পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

५२ ईg অতীত ! তোমাদের দেশের গো বা মেয়ের নিকটও আমরা ভয়ের পাত্র নহি –কিন্তু যে পাষণ্ড পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ রক্তপাত করেচে—মানবের আইন তাকে রক্ষা করতে পাবে কিনা তা আইনকৰ্ত্তাই বলতে পারেন। বিদায় –মিঃ ওয়েষ্ট-বিদায়,—ঈশ্বর তোমার মঙ্গল করুন— ।” $, শেষ কথা কয়ট বলিবার পূৰ্ব্বে সন্ন্যাসীর মুখে যেরূপ ঘৃণা ও ক্রোধের ছায় তীব্র রূপে ফুটিয়া উঠিয়াছিল তাহ আজিও আমার মনে মুদ্রিত হইয়া আছে। সন্ন্যাসী দ্রুতপদে ভাঙ্গা কঁড়ে থানার ভিতর প্রবেশ করিলেন । যতক্ষণ র্তাহাকে দেখিতে পাওয়া গেল আমি সেই দিকেই চাহিয়া রহিলাম। তারপর ধীরে ধীরে গৃহের দিকে ফিরিলাম। আমার অন্তরের অন্তঃস্থল মথিত করিয়া একটা সুগভীর দীর্ঘশ্বাস উখিত হইল,

  • হায় অভাগা জেনারল ! এমন লোকেরও তুমি ক্রোধের পাত্ৰ ! নিষ্ঠুর নিষ্ঠুর নিয়তি!” দুরে আমার দক্ষিণে মেঘমণ্ডিত আকাশের গায়ে সুনিপুন চিত্রকরের অঙ্কিত ছবি খানির স্তায় শ্বেত প্রাসাদের উচ্চ চুড়া দেখা যাইতেছিল। ঐ মুদৃপ্ত মুস্তৃহৎ অট্টালিকার দিকে চাহিয়া যে সকল পথিক ঈর্ষাকুল চিত্তে অট্টালিকাস্বামীর সুথ সৌভাগ্যের আলোচনা করিয়াছে তাহারা কি জানিত যে ঐ একটি মাত্র শুভ্ৰশির কোন অলঙ্ঘ্য হস্তের উত্তোলিত শাসন দণ্ডের মিৰ্মে প্রতি মুহূর্তে নত হইয়। রছিয়াছে। আমার মনে হইতেছিল—ঐ ষে ধূসর আকাশের গায়ে কালে মেঘ ঘন হইতে ঘনতর রূপে জমা হইতেছিল ও বুঝি তাহারই মেঘাচ্ছন্ন অদৃষ্টাকাশের ছায়ামাত্র। সন্ন্যাসীর

.ভারতী ফাল্গুন, ১৩২৬ কথার ভাবে কোন অশুভ বার্তার আভাষ দিয়াছিল । আমার মাথার মধ্যে রক্তের স্রোত প্রবল ভাবে তোলপাড় করিতেছিল। কাহাকে কহি, কে পরামর্শ দিবে, কিসেরই বা পরামর্শ,—জেনারল সম্বন্ধে কোন কথাই ত হয় নাই, তিনি ইহাদের পরিচিত অথবা অপরিচিত তাহারত কোন নিদর্শন পাই নাই—তবে ? আমি যখন বাড়ী ফিরিলাম তখনও বাবা তাহাদের পূৰ্ব্বাধিকৃত স্থানটিতেই চুপ করিয়া বসিয়াছিলেন। সন্ন্যাসীর সহিত র্তাহার বে তর্ক হইয়াছিল মনে মনে তখনও যেন তাহরই আলোচনা কবিতেছিলেন। আমাকে দেখিয়া চিন্তি ত মুখ তুলিয়। জিজ্ঞাসা করিলেন “জ্যাকৃ, সন্ন্যাসীর সঙ্গে আমার ব্যবহারটা কি বেশী অভদ্রের মত দেখfয়নি ? আমার বাড়ীতে তিনি এসেছিলেন অভ্যাগতের সঙ্গে তেমন ভাবে তর্কট আমার উচিত হয়নি—কিন্তু তিনি এমনি একগুঁয়ের মত তর্ক কবৃছিলেন যে চুপ করে থাকাও সম্ভব হোল না। তর্কে যে আমি হেরে যাইনি তা বোধহয় তুমি বুঝতে পেরে থাকবে ? এ সম্বন্ধে স্বক্ষ তত্ত্বটুকু বোঝবার জন্তে নিশ্চয়ই তোমথ মাথা পরচ করবেন, তবু অশোকের শিলালিপির প্রসঙ্গ উত্থাপন করতেই তাকে যে বিদায় নিতে হয়েছিল এই সহজ তত্ত্বটুকু বোধহয় বুঝতে পেরেচ ?” আমি কহিলাম, “না আপনার তর্ক বেশ ভালই হয়েছিল ; আচ্ছা বাবা তার সম্বন্ধে আপনার মত কি রকম ?” বাবা প্রফুল্ল মুখে উত্তর দিলেন "বৌদ্ধধৰ্ম্মাবলম্বী সন্ন্যাসী যোগী ভিক্ষু প্রভৃতি সম্প্রদায়ের মধ্যে ইনিও একজন ধৰ্ম্মের স্বক্ষতত্ত্ব আবিষ্কারে জীবন