পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৭শ বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা পে তাকে পেয়ে যথেষ্ট মুখী হয়েছে, সে তার এই সুন্দর ফুলটকে পূজা কবে । তোমার মার সঙ্গে হয়তো লি-টির একটু কথা স্তর হয়েছে, লি-টি বসে দুঃখ কচ্ছে—সি-পে তার কক্ষের চাবদিকে ঘুরে বেড়াচ্ছে—যেই তোমার ম৷ একটু নয়নের আড়াল হলেন অমনই দুজনে মিলন হলে –এখন তাদের হালি শুনতে পাচ্ছি,—অবসাদ অস্বচ্ছন্দতা সব কেটে গেছে বাঞ্ছিতের সমাগমে । শীতকাল এসেছে এখন আর আমবা ছাদের উপর অধিকক্ষণ কাটাতে পারি না । সমস্ত দেশ যেন ধূসর কুয়াসায় আবৃত হয়ে গেছে—চাষীরা সব মাঠ ছেড়ে চলে গেছে । পাহাড়ের নীচের রাস্তায় লোকচলাচল একরূপ বন্ধ-যদিও একজন ছাত বা খড়ের টুপি মাথায় দিয়ে চলে । তোমার কাছে আমি এমন সব চিঠিও লিখি 1 এব চেয়ে আমাদের নাবী জীবনেব ঘটনাই বা কি—আমাদেব সংসার এই গৃহের মধ্যেই বদ্ধ—এর বেশী চাইও না কিছু— । তোমারই পত্নী । ● ( . ) প্রিয়তম আমার ! * ভারী একটা মজার ঘটনা,—আমরা দোকানে গিয়ে জিনিষ কিনেছি —আমাদের পক্ষে এটা একেবারে অপূৰ্ব্ব—লি টির জন্তই আমরা এ আনন্দ লাভ করেছি ;—লি-টিকে এজন্তে কত আশীৰ্ব্বাদ কছি । লি-টর জন্তে সব দোকানদারের প্রথমে আমাদের বাড়ীতেই জিনিষ নিয়ে অস্তি, কিন্তু সে এতে সন্তুষ্ট না হয়ে নগরের দোকান থেকে জিনিষ কিনবে এই আবদার আরম্ভ করলে, তোমার (t চীনরমণীর প্রেমপত্র శి సెని মীর অনুমতির জন্ত আমরা কি অস্বস্তিতে দিন কাটিয়েছি—তারপর তোমার মা আমাদের নগরে যাবার জন্ত খাটুলির ফরমাস করলেন—তখন কি আনন্দ আমাদের ! প্রথমে তোমার মা চার বেহারবি কাদে চড়ে চললেন, তবে পব আমি দুবেহাবার কাধে চড়ে • লি টি ও মা-লি তার পব চললে ; তাদের পেছনে চাকব বা সব যাচ্ছিল আমাদের মোট বয়ে আনতে। আমরা যখন নগব দ্বাবে পৌছিলাম তখন সকলেরই কি আনন্দ ! সেদিন হাটবার, রাস্তাগুলি মৎস্ত ও শাকসজীর ঝুড়িতে বেজায় সঙ্কীর্ণ করে তুলেছিল। ঘোড়া গাধায় চড়ে বহুলোক যাতায়াত কচ্ছিল —আমার তো ভয়ই হলো— এর মধ্য দিয়ে অামাদের বাহকের বাস্তাকবে যেতে পাৰ্ব্বে কি না ! আমাদের বাহকদেব "আঃ হেঃ’ শব্দে রাস্তা পেতে কোন কষ্ট হলো না । আমরা সেই লম্বা খোলা দোকানগুলি প্রাণভরে দেখে নিলুম। একটা জুতার দোকানের সম্মুখে দেখলুম একজোড়া মস্ত বুট, পাৰ্ব্বতীয় রাজার জন্ত তৈরী করে রাখা হয়েছে। পাথার দোকানে পাখাগুলি অবিশ্রাম চলছিল। রেশমের দোকানীরা জানালী, দরোজ এমন কি রাস্ত পর্য্যন্ত রেশম দিয়ে মুড়ে ফেলেছে। আমরা অনেক কথা খরচ করে, দর দাম করে সিল্ক ও সাটন খরিদ করলাম, স্বর্ণালঙ্কার দেব দেবীর মুক্তিও অনেক কেনা গেল। ক্লাস্ত, ক্ষুধার্থ হয়ে বাড়ী ফিরে এসে—মনে হচ্ছিল, কখন চ পান করে প্রাণ জুড়াব! সেই জনপূর্ণ নগরের কোলাহলের চাইতে আমাদের এই দেয়ালঘের শান্তিময় - জীবন—কত বিভিন্ন । আমি ভাবি এখানে আমরা কতটা