পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা রাখবেন না, বলুন কিসের ভয় কচ্চেন ?” জেনারল একটু স্নান হাস্তের সহিত ধীর ভাবে উত্তর দিলেন, “প্রিয় ওয়েষ্ট তোমার কিছুই করবার নেই। ঈশ্বর জানেন সন্ত্য সত্যই কিছু করবার নেই। যা ঘটবে তা ঘটতে দাও— ঘটনাস্রোতকে পথ ছেড়ে দিয়ে দাড়িয়ে দেখ তার কোনদিকে গতি । এমন কোরে কাঠকাঠবার বেড়া দিয়ে নিজেকে ঢেকে রাখবর চেষ্টা করাই আমার পাগলামী হয়েছিল । কিন্তু কথা কি জান –একেবারে নিরীহ অদৃষ্টবাদীর মত নিজেকে ছেড়ে দেওয়া আমার উচিত হয় না, তাই যতটুকু পেরেছিলুম সাবধানত নিয়েছিলুম। আমার এই দুর্ভাগবন্ধু আর আমি এমন অবস্থায় দাড়িয়েছি যা কেহই কথন কল্পনাও করেনি। এখানে মানুষের হাত নেই, তাই আমি এখন অসীম ক্ষমতাপশ্নের উপর আত্ম নির্ভর করেচি, মানুষের সাহtয্যের আর আমার আবশ্বকই নেই। আমার বিশ্বাস জীবনে যে কষ্ট পেয়ে গেলুম পর জীবনের জন্ত আমার আর কিছুই সঞ্চয় রইল না। এইবার তোমার আমাকে ছেড়ে যেতে হবে কারণ আমার অনেক কাজ বাকী আছে,— কতকগুলি কাগজ পত্র পুড়িয়ে ফেলতে হবে কতক গুলি লিখতে হবে, অনেক গুলি জিনিষ গুছিয়ে রাখতে হবে। প্রিয় বৎস ক্ষুঃ হোস্থোন, মামুষ অবস্থার দাস, পুরুষকার সব সময় জয়ী হয় না, আমার জন্ত দুঃখ কোর না মুক্তিতে আমি শান্তিলাভই করব। বিদায়, সুখী হোয়ে বাছা !”—তক্ত ভাঙ্গিয়া আমি যে পথটুকু করিয়াছিলাম তাহারই ভিতর দিয়া তিনি হাত বাড়াইয়া অত্যন্ত স্নেহের সহিত আমার করমর্দন করিলেন। তাহার পর অত্যন্ত সৌধ-রহস্ত >3ト。“ど সহজ ভাবে দৃঢ় পদক্ষেপে হলের দিকে গম্ভীর মুখে চলিয়া গেলেন। নতশিরে দুৰ্ব্বল পদক্ষেপে করপোর্যাল খোড়াইতে খোড়াইতে তাহার অনুগমন করিল। জেনােরল হিথারষ্টনের সেই ভীত সন্দিগ্ধ দুৰ্ব্বলতার এতটুকুও ' চিকু এখন নাই। কি এ বিপদ ? ধাহার সম্ভাবনার ভয়ে অতবড় সাহসী সেনাপতিকে আসনতাড়িত বালকের মত ভয়াতুর করিয়া তুলিয়াছিল এবং যাহার উপস্থিতি অনুভব মাত্রেই তিনি সাহসী সৈনিকের স্তায় মৃত্যুর জন্ত প্রস্তুত হইয়া উঠিলেন ? শ্লথ গতিতে ঘরের পথে ফিরিতে আমার প্রথম চিন্তার বিষয় হইল আমি এখন কি করিব ? সহসা এসথাবের কথা মনে পড়িয়া গেল, বালিক সন্দেহ করিয়াছিল যে সেই তিনটি পশ্চিম দেশীয় বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর আগ, মনের সহিত জেনারলের ভবিষ্যৎ দুর্ভাগ্যের স্বত্র জড়িত ? বুদ্ধিমতী বালক ঠিকৃই অনুমান করিয়াছিল । তাহাব আশঙ্কা যে অমুলক নহে এই চিন্তা আমার মনে উদয় হইবার সঙ্গে সঙ্গেই শনৎমুনের সেই মহত্বব্যঞ্জক প্রশান্ত, সহাস্ত, জ্ঞানদীপ্ত মুখচ্ছবি আমার অন্তরে উদিত হইল ৷ তােহাৱ মুখের সেই উদার কথাগুলির সহিত । মিলাইয়া আমি কোম অপ্রিয় ঘটনারই কল্পনা করিতে পারিতেছিয়াম না । তেমন লোকের দ্বারা কাহারও কি ক্ষতি হওয় সম্ভব? আমি ভাবিতেছিলাম সেই ভুঞ্চিত ঘনকৃষ্ণ কেশ জালের অন্তরালে তীক্ষু মৰ্ম্মভেদী দৃষ্টির ভিতরে কি কখন ভয়ঙ্কর ক্রোধ আত্মগোপন করিয়া থাকিতে পারে ?• তবে এই টুকু বলিতে পারি যে, আমি ভাবিয়া দেখিলাম