পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, একাদশ সংখ্যা আমি বুঝিলাম এ সেই বাঙ্গাল। বলিলাম ‘সে কি কথা ? নিশ্চয়ই করব। আপনাদের সন্তুষ্ট না রাখলে আমার চলবে কি করে ? আপনাদের অনুগ্রঙ্গেই ত করে খাচ্ছি।’ বাঙ্গাল বলিল বিলক্ষণ ! সে কি কথা ! আপনি মহাশয় লোক । আপনার আশ্রয়ে আছি । আপনি না দেখলে আমাদের দেখবে কে ?” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম ‘আপনাব সঙ্গে আর কে আছে ? সে বলিল ‘আমি একা ।” “এক ? রান্নাবান্না কে কবে ?” “নিজেই ” আমি স্তম্ভিত হইলাম। বেটা বলে কি ? এখানে স্বাস্থ্য পরিবর্তনে এসেছে । নিজে রেধে খায় ! ভjবিলাম, বোধ হয় কেন রোগী শাস্ত্ৰ আসিবে । বলিলাম ‘কার জন্ত বাড়ী নিয়েছেন ? “আমারই জন্ত । আমার স্বাস্থ্য ভাল নয় । একটু স্বাস্থ্যের উন্নতি করিতে আসিয়াছি।” আমি ত অবাক! এই ভীম শৰীৰ । এর উপর আবার স্বাস্থ্যোন্নতি ! বেটা কি রামমূৰ্ত্তির খেলা দেখাবে নাকি ? মুখে বলিলাম ‘ও: ! ত আপনার অভিযোগ কি ?” “দেখুন, ঘরগুলির ছাদ ত সব ফুটে৷ হয়ে গেছে। কাল রাfএতে এক পশলা বৃষ্টি হয়েছিল। তা শোবার ঘরখানিতে খাটিয়া, টেনে টেনেই অস্থির। যেখানে খাটিয়াটি সরাই সেখানেই টপ টপ করে জল পড়ে। শেষে থাটিয়ার উপরে ছাতা খুলে সারারাত বসে কাটিয়েছি । নিশীথ-রাক্ষসীর কাহিনী ১২৪৯ আমার এত হাসি পাইতেছিল যে বুঝি পেট ফাটিয়া যায়। অনেক কষ্টে গাম্ভীৰ্য্য রক্ষা করিয়া বলিলাম, বলেন কি ? সরকারটা দেখছি কোনও কাজের নয়। আমি আজই মিস্ত্রী পাটিয়ে সব ঠিক্‌ করে দোব।’ “আব দেখুন, দেওয়াল থেকে বালি চূৰ্ণ সব খসে পড়ছে। সে গুলোও মেরামত করে দিতে হবে । আর কপাট জানলা গুলো বন্ধ করলেও তার মাঝে এমন ফাক থাকে যে তা দিয়ে হু হু কবে হাওয়া ঢোকে আর রান্না ঘবে জল ঢালবার যে নন্দমা আছে তাতে জল ঢাললে জল আটকে থাকে, সেটাকে একটু বড় করে দিতে হবে, আর ছাতের পাইপটা দু তিন জায়গায় ছ্যাদা হয়ে গেছে—আর—" সৰ্ব্বনাশ ! বাঙ্গালটা মাসিক পত্রের ক্রমশঃ প্রকাশু উপন্যাসের দ্যায় অবিরাম চলছে যে ! বলিলাম ‘সব ঠিক করে দেবে। আমি আজই মিস্ত্রী. পাঠিয়ে দি চছ, যা যা দরকার তাদের বলবেন । তারা ঠিক করে দেবে। আমি এখন বেরিয়ে যাচ্ছি। কিছু মনে করবেন না।’ এই বলিয় লাঠিটা লইয়া জুতা পায়ে দিয়া বাহির হইয়া পড়িলাম ! বাঙ্গালটা কি তবু ছাড়ে ? সঙ্গে সঙ্গে চলিল। বলিল, “যে অজ্ঞে। আপনি মহাশয় ব্যক্তি ! আপনার আশ্রয়ে আছি। আপনি—” আমি বলিলাম ‘আপনি কোন দিকে যাবেন ? সে একটা রাস্ত দেখাইঃ বলিল “এই দিকে ।”