পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'&$e স্বার্থ জুলিয়া গৌরীকে তাহার সঙ্গে দিতে চাহিয়াছিলেন, কিন্তু পতিহীনা সৰ্ব্বত্যাগিনী সতী পুত্র পুত্রবধূকে আশীৰ্ব্বাদ করিয়া অবিচল কণ্ঠে কহিয়া গেলেন “সতি তোরা অব আমায় জড়াতে চাসনে, তোরা সুখে ঘর কর, তা হলেই আমি সুখী হ’ব ।” সবাই বুঝিয়াছিল সাধবী করুণাময়ীর হৃদয় তাহার মহানুভব স্বামীর সহিত সহমৃতা হইয়াছে। তাহার ব্রহ্মচৰ্য্যপুতঃ দেহখানা যে কদিন এ পৃথিবীর মাটিতে বিচরণ করে শাস্তির স্থানেই আশ্রয় পাক। সত্য বুক ফাটিয়া কঁাদিল, বাধা দিল না, সে জানিত তাহার দাদাকে লষ্টয়া মা তাহার নিকটাপেক্ষা আরামেই থাকিবেন। নন্দকিশোর চলিয়া গেলে মনীশ চাহিয়৷ দেখিল সত্য তাহার মুখের দিকে সন্দিগ্ধনেত্রে চাহিয়া আছে। মুহূৰ্ত্ত তাহার কর্ণমুল হইতে ললাট অবধি লাল হইয়া উঠিল। সত্য আর একটু কাছে আসিয়৷ ডাকিল “দাদ৷ ” “সতি ?” মনীশ মুখ নত করিল। "দাদা কি হয়েছে ? মা, মা আছেন তো ?” নত মস্তকেই মনীশ বলিল “স্থা সতি মা ভাল আছেন। উদ্বিগ্ন চক্ষে চাছিয়া উৎফষ্ঠিত স্বরে সত্য কহিয়া উঠিল "তবে কি হয়েচে, আমায় বলবে না দাদা ? নিশ্চয় কিছু একটা ভয়ানক ঘটনা ঘটেচে, দাদা আমায় বলবে না ?” মনীশ সহসা মুখ তুলি “তোকে কেন বৃথা কষ্ট দেব সতু ? শুধু জীবনের মধ্যে এই একটা দিন আমায়ু মাপ কর ভাই, দ্বিতীয় বার আর কখনও তোর দাদাকে এমন দেখতে চৰে না— জানিস্।” ভারতী 855, २७२० "দাদা, আমি কি তোমার দুঃখের সঙ্গী নই ? শুধু তুমি আমায় দেবে, কিছুষ্ট কি নেবে ন ? আমায় লুকুবে ?” মনীশ অকস্মাৎ ব্যথাকাতর মুখখানা কম্পিত হস্তে বুকে টানিয়া লইল, ততোধিক কম্পিত স্ববে কহিল “ তবে শোন”,—তাহার কণ্ঠবোধ হইয়া আসিতেছিল, গলা ঝাড়িয়া বলিল, “আমার এ জগতের শেষ সুখ যা ছিল সব আজ তাকে দিয়ে এসেছি। যে কোলে একা অামাবি স্থান ছিল– তোরও সেখানে জায়গা হয়নি সেখানে আমি আর যাবনা সতি, সেখান থেকে আমার চিরনিৰ্ব্বাসন হয়ে গেছে।” সত্যেন্দ্র অনেকক্ষণ কিছু বুঝিল না, তাই নিৰ্ব্বাক্ হইয়া সেই যন্ত্রণাক্লিষ্ট মুখের দিকে চাহিয়া রহিল, পরে একটা সম্ভাবনার কথা মনে পড়িয়া গেল। কাকে ? তিনি বেশি, কমলা—কি সেখানে ?” “হা, সে বিধবা, অনাথা, জানি না কোথায় আছে,–বোধ হয় নিরাশ্রয়া ।” “দাদা !” অকস্মাৎ নিবিড় অন্ধকারে যেন একটা আলে জলিয়া উঠিল । সত্যেন্দ্রের মুখ আশায়, সন্দেছে আরক্ত হইয়া উঠিল “একটা কথা বলবো দাদা, বল রাগ করবে না ?" সর্পদ্রংষ্ট্রের মত মনীশ এ কথায় যেন আর্তভাবে চমকিয়া উঠিল “না ন সতু না না কিছু বলতে চেষ্ট করে না। সতু তুমি কি বলবে তাকি আমি বুঝি নাই। না না তাকে আমি বলে এসেছি এ জন্মে আর কখনও তার সঙ্গে আমার দেখা হবে না । এ জন্মের সব দেন পাওন আজ মিটিয়ে দিয়ে এসেছি। সে আশীৰ্ব্বাদ