পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శీy: যেন কমলার সারা জীবনে পরিস্কট হইয়৷ উঠন্তেছিল। দুঃখ আসে যেমন তেমন নয় । দুঃখের মধ্যে সব চেয়ে বাছা বাছা তীব্রতম দুঃখ গুলাই সে আজীবন ভোগ করিয়া আসিয়াছে । অভাব বিয়োগ অপমান সমস্তই তাঙ্গাদের পূর্ণমূৰ্ত্তিতে তাহাকে দেখা দিয়াছে। কিন্তু সকল দুঃখের অন্ধকারেই এতটুকু একটু জোনাকির টপটপানি আলে৷ থাকে, তা না থাকিলে মানুষ কখনই বঁচিয়া থাকিতে পারে না । আজ এ যে কি মহা প্রলয়ের নিরালোকশূণ্ঠত, ইহার বুঝি সীমাস স্ক নাই । যে ডাক্তার বাবুর স্ত্রীপুত্রকে রক্ষা করিতে শচীকান্ত প্রাণ দিল, তাহার গৃহে কমলাব সেবাগাস্বনার অভাব ছিল না । গৃহিণী সকল কৰ্ম্ম ছাড়িয় তাহাকে মায়ের মেঙ্গে যেন কোলে টানিতেছিলেন, কিন্তু তাহার তাহাতে কি মুখ ? কিসের সাত্বনা ? যখন বাড়ীর দাসী আসিয় তাহাকে বিধবার : বেশে সাঙ্গাইল, তখন অস্তরে অন্তরে সে একবার হাহাকার করিম উঠতে গিয়ছিল, কিন্তু হাত টানিয়া লয় নাই । আজ কাহার জন্তু সে বৈধব্য গ্রহণ করিবে ? যে তাহার স্বামী নয় তাহার জন্ত ! কিন্তু এত বড় একটা প্রচণ্ড অস্বীকার করিবার বলই আজ কোথায় ? সে যে তাহাকে তাহার স্বীকার বুঝিতে দিয়াছে। তাহারি পশরক্ষা করিয়া সে যেন তাঙ্কার পরে खर्न्नौ श्न। शिश्नttछ् ।। १iश्tझ ॐri८१ङ्ग १tनि তাহার এতটুকু দাওয়া ছিল না তাখাকে শুদ্ধ এই সঙ্কে অনুসৃত করিল ! আবার ज्यू शृङ्गा नग्न ८न कि श्रृङ्क !' ভারতী চৈত্র, ১৩২০ সেই আত্মমুখী, স্বার্থপরায়ণ হৃদয়ের মাঝখানে যে কত বড় একটা ত্যাগশীল তপস্বীর প্রাণ লুকান ছিল সেটাকে কেহ কোনদিন খুজিয়া পায় নাই । কমলা হুতাশন ভক্ষিত দগ্ধদেহের সেই মহাঅধিকবীকে হঠাৎ দেখিতে পাইল । সহসা যেন এক অমৃতময় রাম নামে সকল জড়তা কাটাইয় তাহার দিব্য জীবন প্রকাশ হইয়া পড়িয়াছে । কমলা মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে দগ্ধ হইয় তাহার অনুমৃত হইল। ইহজন্মের মরণ নয় চিরদিনের মত । ডাক্তারবাবু অনেক ভাবিয়া চিন্তিয়া স্ত্রীকে দিয়া জিজ্ঞাস করাইলেন, সে এখন কোথা যাইতে চায় ? ম্যাজিষ্ট্রেট সাহেব সরকারের তরফ হইতে পরার্থে আত্মোৎসর্গকারী বিশ্বস্ত কৰ্ম্মচারীর বিধবার যাবজ্জীবন ভরণপোষণ ভার বহিতে প্রস্তু ত এই অল্পদিনেই সে যে কার্ষ্যতৎপরতা দেখাইয়াছিল তাহ অনন্তসাধারণ । সে সেই অর্থ লইয়া আত্মীয় গৃছে, কিম্বা যথেচ্ছ স্থানে বাস করিতে পারে। কমলাকে কথাটা দুতিনবার বলিতে হইল, তাহার মনটা এমনি শূন্ত হইয়া গিয়াছে যে বাহিরের রূপরসশব্দস্পর্শ কিছুই যেন সেখানে গিয়া পৌছায় না। শুনিয়া সে ধীরে ধীরে ঘাড় নাড়িল “না।” ডাক্তার বাবুর স্ত্রী বলিলেন “এভো মা তোমার জোরের টাকা, সংসার বড় বিষম ঠাই মা, নিজের নিজস্ব কিছু থাক। বড় ভাল । চারটে কাল এখনতে কাটাতে হবে I* কথাটা সে শুনিলও না, শুনিলেও কিছুমাত্র বুঝিল না, শুধু ঘাড় নাড়িয়া অস্বীকার জানাইল । ডাক্তার বাবু বা তাছার স্ত্রী