পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৪৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা তাহারা নিজেদের মধ্য হইতে একজনকে কঙ্কার পিতা ও অপর একজনকে বরের মাতা স্থির করিয়| পাটলি বৃক্ষতলে উপবিষ্ট হইল এবং বৃক্ষের নাম জামাতবৃক্ষ রাখিল । পরে তাহার নানা প্রকার ফলমুলাদি সংগ্ৰহ করিয়া বিবt.হর লগ্ন নিৰ্দ্ধারণ করিল এবং লগ্নকালে কস্তার পিতা (? ) ঐ বৃক্ষের একটি শাখ ভগ্ন করিয়া ছাত্রকে বলিলেন “এই আমার কথা ; ইহাকে গ্রহণ কর।” ছাত্রটাও ইহাতে অত্যন্ত প্রাত হইয় পুষ্পশোভিত সেই শাখা গ্রহণ করিল। “স্বৰ্য্যাস্তকালে অন্তান্ত বালকগণ গৃহপ্রত্যাগমনে উদ্যত হইলে, সেই ছাত্র গৃহগমনে অনিচ্ছ প্রকাশ করল। তখন অস্তান্ত ছাত্রবৃন্দ তাহাকে বলিল যে, তাহারা যাহা করিয়াছে সকলই পরিহাসচ্ছলে করিয়াছে । এই স্থানে থাকিলে রাত্রিতে হিংস্ৰজন্তুতে তাহীকে নিধন করিবে, স্বতরাং গৃহে প্রত্যাগমনই বিধেয় । কিন্তু, যুবক অস্বীকার করাতে তাহার। তাহাকে একাকী রাখিয় প্রত্যাগমন করিল। "বাত্রিতে এক অনৈসর্গিক আলোকরশ্মি সেই বনভূমি, আলোকিত করিল। কোথা হইতে মধুর সঙ্গীতধ্বনি এবং বংশীবাদন হইতে লাগিল এবং সেই স্থান মুল্যবান কাপেটে আচ্ছাদিত হইল। অকস্মাং ভদ্রবেশধারী এক বৃদ্ধ ও বৃদ্ধ একটা যুবতীর হস্ত ধরিয়া সেই স্থানে উপনীত হইলেন । সঙ্গে সাজসজ্জা করিয়া অনেক লোক ও বহুসংখ্যক বাদ্যকরগণ আসিতে লাগিল। পরে, বৃদ্ধ ছাত্রটর হস্তে যুবতীর হস্ত সমৰ্পণ করিয়া বলিলেন “ইনিই আপনার পত্নী ।” ক্রমাগত সপ্তদিবস আমোদ-প্রমোদে অতিবাহিত হইল । সাতদিন পরে তঁtহার সহtধ্যায়ীর তাহার অন্বেষণে সেই স্থানে উপস্থিত হইলেন । র্তাহার দেখিলেন যে, বৃক্ষতলে উপবিষ্ট হইয় তাহদের সহাধ্যায়ীরা যেন কাহীর প্রতি অনিমেষ নয়নে চাহিয়৷ আছেন । উtহার উiহীকে প্রত্যাগমনে অনুরোধ করিলেন ; কিন্তু, তিনি সে অনুরোধ রক্ষা না করিয়া বৃক্ষতলে উপবিষ্ট রহিলেন । “পরে তিনি স্বেচ্ছায় নগরে প্রত্যাগমন করিয়া র্তাহার আত্মীয়-স্বজনকে সকল ঘটনা নিবেদন করিলেন । পাটলিপুত্র శీచిన : তাহান্না ইহাতে অত্যন্ত আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইয়৷ উtহtধ সহিত সেই উপবনে প্রত্যাগমন করিয়া দেখিতে পাইলেন যে, পাটলিবৃক্ষ বৃহৎ প্রাসাদে পরিণস্থ হইয়াছে ; ভূত্যবৰ্গ চতুদিকে গমনাগমন করিতেছে এবং পূর্বকথিত বৃদ্ধ তাদের সমারে অভ্যর্থনার্থ অগ্রসর হইতেছেন। নানা প্রকার আহাৰ্য্য দ্বারা পূৰ্ব্বোত্ত বৃদ্ধ ছাত্রের আমীয় ও বন্ধুবান্ধবকে পরিতুষ্ট করিলেন। * পুরাতন রাজধানী কুসুমপুর পরিত্যাগ করা হইলে পর এই স্থান নুতন রাজধানীর জন্ত মনোনীত করা হইল এবং পুৰ্ব্বোঙ্গ ঘটন স্মরণার্থ এই সগরের নাম পাটলিপুত্ৰ –পুর (অর্থাৎ পাটলি বৃক্ষের পুত্রের পুর ) রাথ। হইল ।” গাগীসংহিতায় পাটলিপুত্রের উল্লেখ পাওয়া গিছে। সে সময়ে পাটলিপুত্রস্থ রাজপ্রাসাদকে কুম্নমধ্বজ বলা হইত। গুপ্তরাজগণের সময়েও পাটলিপুত্রের কিছু কিছু প্রাধান্ত ছিল । সম্ভবতঃ ষষ্ঠ শতাব্দীতেই হুনগণকর্তৃক পাটলিপুত্রের ধ্বংসসাধন হয়। ইহার পরে প্রায় সহস্ৰ বৎসর পরে সের সাহের সময়ে পুনৰ্ব্বার পাটনার প্রাধান্ত ংস্থাপিত হয় । ইংরাজ রাজত্বের প্রারম্ভে পাটনায় ইংরাজদের একটা প্রধান কুঠী ছিল এবং কিংবদন্তী বিশ্বাস করিলে পাটনাতেই কলিকাতা-প্রতিষ্ঠাতা জবচাণকের হিন্দুপত্নীগ্রহণ ব্যাপার ঘটে । সাহ আগমের সহিত ইংরাজদের সংঘর্ষ উপস্থিত হইলে পাটনার বাদসাহা ও ইংরাজী ফৌজে যুদ্ধ ঘটে । পাটলিপুত্রের যে স্থানে খনন হইতেছে, সেই স্থানে কণিক্ষের সময় হইতে প্রচলিত মুদ্র ও সাহ আলমের নামাঙ্কিত তাম্রমুদ্রা পাওয়া গিয়াছে। ২ । পাটলিপুত্রের অবস্থিতি পাটলিপুত্র ঠিক কোন স্থানে অবস্থিত ছিল, ইহা লইয়া যথেষ্ট মতভেদ ছিল। ডি