পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

? : १२७ চিন্তু বা দুর্ভাবনার ভার চাপাইয়া তাহাকে কষ্ট দিয়া লাভ নাই। তাছাড়া যে বিষয় আমি নিজেই বুঝি নাই সে সম্বন্ধে তাছাকে বুঝাইবই বা কি ? কৌশলে উখাপিত প্রশ্ন এড়াইয়া অন্ত কথার অবতারণা করিলাম। বাবাও আর সে বিষয়ে কোন কথা তুলিলেন না । আমার জীবনে এই ৫ষ্ট অক্টোবরের দ্যায় এত বড় সুদীর্ঘ ঘটনাবহুল দিবস আর কখনও আসিয়াছিল বলিয়া স্মরণ হয় না। এই প্রকাও দিনটাকে হাত দিয়া ঠেলিয়া ফেলিবার যদি কোন উপায় থাকিত ! বাগানে উদ্দেগুহীনভাবে ঘুরিয়া ঘুরিয়া ছড়ীর আঘাতে অনেক গুল সযত্নবন্ধিত শ্লেষ্টন ও ডাল ভাঙ্কিয়া অন্ত মনে ঘরে शिब्रिध्नt जॉर्मिणर्षभ। श्रेष९ *ौऊाङ ठाकूञ्जल মেঘাচ্ছন্ন রেীদ্রে মাঠে মাঠে লক্ষ্যশূন্ত ভাবে ঘুরিয়া বেড়াইয়া সমুদ্র তীরে মাছ ধরিতে গেলাম । হীন নেত্রে একদিকে চাহিয়৷ রহিলাম -- বিদ্ধমৎস্ত ফাৎনা পৰ্য্যন্ত ছিড়িয়া লইয়। কখন চলিয়া গিয়াছে অনুভবও করিতে পারি नjहे । - ৰাবার লাইব্রেরী ঘরে গিয় তাহার আরস্ক প্রিয় পুস্তকের সুচীপত্রে মনোযোগ দিবার চেষ্টা করিলাম, সংশয়ের ভার আর রহন করিতে পারা যায় না, নিজেকে কাৰ্য্যস্রোতে ভাসাইয়া দিয়া মুক্তির চেষ্টাই তখন প্রবল হইয়া উঠিয়াছিল ৷ হইলে কি হয়— মন ত কাজ করিতেছিল না, চিন্তার স্রোত বাধা প্রাপ্ত জলস্রোতের স্তায় তীব্র ভাবে সেই একই পথে বহিতেছিল। এলখারও ভারতী জলে ছিপ ফেলিয়া উদ্দেশু भूगंख्न, २७२० ঠিক আমার মতই সংশয়োদ্বিগ্ন অস্থির চিত্তে ঘুরিয়া বেড়াইতেছিল। তাহাৰ উৎকষ্ঠিত সচকিতদৃষ্টি, মানমুখ, বিষঃ হাসি মনের চিন্তাকে বাহিরেও স্পষ্টরূপে ফুটাইয়। তুলিয়াছিল । জেনারল ঠিক বলিয়াছিলেন “মৃত্যুতে মুক্তি আনয়ন করে-- অনিশ্চিস্ততাই মৃত্যুর অধিক ভয়ানক ” মনের চাঞ্চল্যে সেদিন বাবার কাজের ও আমরা অনেক গোলমাল করিয়া ফেলিতেছিলাম। চষম আনিয়া দিতে, টুপি আনিয়া দেই—হঁ বলিতে গিয়া না বলিয়া বসি । এসথার সার্টের হাতার বোতাম গলায়,— গলারটা হাতায় লাগাইয় প্রতিপদে লজ্জায় বিব্রত হইয়া পড়িতেছিল। অবশেষে সুদীর্ঘ দিনটা ঠেলিয়া দিয়া সন্ধ্যার অন্ধকার দিকে দিকে ছড়াইয় পড়িল ধুসর মঘের স্তরের মধ্যে চুম্কির টিপের মত দুই একটি তার দেখা দিল । বাহিরের বাতাস রুদ্ধ হইয়া চারিদিকে যেন কেমন একটা কষ্টকর কুহেলিকার আবরণ জড়াইঃ দিল । রাত্রিকালের আহারাদির পর আমরা শয়নের পূৰ্ব্বক্ষণ পৰ্য্যন্ত বাবার নিকট হল ঘরে একত্র বসিয়া থাকি। এই সময়টা বাবা আমাদের সহিত সাহিত্য আলোচনা করেন, পড়া শোনা দেখেন—এসধারের বাজনা শোনেন— র্তাহার সহিত সাংসারিক ভাবে মিশিবার জন্ত এইটুকু সময়ই আমরা পাইয়া থাকি । বাৰী সময় তিনি নিজের পড়াশুনার মধ্যেই ডুবিয়া" থাকেন। তাই এই সময়টুকু আমাদের কাজে অত্যন্ত লোভনীয় ; আজও আমরা অন্তদিনের স্থায় তাহার নিকট গিঞ্জ বসিলাম । এসথায় পিয়ামোর নিকটে গিন্ধ গৎ বাঞ্জাইতে মুরু