পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৩১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>२४० আঘাত তাহদের ক্যাহত পৃষ্ঠের ব্যথা বাড়াইতেছিল। গত রাত্রের দগ্ধস্ত,প দিনের আলোয় ভীষণতর দেখাইতেছে। কোথাও গুমিয়া গুমিয়া শস্তেব বস্তাসকল তথনও পুড়িতেছিল, কোথাও আরবণেব নিম্নে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ সকল ধোয়াইয়া উঠিতেছিল, উৰ্দ্ধগামী সৰ্পের মত ধুম গুলা শূণ্ঠমার্গে ঘুরিতেছিল ; সেই বিশাল ধ্বংস ভীষণ নরমেধ যজ্ঞকু গুরূপে প্রাণের মধ্যে বিভীষিক ও জগতেব নশ্বরতাব কথা একসঙ্গে জাগাইয়া তুলিতেছিল। বৈশ্বানবেব সেই লীলাক্ষেত্র বেষ্টন করিয়া ঝঞ্জাবৃষ্টি মাথায় লইয়া অসংখ্য গৃহহীন ও দর্শকদল চারিদিকে কোলাহল করিতেছে, হাহাকাব করিতেছে । ভাগ্য, ভগবান ও অজ্ঞাত অগ্নিসংযোগ কৰ্ত্তাকে অভিসম্পাত দিতেছে। ঈশ্বর নিজে যেটুকু রক্ষা করিয়াছেন তা ভিন্ন মানুষের হস্ত একখানি পাটের বস্ত বা চালের থলি সরাইয়া উপকার কবে নাই। জনতা করিয়া মজা দেখিতেই তাহদের আগমন । আগুনের মুখে কাচ প্রাণটা তুলিয়া দিতে কেহই রাজী হয় না । সকলেই বলে “লোক পাষ্টলে করিতাম এক কি করিব ?” গাড়ী আসিয়া একখানা একতল বড় বাড়ীৰ দ্বারে থামিল। বাড়ীখানা কোন সময়ে হলুদে রং করা হইয়াছিল, বহু দিনের অসংস্কারে এবং বৃষ্টিজলের চিত্রে তাহার সৰ্ব্বঙ্গ প্রায় বিচিত্র হইয়া উঠিয়াছে। দ্বারের নিকট দু’তিন জন পুলিষের লোক ও সাধারণ লোকে বিষয় ভাবে কথাবাৰ্ত্ত কহিতেছিল তাহারা কমলাকে দেখিয়া সসন্ত্রমে নমস্কাব করিয়া সরিয়া গেল। বোধ হইল সকলেরই কণ্ঠ ভারতী ថៃភ, ><se হইতে একটা সঙ্গমুভূতির নিশ্বাস একসঙ্গে বহির্গত হইয়াছিল । দ্বারের পিতলের বাঘমুখে হাতলট ব্যাঘ্ৰনেত্রের মত ভেদ্য দৃষ্টিতে যেন তাহার দিকে জলন্ত চক্ষে চাহিয়া আছে, এমনি মনে হইয়া সে হঠাৎ একবার সেইখানে দাড়াইয়া পড়িল । কিন্তু তখনি মনে হইল কে যেন তাঙ্গকে ভিতরে সেইদিক পানেই টানিতেছে । এক পা এক পা করিয়া অবশেষে সে দ্বাবের চৌকাটের মধ্যে প্রবেশ করিল । কোথাও কোন সারা শব্দ নাই, সে স্থির কর্ণে একটা কোনরূপ শব্দ শুনিবার জন্ত অপেক্ষা করিল, কিন্তু কিছুই শোনা গেল না,—প্রেতপুরীর মত স্তব্ধ বাড়ীটা ! সে ভিতরে প্রবেশ করিল। কোথা দিয়া কোথায় আসিল সে তাহ অনুভব করিতেও পারিতেছিল না ; কিন্তু অপরিছিন্ন গৃহে, ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র খট্টায়, ছিন্ন মলিন শয্যাতলে যন্ত্রণাওঁ লোকপূর্ণ রুদ্ধ বায়ুর মধ্য দিয়া সে যে অনেকটা স্থান অতিক্রম করিল, এইটুকু শুধু বুঝিতেছিল। সারা বাড়ীখানা যেন কাতরতার ও বিষাদের আশ্রয় স্থল। প্রতি পদক্ষেপে, মলিন তার সংস্পর্শ, প্রতি মুহূৰ্ত্তে অযুট বিলাপ প্রাণের মধ্যে বিষাদপূর্ণ আতঙ্ক কম্পিত করিয়া তুলে। সম্মুখের একটা দ্বার অৰ্দ্ধ মুক্ত ছিল, আৰ্দ্দালিটা তাহা আর একটু খুলিয়া দিয়া নিজে একপাশে সরিয়া দাড়াইল,— যন্ত্রচালিত কমলা নিঃশব্দ চরণে অগ্রসর হইল। ইহা একটি অনতি প্রশস্ত হলঘর। ঘরে অনেকগুলি লোক । তাহার মধ্যে কেহ দাড়াষ্টয়া কেহ কেহ চৌকিতে বসিয়াছিলেন । কমল প্রবেশ কবিতেই সকলে তাহার দিকে চাহিয়া সরিয়া গৈল । দুইজন সাহেব একথান