পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭বর্ষশ* দ্বাদশ সংখ্যা বাগদত্ত। めミbr。 “পড়ার সময় বাধা দেয় ?” পলাইল। ভাসুরকে সে যে খুব লজ্জা করে “ভারিতে পড়া, কত পড়বে ?” তা নয়, পাছে তিনি এ সময় সত্যর পাঠগৃহে "দাদা যাবার দিন কি বলে গেছেন মনে নাই ? পড়লে মানুষ হবে, হলে দাদা সুধী হবেন, তুমি কি চাও না দাদা সুখী হন ?” গৌরীর হাসিখুলী মিলাইয় গেল “হই ।” “তবে কেন বাধা দাও ?” “অরি দেব না, তুমি দাদাকে বিয়ে করতে বলে না কেন ?” সত্য এবাব তাহার দিকে ফিরিল “তা’কে আমি কি বলবো গৌরি, কি দুঃখে তিনি আজীবনের সুখে জলাঞ্জলি দিলেন তাকি জানি নে যে বলতে যাবে ? জলের দাগ তো নয় যে মুছে যাবে, সোনার খোদাই যে ।” গেীবী সত্যের কেদারার হাতাটাব উপব বসিল, “র্তার জন্ত অfমাব মধ্যে মধ্যে. যেন কান্ন পায়, “কমলা যদি এখন অমাব দিদি হতেন কত আহলাদ হত বলে দেখি ?” সত্যেন্দ্র গভীর নিশ্বাস পরিত্যাগ করিল “ত আর বলতে গৌরি, বাবা কেবল সেই দুঃখ বুকে করেই চলে গেলেন । মৃত্যুকালেও দাদার মাথায় হাত দিয়ে বলে গেলেন তোমায় শুধু কষ্ট নিয়ে গেলাম যাদু আমার, একটুকু বিশ্রাম দিতে পারলাম না ।” সত্যর দুই চোখ সজল হইয়া আসিল । সে আবার গভীর নিশ্বাস ফেলিল। “ছি তুমি এত জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলো না আমার ওতে বড় কষ্ট হয়—” এই সময়ে বাহিরে কে ডাকিল “সতু।” “একি দাদা এমন সময় হঠাৎ ফিরে এলেন যে!” সত্য ধড়মড়িয়া উঠিয়া পড়িল, গৌল্পী সলজ্জমুখে দ্বারান্তর পথে চুটিয়া তাহাকে দেখিয়া মনে করেন সে তাহার ভাইয়েব পড়! শুনায় ব্যাঘাত ঘটায়, অতএব ভাইটিকে ইহার কাছ হইতে সরাইয়া লইয়া যাই । এই একটা মস্ত ভয় ছিল । মনীশের অকস্মাৎ প্রত্যাগমনে বিক্ষিত নন্দকিশোর তাহার কুশল বাৰ্ত্ত লইতে আসিলেন। সে র্তাহাকে বুঝাইয়৷ দিল, খুড়িমা গুরুগৃহে কতকটা শাস্তিতেই থাকিবেন বুঝিয়া সে ফিবিয়া আসিয়াছে। এখানকার নৈশ বিদ্যালয়গুলি পাছে তাহার অভাব বোধ করে তা ভিন্ন সতুকে ছাড়িয়া অতটা দুরে থাকা । নন্দকিশোর ইহার ভিতবকার তথ্য জানেন ন সুখী হইয়া চলিয়া গেলেন। মৃত্যুর পূৰ্ব্বে শিবনারায়ণ র্তাহাকে ডাকিয়া জানাইয়াছিলেন যে তাহাব স্বেীপার্জিত সমুদয় সম্পত্তি, তিনি মনীশকে দান করিতেছেন। সে ইহা ইচ্ছামুরূপ লোকহিতকর কার্য্যাদিতে ব্যয় করিতে পরিবে। ইহাতে র্তাহার কিছু বলিবাব আছে কিনা ? নন্দকিশোর প্রসন্নচিত্তে উত্তব দিয়াছিলেন “কিছু না ।” তিনিও ইতিমধ্যে র্তাহার বিপুল অর্থ, কঙ্কা জামাতা উভয়কে তুল্যাংশে বিভাগ করিয়া দিয়া উইলপত্র লিখাইয়াছেন। সত্যর পক্ষে তাহাই যথেষ্ট। শিবনারায়ণ কহিলেন “তাহ জানি বলিয়াই আমি তাহার অংশ তাহার ভ্রাতুষ্পপুত্রগণকে দিবার ব্যবস্থা করিয়াছি । মনীশের সস্তান সাধারণলোকেই ইহার উপস্বত্ব ভোগ করিয়া সত্যুর বংশের কল্যাণ বৃদ্ধি করিবে।” করুণাময়ী সংসারে বীতস্পৃহ হইয়। যখন কাশী চলিয়া গেলেন তখন নন্দকিশোর নিজের