পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»११३ দিশ্বৰ্ত্তী মগুপে বিরাজমান। কিন্তু দাক্ষিণাত্য পণ্ডিতগণের মধ্যে এমন কোন ব্যক্তি জন্মগ্রহণ করেন নাই যিনি দেবীর দক্ষিণদ্বার উন্মোচন করিতে পারেন । সুতরাং দেবীর দক্ষিণদিকের দ্বার চিরকাল রুদ্ধ আছে।” শঙ্কর সেই দ্বার খুলিতে প্রতিজ্ঞান্ধঢ় হইলেন কিন্তু পরীক্ষা না দিয়া প্রবেশের অনুমতি নাই । শঙ্কর নানা সম্প্রদায়ের পণ্ডিত—নৈয়ায়িক, ংখ্যাতত্ত্ববিৎ, বৌদ্ধ, জৈন, সকলকে বিচারে পরাস্ত করিয়া সৰ্ব্বজ্ঞ বলিয়া সমাদৃত হইলেন। কাশ্মীরের পণ্ডিতগণ তখন স্বয়ং মন্দিরের দ্বার উদঘাটন করিয়া শঙ্করেব প্রবেশ পথ মুক্ত করিয়া দিলেন।” শঙ্কর কাশ্মীর হইতে বদরিকাশ্রমে চলিয়া যান ও তাহার জীবনের কার্য্য সমাপ্ত করিয়া হিমালয় স্থিত কেদারনাথে গিয়া নির্বিকল্প সমাধি যোগে ৩২ বৎসর বয়সে মৰ্ত্ত্যধাম পরিত্যাগ করিলেন । শঙ্করাচার্য্য জীব ও ব্রহ্মের অভেদ মুলক অদ্বৈতবাদ পোষণ কবিয়া বেদান্তদর্শন, উপনিষদ, ভগবদগীতা শাস্ত্রাদির ভাষ্য রচনা করিয়া গিয়াছেন। তাহাতে র্তাহার অসাধারণ পাণ্ডিত্য ও যুক্তি তর্কের নৈপুণ্য দেখিয়৷ মুগ্ধ হইতে হয়। যদিও অদ্বৈত ব্ৰহ্মবাদ তাহার প্রকৃত মত ও নিগুৰ্ণ উপাসনা প্রচার তাহার মুখ্য উদ্দেশু, তথাপি তিনি গৌণভাবে সাকার উপাসনার পক্ষপাতী ছিলেন। যে জড়বুদ্ধি লোকের নিগুঢ় ব্রহ্মজ্ঞানের অনধিকারী তিনি তাহাদের ধারণার উপযোগী সাকারবাদের সুলভ মার্গ প্রদর্শিত করিয়াছেন। এক দিকে যেমন জ্ঞানিগণ মধ্যে প্রাচীন ব্ৰহ্মতত্ত্ব অদ্বৈতবাদ, অন্যদিকে প্রাকৃত সাধকের মধ্যে দেব आब्रडौ চৈত্র, ১৩২৯ দেবীর উপাসন প্রচার করিয়াছেন । এই হেতু দেখা যায় যে সকল সম্প্রদায়ের লোকই র্তাহার প্রতি গুরুভক্তি প্রকাশ করে । র্তাহার নাম “ষষ্মতস্থাপক ৷” বেদান্ত শাস্ত্র ও তত্ত্বজ্ঞান প্রচার উদ্দেশে তিনি চারি স্থানে চারিটি মঠ স্থাপন করেন । মহীশূরস্থ শৃঙ্গরি (শৃঙ্গগিরি ) মঠ তন্মধ্যে সৰ্ব্বপ্রধান। শৃঙ্গগিরি ঋষ্যশৃঙ্গ ঋষির জন্মস্থান বলিয়া প্রসিদ্ধ। এই মঠের যিনি অধিস্বামী তিনি মারাঠীদের ‘পোপ” – শুঙ্গিরি মঠ হইতে তিনি তাহার অনুশাসন সমস্ত জারী করেন । শঙ্করাচার্য্যের উত্তরাধিকারী গণের মধ্যে বেদ ভাষ্যকার সায়নাচার্য্য পরিগণিত মারাঠাদেশে শঙ্করাচার্য্যের মানমর্য্যাদার সীমা নাই । যখন অর্থ সংগ্রহের প্রয়োজন হয় তখন আচার্য্যদেব শৃঙ্গরি হইতে শিষ্য মণ্ডলীর মধ্যে অবতরণ পূর্বক ভাণ্ডার পূর্ণ করিয়া স্বস্থানে ফিরিয়া যান। দক্ষিণে প্রবাস কালে আমি শঙ্করাচার্য্যের প্রভুত্বের দুই একবার পরিচয় পাইয়াছি । আমি যখন পুণায় কৰ্ম্ম করি, শুনিলাম যে সমাজ ংস্কার কাজের অগ্রগণ্য কয়েক জন খ্যাত নামা মারাঠী যুবক কোন মিসনরি বন্ধু গৃহে চা পান করিয়াছিলেন, এই অপরাধে তাহাদের সমাজে মহা গণ্ডগোল বাধিয়া যায় । শেষে সাব্যস্ত হইল শঙ্করাচার্য্যকে এ বিষয়ে মধ্যস্থ মান হয়। শঙ্করাচার্য্যের বিধান সংস্কারকদের প্রতিকুল হইয়া দাড়াইল, তিনি বিচার করিয়া কোন এক প্রকার প্রায়শ্চিত্তের ব্যবস্থা করিয়া দিলেন। অপরাধীগণ গুরুঞ্জীর আদেশানুসারে যথোচিত প্রায়শ্চিত্ত গ্রহণ করিয়া শিক্ষিত মগুলির মধ্যে কিরূপ হাস্তাম্পদ হন ও নিজের