পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

»:ፃሆ দমিয়া গেল। সভা ভগ্ন চুর্ণ হইয়া ধরণীতলে शूछेङ श्ण (*) অাৰ্য্যসমাজ প্রার্থনাসমাজের সহযোগী আৰ্য্যসমাজের উল্লেখ না করিলে এ অধ্যায় অসম্পূর্ণ থাকিয়া যায়। মহাত্মা দয়ানন্দ সরস্বতী এই সমাজের জন্মদাতা । ইনি একজন গুজরাট ব্রাহ্মণ । দয়ানন্দ সরস্বতীর জন্মভূমি কাঠেওয়াড়। দয়ানন্দের পিতা একজন গোড়া শৈব ছিলেন, আপন পুত্রকেও শৈবধৰ্ম্মে দীক্ষিত করেন, কিন্তু এই অন্নে তাহার অধ্যাত্মিক ক্ষুধার নিবৃত্তি হয় নাই। র্তাeার ধৰ্ম্ম জিজ্ঞাসা প্রবল ছিল, পৌত্তলিকতার অসারত শীঘ্রই তাহার হৃদয়ঙ্গম হইল। মূৰ্ত্তিপূজার প্রতি কিরূপে র্তাহার বিরাগ জন্মিল তাঙ্কার বৃত্তান্ত তার জীবনীতে যাহা আছে তাহা এইঃ– একদিন শিবরাত্রির জাগরণে তিনি মন্দিরে রাত্রিবাস করিতেছিলেন, তার পিতা ও আর সকলে নিদ্রামগ্ন, একমাত্র তিনি জাগরিত ছিলেন। কিছু পরে দেখিলেন, ইন্দুরের মিলিয়া ঠাকুরের উপর মহা উৎপাত আরম্ভ করিয়াছে--বাদাম মিষ্টান্ন প্রভৃতি যাহা কিছু ভোগের সমগ্রী ছিল তাঙ্গতে তাঙ্গাদের বিলক্ষণ ভোগ চলিতেছে, ঠাকুর না আপনাকে আপনি সামলাষ্টতে পারেন, না অন্তকে ডাকিয়৷ তাদের দৌরাত্ম্য নিবারণ করিতে পারেন। তার সহজে মনে হইল, যিনি আত্মরক্ষায় অক্ষম তিনি কি সেই বিশ্বনিয়ুস্তু। বিশ্বেখর হইতে পারেন ? এই ঘটনা হইতে ভারতী চৈত্র, ১৩২• পৌত্তলিকতার প্রতি তার বিতৃষ্ণ জন্মিল, তিনি মনোনিবেশপূৰ্ব্বক বেদাধ্যয়নে প্রবৃত্ত হইলেন । র্তাহার এক ভগিনীর সহসা অকালমৃত্যুতে তাছার মনে বৈরাগ্য উদয় হইল। পিতার ইচ্ছা তাহার বিবাহ দিয়া তাহাকে গার্হস্থ্যশৃঙ্খলে আবদ্ধ করেন— তিনি সেই বন্ধনভয়ে গৃহত্যাগী হইয়া পলায়ন করিলেন। ইঙ্গার কিছুকাল পরে সন্ন্যাসধৰ্ম্ম গ্রহণপুৰ্ব্বক দয়ানন্দ সরস্বতী নাম ধারণ করিলেন । অশেষ শাস্ত্রসিন্ধু মস্থনের পর তাহার সিদ্ধান্ত এই দাড়াইল যে ব্রাহ্মণ উপনিষদ স্মৃতি পুরাণ তন্ত্র এ সমস্ত শাস্ত্র ভ্রাপ্তিসঙ্কুল, কেবল খাটি সত্য বেদ-বেদভিত্তির উপরেই হিন্দুধৰ্ম্মের পত্তন করা বিধেয় । বেদে মূৰ্ত্তিপুজা নাই— একেশ্বরবাদই বেদমন্ত্ৰ সকলের প্রকৃত মৰ্ম্ম— অগ্নি ইন্দ্র বরুণ প্রভৃতি সেই একংব্রহ্মের নামভেদমাত্র। তিনি নানা যুক্তি প্রদর্শন পুৰ্ব্বক স্বমত স্থাপন ও বিরুদ্ধমত খণ্ডন করিয়া বেড়াইতেন – যথানে যাইতেন পৌত্তলিকতার প্রতিবাদ ও বেদের মাহাত্ম্য প্রতিপাদন করিতেন—তাহার বুদ্ধি বাগিতা ও পাণ্ডিত্যে লোকের চিত্ত আকৃষ্ট হইত। র্তাহার মতে বেদবাক্য অভ্রান্ত সত্য কিন্তু ভাষ্যকারেরt যেরূপ বেদার্থ প্রকাশ করিয়াছেন তাহ সৰ্ব্বাংশে সত্য বলিয়া মানিয়া লুওয়া যায় না। এই হেতু তিনি স্বকপোলকল্পিত অর্থ করিয়া ‘বেদার্থ প্রকাশ’ নামে বেদভাষ্য রচনা করিয়া যান, ইহাই আৰ্যসমাজের ভিত্তিভূমি। র্তাহার মতে পৌত্তলিকতা বেদৰিকুদ্ধ ধৰ্ম্ম সুতরাং তাহা পরিষ্কাৰ্য্য। র্তাহাল্লি যত্নে ভারতবর্ষের (২) ইন্দু প্রকাশ সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রে ১৮৬৪ ২ মার্চ হইতে কতিপয় সংখ্যায় Political Rishi স্বাক্ষরিত প্রবন্ধ হইতে সংকলিত ।