পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা আগমন প্রতীক্ষায় নিজ রাজ্যে প্রত্যাবর্তন করিলেন। মারাঠানেতাগণের সমবেত শক্তির প্রকৃত পরীক্ষার সময় উপস্থিত হইল । মারাঠাদলন এবং যে সমস্ত প্রদেশ তখনও রাজশক্তিকে এক আধটু মান্ত করিত, সেই সব স্থানে ইসলামীয় ক্ষমতার পুনঃস্থাপন কবই রোহিলা-নবাব এবং ইসলাম বেগেৰ মুখ্য উদ্দেগু ছিল। ইসলাম-সৈন্ত আগ্রা ও মথুবা । জয় করিয়া বসিল, এবং রোহিলা-নবাব বীরদৰ্পে দিল্লি নগরীতে পদার্পণ কবিলেন ও তথা হইতে ক্ষুদ্র মারাঠা সৈন্যদলকে বিতাড়িত করিয়া বীরত্বের পরাকাষ্ঠা দেখাইলেন। পারিবারিক হিসাবের কার্য্যে নিযুক্ত হইয়া রোহিলানবাব সম্রাট-দরবারে পরিচিত হইলেন । তিনি “আমির-উল-ওমর।” বা প্রধান মন্ত্রীত্বেব প্রার্থনা করিলেন ; এবং প্রাসাদে প্রধান মন্ত্রীর জন্ত ষে স্বতন্ত্র আবাস নির্দিষ্ট ছিল, তাহাই অধিকার করিয়া বসিলেন। কিন্তু অতি অল্প সময়ের মধ্যেই, যখন বেগম সমরু ইউরোপীয় সেনাপতিগণ পরিচালিত সৈন্তদল সমভিব্যাহারে উপস্থিত হইলেন, তখন তিনি নদীর অপর পারে আপনার সেনানিবাস ‘শাদরে প্রত্যাবর্তন করিলেন ; এবং দিন কয়েক কোনরূপ সাড়া শব্দ দিলেন না। যুদ্ধ বিগ্রহ ও ব্রিটিসঅধিকারের দাবী রাজপ্রাসাদকে অত্যন্ত ব্যতিব্যস্ত করিয়া তুলিল। পাসাদের ঠিক সম্মুখে এক অতি বিস্তৃত আঙ্গিন ; তাহারই একপ্রান্তে কাৰ্য্য নিৰ্ব্বাহের জন্ত সম্রাট উপবেশন করিতেন । ইহারই পশ্চাতে আর একটা প্রাঙ্গণ, যে প্রাঙ্গণের উপর নয়নপ্রীতিকর বিখ্যাত দেওয়ানী খাস আদালত। চূণবালি-নিৰ্ম্মিত অট্টালিকাটা গোলাম কাদির ও ইসলাম বেগ Soዓድ নানা কাককার্য্য-খচিত হইয়া আরও মনোরম আরও মনোমুগ্ধকর হইয়াছে। আর এই অট্টালিকার বাহিরের অংশে উপরের একস্থানে লালা রুক্ষের সেই চিরপরিচিত সংক্ষিপ্ত প্রশংসালিপি স্বর্ণক্ষরে খোদিত রহিয়াছে,— স্বৰ্গ ব’লে কোন কিছু যদি থাকে ভবে, এই সেই এই সেই এই সেই তবে । কিন্তু এই স্বর্গ, এই আনন্দধাম ইতঃপূৰ্ব্বেই নিরানন্দে ভবিয়া গিয়াছে ; সেই সুন্দর ময়ুব-সিংহাসন, ইহার অমূল্য মণি-মরকত সে সময় পারসিকগণের হস্তগত ; আর সেই পৃথিবী-বিখ্যাত, ভারত-পূজিত মোগল-পাদস তখন র্তাহারই প্রদত্ত ক্ষমতায় স্ফীত হৃদয় রাজকৰ্ম্মচারীগণের অনুগ্রহের পত্রিমাত্র ! হায়, কালের কি ভীষণ পরিণাম ! কাল যে ছিল রাজা আজ সে ভিখারী !! বর্ণিত প্রাসাদ অংশকে রোহিলা-নবাব আপনার বাসস্থানে পরিণত করিয়া তুলিলেন। কিন্তু অস্বজি নামক মারাঠা কৰ্ম্মচারীর সহিত বেগম সমরুর প্রত্যাবর্তনে তাহার এইরূপ ক্রমিক অনধিকার প্রবেশ এই স্থানেই বাধা প্রাপ্ত হইয়াছিল। রোহিলা-নবাব যখন দেখিলেন যে, সমরু আর একটা প্রবল শক্তি কর্তৃক সাহায্য প্রাপ্ত হইতেছে তখন তিনি এই গোলযোগ আপোষে নিম্পত্তি করিবার জন্তু সন্মতি প্রদান করিলেন। ফলে, তাহার ঈপ্সিত পদটী তিনিই প্রাপ্ত হইলেন। উভয় সেনাদলকে তুলিয়া লওয়া হইল। শাহ ধাতুময় তৈজসপত্র বিক্রয় করিয়া যে অর্থ প্রাপ্ত হইলেন, তদ্বারা নিজের শরীররক্ষক সৈন্ত সংগ্ৰহ করিলেন—এবং কেবল মাত্র