পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>令习如 গেলাম এবং যাতে তিনি এই অপমানের কথা ভুলতে পারেন তারই চেষ্টা করতে লাগলেম । এতেও যখন তিনি সুস্থ হলেন না তখন আমরা পূৰ্ব্ব-ফটক থেকে ডাক্তার আনতে লোক পাঠালেম, ডাক্তার এসে তার স্বৰূদেশ পুড়িয়ে ভিতরকার গরমটা বের করে ফেলতে বল্লে, এতে তোমার মা বেজায় আপত্তি করাতে ওঝা তাড়াতাড়ি তার সাজ সরঞ্জাম গুটিয়ে মিজের কাধের পানে ভীত ভাবে চাইতে চাইতে পাচাড়ের পথে চললেন । তাপপর আমি তার পুরোহিতকে ডাকৃতে পাঠালেম । তিনি কিছু গোলাপী মদ্য, ধুপ ধুনো ও মোমবাতি নিয়ে এলেন, কিছুকাল মস্ত্রেচারণ করলেন, একটু গানও গাইলেন এর মধ্যে তোমার পূজনীয় মাতা ঠাকুরাণী খুমিয়ে পড়েছিলেন। পরদিন প্রাতঃকালে লি-টিকে ডেকে আনতে বললেন। আমি তাকে বুঝিয়ে বল্লেম হবে না, তার মন এমনই অস্থির আছে যে, এখন সে কোন কথাই বুঝতে পারবে না।’ তিনি বললেন ও একটা ছবি,শুধু রংই শাদা— কিছু নেই। আমি বললেম “আমাদের ওকে গড়ে নিতে হবে।” তিনি রেগে উত্তর করলেন “ও ঘুনেখেকো ঠাশ আর নোয়ান চলে না।” আমি আর কোন উত্তর করলেম না-লি-টি ও সি-পিকে “স্বর্ণমৎস্ত-মন্দিরে” বেড়াতে পাঠিয়ে দিলুম।– যখন তারা ফিরে এল ঝড় তখন অনেকটা কেটে গেছে। এতেই আমার মন যেন কেমন হয়ে গিয়েছিল—যত ঝড় ঝঞ্চা সব আমাকেই মেটাতে হয়। তুমি মনে করেন। ভিতরে ভারতী প্রিয় . ‘এখন লি-টিকে ডেকে কোন ফল । bछज, २०१० আমি এতে বডেড বিচলিত হয়ে পড়েছি। আমি জানি, এর সমস্তই পরিণামে মুখের জহু—এ দুঃখের দিকে আমি মোটেই চাইন । প্রিয়তম আমার, তুমি আমার ভাব এর চেয়ে সুখ আর কিসে আমার ? তোমার পত্নী । ( > 0 ) প্রিয়তম আমার ! সেদিন সহস্রভুজার মন্দিরে মহোৎসব উপলক্ষে আমরা গিয়েছিলাম। তোমার মা ঠিক করলেন যে আমরা নৌকায় কিছুদূর গিয়ে তার পর পান্ধীতে যাব । আমরা সহর থেকে একখান নৌকা ভাড় করলুম। কিন্তু নৌকাখানায় আমাদের সকলের ধরবার উপযোগী স্থানের অভাব ছিল—আর একটু বড় হলে ঠিক হোত তোমার মা, তার চারিজন বন্ধু—আমি লি টি আর ম-লি ছিলাম, আমাদের সঙ্গে পাচক, চাকল্প ও তিনজন দাসী ছিল। আমার পক্ষে এই প্রথম নৌকা যাত্রা–দূর থেকে নৌকা দেখার চেয়ে এতে কত বেশী আনন্দ । আমরা নৌকা থেকে চারদিকের দৃপ্ত দেখতে পাচ্ছিলাম—বাশের ঝাড়ের ভিতর থেকে কুঠিরগুলি দেখা যাচ্ছিল । নদীর মাঝে কত নৌকা কত লোক জন । সেই জনাকীর্ণ জলপথে আমাদের নৌকা চলতে লাগলো, দুবে চা-র দোকানে সকলে চা খাচ্ছিল। ছাদের পাশে ছোট ছোট ছেলের দাড়িয়ে আমাদের পানে সতৃষ্ণনয়নে চেয়ে ছিল । কোথাও বা ঘাটের সিড়ির উপর দাড়িয়ে রমণীর সব কাপড় কাচছিল। এত নৌকা এখানে..আমার পুৰ্ব্বে বিশ্বাস ছিল না