পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৯২৭e মুলে কুঠারাঘাত কর ক্ষ আপন হষ্টতেই ভূমিসাৎ হইবে। অন্ত কথায়, তাহাদের মতে ধৰ্ম্ম সংস্কারের সোপান দিয়া সমাজ সংস্কারে আরোহণ করাষ্ট প্রকৃষ্ট পন্থা । সমাজ সংস্কারের বিষয়ে আমার যা বক্তব্য তাছা ত বলা হইয়াছে, এখন ধৰ্ম্ম সংস্কার সম্বন্ধে দু-এক কথা বলিতে ইচ্ছা করি । কিন্তু ধৰ্ম্মসংস্কার-বাৰ্ত্ত বলিতে গেলে ধৰ্ম্মপ্রাণ সাধুপুরুষদিগের জীবন-চর্চা আবগুক হইয়া পড়ে । অতএব এই প্রসঙ্গে মহারাষ্ট্র ধৰ্ম্মসমাজের শীর্ষস্থানীয় যে জগদগুক শঙ্করাচার্য্য তাছার জীবনী হইতে আরম্ভ করিয়া এ কালের আর আর ধৰ্ম্মবীরেব চরিত-চিত্র অল্পাধিক মাত্রায় দেওয়া যাচলে, সেই সঙ্গে তাহাদের কার্য্যবিবরণীও যথাক্রমে रुििछ झहेर्द । শঙ্করাচার্য্য মারাঠাদেশে শ্রীমৎ শঙ্করাচার্য্য জগদগুরু বলিয়া পুঞ্জিত। এই ক্ষণজন্ম মহাপুরুষ প্রখর ধীশক্তিসম্পন্ন সৰ্ব্বশাস্ত্র-বিশারদ অদ্বৈতবাদী পণ্ডিত ছিলেন। যে সকল ব্ৰাহ্মণাচাৰ্য্য বৌদ্ধমত খণ্ডন করিয়া হিন্দুধৰ্ম্ম পুনরুজ্জীবনের প্রয়াসী ছিলেন তিনি তাহণদের অগ্রগণ্য। তাহার জীবনবৃত্ত যাহা কিছু পাওয়া যায় তাহ! সস্তোষজনক বলা যায় না । আনন্দগিরিকৃত শঙ্কর দিগ্বিজয় প্রভৃতি কতিপয় গ্রন্থে শঙ্করের জীবনী এত প্রকার অলৌকিক ব্যাপারে জড়িত যে সত্য মিথ্যা পৃথক কর। সহজ মহে । শঙ্করের সন্নাস গ্রহণ বৃত্তান্ত তাহার নমুনা স্বরূপ দেওয়া যাইতে পারে। বাল্যকাল হইতেই তিনি সন্ন্যাস গ্রহণ সংকল্প ভারতী চৈত্র, ১৩২• মনে মনে পোষণ করেন । কিন্তু জননীকে র্তাহার অভিলাষ জানাইলে জননী একান্ত কাতর হইয় পড়েন, কিছুতেই তাহার ও মুমতি পান না, অথচ মাতৃআজ্ঞা না পাইলেও নয় । কথিত আছে, একদা তিনি র্তাহার গৃহসমীপবৰ্ত্তী নদীতে অবগাহন করিতেছেন, এমন সময় এক কুম্ভীব তাহাকে আক্রমণ করিল। শঙ্কর উচ্চৈঃস্বরে জননীকে ডাকিয়া বলিতে লাগিলেন “কুমাব আমার পা ধরিয়া টালিয়া লইয়! যাইতেছে মা আমাকে শীঘ্র বক্ষণ করুন।” জননী কি উপায়ে সস্তানকে বঁাচাইতে পরিবেন ভাবিয়া পান না । তথন শঙ্কর বলিলেন “আমার জীবন রক্ষার এক উপায় আছে । যদি আমি সংসারের মায় কাটাইয়া সন্ন্যাস গ্রহণ করি তাহা হইলে এই কুম্ভীর এখনি আমার পা ছাড়িয়া দিৰে । আপনাব অনুমতি পাইলেই আমার জীবন রক্ষা হয় ।” মাত অগত্য পুত্রের সন্ন্যাস গ্রহণের অনুমতি দিলেন । কুম্ভীরও আপন গ্রাস ছাড়িয়া চলিয়া গেল । এইরূপ বিচিত্র দৈবঘটনা যোগে তাহার জীবন কথা অমুরঞ্জিত । ঐতিহাসিক প্রমাণ দ্বারা শঙ্করচরিত যতদূর জানা গিয়াছে তাছা সংক্ষেপে এই ঃ– খৃষ্টাব্দের অষ্টম শতাব্দীর শেষভাগে তিনি প্রাণ্ডুভূত হন। কেরল প্রান্তে ( মালাবার ) ব্রাহ্মণ কুলে তাহার জন্ম । অনতিকাল মধ্যে তিনি অলোকসামান্ত প্রতিভাবলে পণ্ডিত সমাজে খ্যাতি লাভ করিলেন । • তিনি সন্ন্যাসাশ্রম গ্রহণ করিয়া কাশী, কাঞ্চী, কর্ণাট, কামরূপ প্রভৃতি নানাদেশ পরিভ্রমণ পূৰ্ব্বক সে সময়কার প্রচলিত নানা মত খণ্ডন করিয়া