পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা মিষ্টভাবে আধপেটা জোটে না তখন অগত্য পরের ঘরে দাস্যবৃত্তি করিতে যাওয়া ভাল বলিয়া মনে হয় । পরের ঘরে দাসী বৃত্তি করিতে গেলে ভদ্র অভদ্র বিচার থাকে না, দরিদ্রত অভদ্রতা নামে অভিহিত হয়, কাযেই হীন ব্যবহারে হীন বৃত্তিতে মনটাও কেমন নীচ হইয়া পড়ে। যে রমণী আজ ভ্রাতৃগৃহে স্থান পাইলে একাহারে অক্লান্ত পরিশ্রমে হাস্যমুখে ধৰ্ম্মকৰ্ম্মে জীবন যাত্রা নিৰ্ব্বাহ করিতে পারিত—সে রাধুনি বৃত্তি গ্রহণে কেমন করিয়া তেলটুকু সরাইব কেমন করিয়া মুনটুকু সরাইব এই চেষ্টায় বিব্রত থাকে । বিলাতের কত শত নাবী আজীবন কুমারী থাকিয়া নিজ উপার্জনে ধৰ্ম্ম কৰ্ম্ম, পরের সেবা, কত কত কার্য করিয়া থাকে । কতৃ মহীয়সী নারীর কথা শুনা যায় তাহাদের মধ্যে অনেকেই কুমারী। আমাদের দেশে তাহা হইবার যে নাই। কিন্তু নাম মাত্র বিবাহ হইয়াছে—বালিকাব সে দিনটার কথাও হয়ত মনে নাই এখন বিধবাও আছে, তবুও তাহার কুমাৰী নহে বিধবা । এই সকল বালিকার স্বধৰ্ম্মে মতি রাখিয়া যাহাতে সুশিক্ষা প্রাপ্ত স্বভাব 3 సె $9 হয় এই জন্ত ৰিশেষ করিয়া এই আশ্রমটি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এখানে পূৰ্ব্বে দেখিয়াছি প্রায় ১৯২০ জন সধবা বালিকাও প্রত্যহ আসিয়া শিল্পাদি শিক্ষা করিয়া যাইত, তাহাদের জন্ত তখন গাড়ীর ব্যবস্থা ছিল । কিন্তু যেখানে প্রত্যহ সহস্ৰাধিক ছাত্রী আসা উচিত সেখানে এই ১৯২৪টি মাত্র ছাত্রী । ইহা হইতেই বেশ বোঝা যায় যে মেয়েদের শিক্ষার জন্ত এখনও কেহই ততদূর চিন্তা করেন না। যখন উন্নতি উন্নতি করিয়া দেশের আবাল বৃদ্ধ মাতিয়া উঠিয়াছিলেন তখনও ইহার বুঝিতে পারেন নাই যে প্রথমে গাছটির যত্ন করিলে তবে ফলটি ভাল পাওয়া যাইবে । এত অল্প ছাত্রীর জন্ত যে ব্যয় হইত তাহা সমিতির পক্ষে সাধ্যাতীত হওয়াতে এখন আর দৈনিক ছাত্রী লইবার গাড়ী নাই। তবে ইচ্ছা করিলে কেহ নিজের গাড়ীতে গিয়া শিল্পশিক্ষা করিতে পারেন। পূৰ্ব্বে শিল্পাশ্রম কলিকাতার মধ্যেই ছিল,—এখন ল্যান্সডাউন রোডে উঠিয়া গিয়াছে। ইচ্ছা করিলে সকলেই গিয়৷ দেখিয়া আসিতে পারেন । ঐশরৎকুমারী চৌধুরাণী স্বভাব জানি যাবে কুমুম শুকায়ে, তাপ গেলে হইবে শীতল, মুখ আছে দুঃখ পিছে লয়ে, বলীও সে হবে দুববল । জানি আছে জীবন মাঝারে আমরণ বিরহ মিলন ; তবু বলি হাসি বারে বরে তুমি আমি রব অমুক্ষণ । শ্ৰীলীলাদেবী