পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা ঘটনায় তাহাদেব সংযোগ আছে –এ কথা ভাবিতেও আমি নিজে নিজে লজ্জি ত হইলাম । 馨 事 醬 পরদিন প্রাতরাশের পর এসথাবের নিকট অঙ্গীকৃত, বাক্য পালনের ইচ্ছায় আমি ক্ল,মবারের উদ্দেশে যাত্রা করিলাম। বিশেষতঃ আজ আমার সঞ্চয়ের অভাল ছিল না নিতান্ত দীন দর্শন প্রার্থীব দ্যায় আমায় রিক্ত হস্তে দাড়াইতে হইবে না। আজও সংসার সম্বন্ধে সম্পূর্ণ উদাসীন কৌতুহলের লেশমাত্রও বর্জিত কমবারবাসী, গন্তপূৰ্ব্ব রজনীর ঘটনা সম্বন্ধে যে সম্পূর্ণই অনভিজ্ঞ, ইহাতে আমার মনে অণুমা ও সংশয় নাই । কুমবার প্রতিদিনের মতই অচল গাম্ভীর্যের মধ্যে ধ্যানাসীন । পরশ্ব রাত্রে বিশ্বধ্বংসী বিদ্রোহের চেষ্টা তাহার গাম্ভীৰ্য্যের বৃহ ভেদ করিতে না পারিলেও—তাহার ছাপ মারিয়া দিয়া গিয়াছে। সৌধের স্থানে স্থানে চুণ সুরকি খসিয়া গিয়া ইষ্টক বাহির হইয়াছে । রাস্তার ধারের বড় বড় গাছগুলার ক তক কতক অৰ্দ্ধভগ্ন ! বেড়ার ছিদ্র দিয়া যত দূব দেখিতে পাওয়া যায় পথে, বাগানে, জানালায়, কোথাও মনুষ্য বা মনুষ্যবাসের চিকুটিও দেখিতে পাওয়া গেল না । বেড়ার ধারে যে প্রকাও দেবদারু গাছটা ঝড়ে উৎপাটিত হইয় রণাহত সৈনিকের মত ভূমিশয্যা গ্রহণ করিয়াছিল তাহা তেমনিই পড়িয়া আছে, সরাইয়া ফেলিবার কোন বৃন্দোবস্ত করাও হয় নাই। চারি ধারের উচু বেড়াটা ছাড়া তার কোথাও এতটুকু পরিপাট্য বা যত্ন লওয়ার চিছুই নাই। স্তব্ধ নির্জনতা মৃত্যুর বিভী সৌধ-রহস্ত ১২১৩ ধিকার মতই আমার মনে ধীরে ধীরে কোন অজ্ঞাত ভয়ের সঞ্চার করিতেছিল। সকাল বেলার ঠাণ্ড বাতাস রাস্তার ধাবের ঝর পাতায় মৰ্ম্মর রব তুলিয়া যেন কে প্রিয়বিয়োগ বেদনাতুরের ক্ষীণ ক্ৰন্দন ধ্বনি বহিয়া আনিতেছিল। সেই দুর্গপ্রাকারের আদর্শ অনুকৃতি প্রাচীরটা ডিঙ্গাইয়া ভিতরে প্রবেশ করা যায় কি না ? এই উন্মত্ত দুরাশ মুহূর্বের জন্ত আমার চিত্তে স্থান পাইয়াছিল। এসথারের নিকট আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ জেনােরলের সংবাদ পাইতেই হইবে, বাটীর কোন লোকের সহিত সাক্ষাৎ ঘটিবার অপেক্ষা করা ভিন্ন আর উপায় কি ? পথের ধীবের পাইন গাছের তলায় হস্তস্থ সংবাদ পত্ৰখানা বিছাইয়। আমি উৎকর্ণ হইয়া, ক্লমবারের দিকেই বদ্ধ দৃষ্টিতে চাহিয়া রহিলাম। অৰ্দ্ধ ঘটিকা উত্তীর্ণ হইয়া গেল । দুরে যেন একটা চাবি খোলার আওয়াজ হইল। উঠিয়া বেড়ার ছিদ্রে চক্ষু সংলগ্ন করিতেই দেখিতে পাইলাম,জেনারল হিথারষ্টন অত্যন্ত বিষঃ চিন্তিত মুখে বাহির হইয়া আসিতেছেন, আমি বিস্মিত নেত্ৰে চাহিয়া দেখিলাম র্তাহার সৈনিকের বেশ। চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বে জন্‌ কোম্পানির যে ফ্যাসানের পোষাক ক্যাটলগে দেখা যায়, তেমনি ফ্যাসনের বেশ আধুনিক সৈনিকদের মত নহে, বহুকালের ব্যবহারে লাল কোট টার বর্ণ বিকৃত হইয়া গিয়াছে। ট্রাউজারটা পূৰ্ব্বে বোধ হয় সাদাই ছিল, এখন কেমন খোলাটে হলদে রঙ্গের দেখাইতেছিল । বক্ষদেশে পদস্থ সৈনিকের সম্মানচিত্ন সুবর্ণ ষ্টারমেড়েল • ঝুলন। খাপখোলা চকুচকে তরোয়ালখান কোমরবন্ধ