্ত বরণের তব তুলিক পরশে বিশ্ব হয় চিত্তপটে আঁক, নেত্রে যার ছায় ভাসে চিত্তে তারি আলো তাই নিয়ে চিরদিন থাকা ! তুমি ঘুচাইয়া দাও কুহেলি আড়াল নয়নে নুতন দৃষ্টি দিয়ে, বমুধা সহসা হাসে গুঞ্জে মধুকর পুষ্পশত ওঠে মুঞ্জরিয়ে! বসন্তের দিগ্বিজয় কে জানিতে পেত তুমি যদি না দিতে চেতনা, কোকিলের কলতান চাতক-বিলাপ কৰ্ণে কারে প্রবেশ পেতন । তরুণ নবীন দিনে অরুণ কিরণে অশোকের আশষ বর্ষণ, করুণ জলদ ছায়া প্রকাশ অম্বরে বিশ্বে যবে অসহ দহন ! রুদ্র নিদাঘের তাপ, বাদলের ধারা সফল করিয়া এক সাথে, ভরিছ সোনার ধানে দরিদ্র কুটার শরতের উদার প্রভাতে ! মেঘ মুক্ত নীলিমায় অপর আকাশে দিনে দিনে পূর্ণ শশধরে, অজানা উত্তর হতে বাৰ্ত্ত যবে আসে দীপ্তি তব তৃপ্তি হয়ে ঝরে ! সমালোচনা বিবাহ ও তাহার তাদর্শ। খ্ৰীযুক্ত গঙ্গাচরণ দাসগুপ্ত বি, এ প্রণীত । ঢাকা, আলবার্ট লাইব্রেরী কর্তৃক প্রকাশিত ও আলেকজান্দ্র। ষ্টীম মেশিন প্রেসে মুদ্রিত। মূল্য আট আন মাত্র। বাল্যবিবাহ বিধি শাস্ত্রশাসিত লহে এবং হিন্দুবিবাহের আদর্শ উচ্চ ইহাই এ গ্রন্থের প্রতিপাদ্য । গ্রন্থখানি সুচিন্তিত, আমাদিগের সুকঠিন জীবন-সমস্তার দিনে পরম উপাদেয় সামগ্রী ; দিকৃত্ৰান্ত বাঙ্গালীকে স্বপথ দেখাইবার পক্ষেও স্বনিপুণ গাইড’-স্বরূপ হইয়াছে। গ্রন্থকার উপক্রমে বলিয়াছেন, “হিন্দু বিবাহের আদর্শ কত উচ্চ, তাহা বিবাহমন্ত্রাদির মধ্যেই সম্যক পরিস্ফ ট হইয়াছে । * * * বিবাহের আদর্শ যতই উচ্চ হউক না কেন, এই আদশের অনুযায়ী সমাজকে উন্নত করিতে হইলে কিরূপ বিবাহ এদেশে সৰ্ব্বাদে প্রশস্ত বলিয়া বিবেচিত হইয়ছে, তাহ দেখিয়া লইতে হয়। তজ্জস্য বিবাহসংস্কারের সমগ্র অনুষ্ঠানের আলোচন! আবশ্যক। এই গ্রন্থে তাঁহাই কিয়ৎপরিমাণ চেষ্টা করা গিয়াছে।" তিনি আরও বলিয়াছেন, “এক দিকে বাল্যবিবাহ, অপরদিকে ব্রহ্মচর্য্যের অভাব, এই দুই কারণেই সমাজ উত্তরোত্তর অধঃপতিত হইতেছে বলিয়া মনে হয়। আজকাল যেমন অপ্রাপ্তরজষ্কার বিবাহ সৰ্ব্বদা অমুস্থত হয়, তেমনি উনচতুৰ্ব্বিংশবর্ষীয় পুরুষের বিবাহও নিত্য প্রচলিত। ই হার পরিণাম কি ? অগুtষ্ক সভ্য দেশে ১৮৮১-৯ • অব্দের তালিকায় ১৫ হইতে ৫০