পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা মানব-সম্বন্ধ হতে বিচুত করে জানাই স ত্য মনে করে তবে সে শূন্ততাকেই সত্য মনে করবে। আমরা মানুষ হয়ে জন্মেছি যথনি একথা সত্য হয়েছে তখনি একথাও সত্য, যে, অনন্তের সঙ্গে আমাদের সমস্ত ব্যবহার এই মানুষের ক্ষেত্রেই, মানুষের বুদ্ধি মানুষের প্রেম, মানুষের শক্তি নিয়েই । এই জন্তে ভুমার আরাধনায় মানুষকে দুটি দিক বঁচিয়ে চলতে হয় । একদিকে নিজের মধ্যেই সেই ভূমার আরাধন হওয়া চাই, আর একদিকে অন্য আকারে সে যেন নিজেরই আরাধনা না হয় ; একদিকে নিজের শক্তি নিজের হৃদয়বৃত্তিগুলি দিয়েই র্তার সেব হবে, আর এক দিকে নিজেরই রিপুগুলিকে ধৰ্ম্মের রসে সিক্ত করে সেবা করবার উপায় করা যেন না হয় । অনন্তের মধ্যে দূরের দিক্ এবং নিকটের দিক্‌ দুইই আছে ; মানুষ সেই দুর ও নিকটের সামঞ্জস্তকে যে পরিমাণে নষ্ট করেছে সেই পরিমাণে ধৰ্ম্ম যে কেবল তার পক্ষে অসম্পূর্ণ হয়েছে তা নয় তা অকল্যাণ হয়েছে। এই জন্তেই মানুষ ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়ে সংসারে যত দারুণ বিভীষিকার স্বাক্ট করেছে এমন সংসারবুদ্ধির দোহাই দিয়ে নয়। আজ পর্যন্ত ধৰ্ম্মের নামে কত নরবলি হয়েছে এবং কত সরবলি হচ্চে তার আর সীমা সংখ্যা নেই । সে বলি কেবলমাত্র মানুষের প্রাণের বলি নয়, বুদ্ধির বলি, দয়ার বলি, প্রেমের বলি । আজ পর্য্যস্ত ক ত দেবমন্দিরে মানুষ আপনার সত্যকে ত্যাগ করেছে, আপনার মঙ্গলকে ত্যাগ করেছে এবং কুৎলিতকে বরণ করেছে। , মানুষ ধৰ্ম্মের নাম করেই ছোট ও বড় $$ ఆలి নিজেদের কৃত্রিম গণ্ডীর বাইরের মামুষকে ঘৃণা করবার নিত্য অধিকার দাবী করেছে । মানুষ যখন হিংসাকে, আপনার প্রকৃতির রক্তপায় কুকুরটাকে, একেবারে সম্পূর্ণ শিকল কেটে ছেড়ে দিয়েছে তখন নির্লজ্জভাবে ধৰ্ম্মকে আপন সহায় বলে আহবান করেছে ; মানুষ যখন বড় বড় দমাবৃত্তি করে পৃথিবীকে সন্ত্রস্ত করেছে তখন আপনার দেবতাকে পূজার লোভ দেখিয়ে দলপতির পদে নিয়োগ করেছে বলে কল্পনা করেছে ; কৃপণ যেমন করে আপনার টাকার থলি লুকিয়ে রাখে তেমনি কবে আজও আমরা আমাদের ভগবানকে আপনার সম্প্রদায়ের লোহার সিন্ধুকে তাল৷ বন্ধ করে রেখেছি বলে অভ্যারাম বোধ কৰি এবং মনে করি যারা আমাদের দলের নামটুকু ধারণ না করেছে তারা ঈশ্বরের ত্যাজাপুত্ররূপে কল্যাণের অধিকার হতে বঞ্চিত । মানুষ ধৰ্ম্মের দোহাই দিয়েই এই কথা বলেছে এই সংসার বিধাতার প্রবঞ্চন, মানব-জন্মটাই পাপ, আমবা ভারবাহী বলদের মত হয় কোনো পূৰ্ব্ব পিতামহের নয় নিজের জন্ম জন্মান্তরের পাপের বোঝা বহে নিয়ে অস্তহীন পথে চলেছি। ধৰ্ম্মের নামেই অকারণ ভয়ে মানুষ পীড়িত হয়েছে, এবং অদ্ভুত মুঢ়তায় আপনাকে ইচ্ছাপূৰ্ব্বক অন্ধ করে রেখেছে। কিন্তু তবু এই সমস্ত বিকৃতি ও ব্যর্থতার ভিতর দিয়েও ধৰ্ম্মের সত্যরূপ নিত্যরূপ ব্যক্ত হয়ে উঠছে। বিদ্রোহী মানুষ সমূলে তাকে ছেদন করবার চেষ্টা করে” কেবল তার বাধাগুলিকেই ছেদন করচে। অবশেষে এই কথা মামুষের উপলব্ধি করবার সময় এসেছে যে,