পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ ] CSN ○ハ○ ফাল্গুন, ১৩২০ [ ১১শ সংখ্যা ছোট ও বড় এই সংসারের মাঝখানে থেকে সংসারের সমস্ত তাৎপৰ্য্য খুঁজে পাই আর নাই পাই, প্রতিদিনের তুচ্ছতার মধ্যে মানুষ ক্ষণকালেব খেলা যেমন করেই খেলুক মানুষ আপনাকে স্বষ্টির মাঝখানে একটা খাপছাড়া ব্যাপার বলে মনে করতে পারে না। মাধুধের বুদ্ধি ভালোবাসা আশা আকাঙ্ক্ষা সমস্তের মধ্যেই তার উপস্থিত প্রয়োজনের অতিরিক্ত এমন একটা প্রভূত বেগ আছে যে মানুষ নিজের জীবনের হিসাব করবার সময়, যা তার হাতে আছে তার চেয়ে অনেক বেশি জমা করে নেয়। মানুষ আপনার প্রতিদিনের হাত-খরচের খুচরো তহবিলকেই নিজের মূলধন বলে গণ্য করে না। মানুষের সকল কিছুতেই যে একটি চিরজীবনের উদ্যম প্রকাশ পায়, সে যে একটা অদ্ভুত বিড়ম্বন, মরীচিকার মত সে যে কেবল জলকে দেখায় অথচ তৃষ্ণাকে বহন করে মানুষ একথা সমস্ত মনের সঙ্গে বিশ্বাস করতে পারে না। ভোগের মধুপাত্রের মধ্যে ভোগী আপনার দুই ডান জড়িয়ে ফেলে বসে আছে, বুদ্ধি-অভিমানী জোনাক পোকাব মত আপন পুচ্ছের আলোক সীমার বাইরে আর সমস্তকেই অস্বীকার কবচে, অলপচিত্ত উদাসীন তার নিমীলিত চক্ষুপল্লবেব দ্বারা আপনার মধ্যে একটি চিররাত্রি রচনা করে পড়ে আছে কিন্তু তবু সমস্ত মত্ততা, অহঙ্কার এবং জড়ত্বের ভিতর দিয়ে মানুষ নানা দেশে নানা ভাষায় নানা আকারে প্রকাশ করবার চেষ্টা করচে যে আমার সত্য প্রতিষ্ঠা আছে, এবং সে প্রতিষ্ঠা এইটুকুর মধ্যে নয় । সেইজন্যে আমরা যাকে দেখলুম না, যাকে প্রত্যক্ষ প্রমাণ করলুম না, র্যাকে সংসার বুদ্ধিটুকুর বেড়া দিয়া ঘের দিয়ে রাখুলুম না, তার দিকে মুখ তুলে ধারা বল্লেন, তদেতৎ প্রেয়ঃ পুত্রাৎ প্রেয়ো বিত্তাৎ, প্রেয়োহন্তস্মাৎ, সৰ্ব্বন্মাৎ, এই তিনি পুত্র হতে প্রিয়, বিত্ত হতেও প্রিয়, অন্ত সব কিছু হতেই প্রিয়, তাদের সেই বাণীকে আমাদের জীবনের ব্যবহারে সম্পূর্ণ গ্রহণ করতে না পেরেও আজ পর্যন্ত অগ্রাহ করতে পারলুম না। এইজন্তে যখন আমরা তার ভক্তকে দেখুলুম তিনি কোন অন্তহীনের প্রেমে জীবনের প্রতি মুহূৰ্ত্তকে মধুময় করে বিকশিত করচেন, যখন তার সেবককে