পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা আর কখনও দেখ নাই ?” আমি কহিলাম “ন আমার ভাগ্যে এ সুযোগ আ র কখনও ঘটে নাই ।” তিনি কহিলেন “এই যে ধর্মীরের শুধু যে এদের আত্মাই এখান থেকে বার হয়ে হিমালয়দেশে বিচরণ করে বেড়াচ্চে তা নন—এরা যে পোষাকে যে মূৰ্ত্তিতে এথানে রয়েচেন মুদুর ভিন্ন দেশে শিষ্যমণ্ডলী মধ্যে ঠিক সেই অবস্থাতেই এদের মুক্ত আত্মা আনন্দে বিচরণ করে বেড়াচে । মহাত্মা যে স্থূলদেহে সেখানে উপস্থিত নাই—ঠার অত্যন্ত স্নেহপাত্রেরাও তা অনুভব করতে পারবে না । “কি করে এ ব্যাপার হয় ?” সন্ন্যাসী হাসিতে লাগিলেন—“আচ্ছা আমি সংক্ষেপে এ সম্বন্ধে কিছু বলব। যোগীরা স্বক্ষ আত্মার পরমাণুকে তড়িৎবেগে ইচ্ছামুরূপ স্থানে নিয়ে যাবার ক্ষমতা অভ্যাস করেন। সেখানে গিয়ে ইচ্ছাবলে তাহা স্থলদেহের আকৃতি প্রকৃতি প্রাপ্ত হতে পাবে। পুৰ্ব্বকালে যখম তাদের জ্ঞানের সংকীর্ণত অধিক ছিল তখন স্থল দেহকেই এমনি ভাবে প্রেরণ করা হত। কিন্তু সেটা কষ্টকর ! সাধনার প্রসারতার সহিত জ্ঞানেরও প্রসারত বৃদ্ধি হয়েছে। এখন স্থলদেহবিচু্যত সুহ্ম আত্মাকেই যোগ বলে যোগীর যথেচ্ছ প্রেরণ করতে পারেন । এই যোগবল কি সে কথা বোঝান অনেক সময়-সাপেক্ষ,— আমার বিশ্বাস যদি যথার্থ জিজ্ঞাম হতে ইচ্ছা কর—তোমার বাবার কাছেই অনেক বিষয় জানতে পারবে। তবে পঠিত বিদ্যা ও অনুশীলনের জ্ঞানের যে স্তফাৎ এক্ষেত্রেও তাগই। যাই হোকৃ তিনি মহাপুরুষ, উচ্চ জ্ঞানের অধিকারী সে বিষয়ে cनोध-ब्रश्र्श

  • ११९

কোন দ্বিধা নাই ।” আমি কহিলাম “আচ্ছা অ পনার স্বক্ষ দেহে যখন সৰ্ব্বত্র বিচরণ করতে পারেন তখন আস্থমজ্জাময় ক্লেদপুর্ণ ক্ষুংপিপাসা তুর ভারবহু দেহটাকে বহন করে বেড়াবার আবখ্যকই বা কি ?” “জ্ঞানী সমাজে তার কোন প্রয়োজনই নেই, সুক্ষ্মাত্মা দ্বারাই কাৰ্য্য সাধন হতে পারে,–কিন্তু সমাজেরও ত স্তর আছে ? সাধারণের সহিত মিলিত হবার জন্ত সাধারণ দেহের আবগুক নতুবা তাৎ এদের বুঝতে বা দেখতে পান্না। সুহ্ম আত্মাকে দর্শনের জন্য স্বক্ষ দৃষ্টিরও ত প্রয়োজন ; সকলেই কিছু সাধু বা দিব্য দৃষ্টির অধিকারী নহেন । মিঃ ওয়েষ্ট—তোমার জ্ঞান স্পৃষ্ঠা ও সারল্যে আমি অত্যন্ত মুখী হইয়াছি-- এখন বিদায়—” o শনংস্কন বিদায় অভিবাদনের জন্ত হাত বাড়াইয়া দিলে অত্যন্ত আগ্রহের সহিত আমি তাহা গ্রহণ করিয়া ব্যগ্রতাপুর্ণ স্বরে কহিলাম “আপনার নিকট যে জ্ঞানের কথা শুনলেম তাতে আমি ভারী আনন্দ পেয়েচি । আমাদের এই অল্পক্ষণস্থায়ী পরিচয়ের কথা আমি সৰ্ব্বদাই স্মরণ রাখব।” আমার মুখের পানে দুঃখিত ভাবে চাহিয়া শনৎস্কন ধীরে ধীরে উত্তর দিলেন “তুমি তাতে যথেষ্ট উপকারই পাবে। হয়ত ভবিষ্যতে যা ঘটবে—সাধারণ দৃষ্টিতে তা ভাল মনে হবে না—কিন্তু কোন বিষয়ে সহসা বিচার করে না-মানুষের পক্ষে যতই কঠোর হোক এমন কতকগুলি আইন জগতে আছে - যার কার্য্য পালন করতেই হবে। হয়ত তার ফল লোকচক্ষে নিষ্ঠুর বা নিন্দনীয় হতে পারে কিন্তু তবু আইন অলঙ্ঘ্য ; তাকে লঙ্ঘন করবার শক্তি মানর শক্তির