পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২১৪ হষ্টতে ঝুলিতেছিল। চল্লিশ বৎসর পূৰ্ব্বেকার জন কোম্পানির একটি অফিসের জীবন্ত চিত্র। আশ্চৰ্য্য ! সেই ভিক্ষুক রুফাসস্মিথও সৈনিকের বেশে সজ্জিত হইয়া উৰ্দ্ধতন কৰ্ম্মচারীর পশ্চাদগামী অধঃস্তন কৰ্ম্মচারীর দ্যায় সন্ত্রমের সহিত পদচারণা করিতেছিল। তাহার কথাবাৰ্ত্তায় তন্ময় হইয়া ভিতরের ময়দানটা পরিক্রমণ করিয়া ফিরিতেছিলেন। আমি লক্ষ্য করিলাম সে অবস্থাতেও তাহাদের সতর্ক দৃষ্টি বার বার দক্ষিণে ও বামে পতিত হইতেছিল । জেনারলের সহিত নির্জনে সাক্ষাৎ করাই আমার উদ্দেশু ; কিন্তু এখন তাহাকে এক পাইবার কোন আশাই নাই দেখিয়া আমি বেড়ার গায়ে জোরে জোরে আঘাত করিয়া তাহীদের মনোযোগ আকর্ষণ করিবার চেষ্টা করিলাম। মুহূৰ্ত্ত মধ্যে র্তাহারা 'যেন তাড়িতাহতের মতই দরজার দিকে ফিরিলেন, তাহদের মুখে ভয় ও বিরক্তি লক্ষত্তরেই ফুটিয়া উঠিল । আমি আমার পিচের ছড়া গাছটা উচু করিয়া তুলিয়৷ ধরিলাম, যাহাতে র্তাহার শব্দের উৎপত্তি স্থানটা সহজে বুঝিতে পারেন। চমকিয়া জেনারল সেই দিকেই অগ্রসর হইয়া আসিলেন, তাহার মুখে চোখে ভয়ানক দুঃখের ভাব প্রকাশ পইতেছিল, তিনি যেন অত্যন্ত চেষ্টার সহিত সে আবেগ গোপন করিবার প্রয়াস পুইতেছিলেন, হাত ধরিয়া রুফাস তাঙ্কাকে গন্তব্য পথ হইতে ফিরাইবার জন্ত চেষ্টা করিল। তাছাদের ভয়াতুর দেখিয়া আমি একটু জোরের সহিত জানাইলাম যে আমি ওয়েষ্ট আর একাকী !” ভারতী कांग्लन, १७२० আমার কথার ফল ফলিল, তাহার মুখের ক্লিষ্ট বিবর্ণত ঘুচিয়া গিয়া আনন্দ ও উৎসাহের সজীবতা দেখা দিল । একটু আগ্রহের সহিত জেলারল আমায় অভ্যর্থনা করিয়া, মেহব্যঞ্জক স্বরে কহিলেন, “ওয়েষ্ট, সত্য সত্যই তোমার ভারী দয়া, বিপদের দিনেই আত্মীয় অনাত্মীয় বেশী চেনা যায়, তোমায় এখন আমার বাড়ীর ভিতর আসতে বল্লে তোমার উপর কিছু অন্যায় করা হবে, কিন্তু তোমায় দেখে সত্যই আমি ভারি খুলী হয়েচি ।” তাহার সেই স্নেহপূর্ণ কথাগুলিতে আমি অস্তরের মধ্যে একটি আনন্দ অমুভব করিয়া কহিলাম “আপনাদের কদিন কোন খবর না পেয়ে আমরা ভারী ভাবিত হয়ে পড়েছিলুম। কেমন ছিলেন আপনার ঝড়ের রাত্তিরে ?” “যেমন থাকা উচিত—কিন্তু কালথেকে আমরা সম্পূর্ণরূপেই ভাল থাকৃব।— করপোর্যাল কাল থেকে আমরা লোক হয়ে যাব।— না ?” করপোর্যাল সামরিক প্রথায় সেলাম করিয়৷ উত্তর দিল, “ই হুজুর কাল আমরা ব্যাঙ্কের লোহার সিন্দুকের মতই নিরাপদ হয়ে যাব।” জেনারল কহিলেন আমাদের দুজনের মনই আজ অন্ত দিকে রয়েচে, কিন্তু তার দরকার নেই ; আমার বিশ্বাস সবই ঠিক আছে, আর ঈশ্বর ত আছেন তার কাজের উপর ত কারু হাত দেবার ক্ষমতা নেই, সবই তার ইচ্ছা ! তোমরা কেমন ছিলে ?” আমার বক্তব্য বিষয়টি জানাইবার এই শুভ অবসর । আমি কহিলাম “আমরা একটা নতুন বিষয় নিয়ে ভারী ব্যস্ত ছিলুম-Lপরশু রাতে