পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లిe 8 পারি নাই সেই কথাই আজ জানাষ্টব । আমার নিজের দৃষ্টাস্ত দিয়া মৰ্ম্মে মৰ্ম্মে আমি বুঝিয়াছি যে ভবিষ্যৎ অজ্ঞাত থাকাই মানদেব পক্ষে মঙ্গলের কারণ, তাই মানবহিতাকাঙ্ক্ষী পরম দেবতা মানবের দৃষ্টি ও জ্ঞান এত ক্ষুদ্র করিয়া সৃষ্টি করিয়াছেন । বা অশুভ ঘটনা মানব শক্তির দ্বার। হ্রাস বৃদ্ধি যে নিশ্চিত শুভ, কর} সম্ভবপর নহে সে সব ঘটনা অজ্ঞাত থাকাই মানবের পক্ষে শাস্তিদায়ক,—সুধু এই জন্তই আমার আগত এবং অতীত জীবন অামি প্রকাশ করিতে চাহি নাই। যে অশান্তি আমি দিবা বাত্রি সহ্য কবিতেছি আমাব স্নেহপাত্র সে যন্ত্রণব স্বাদ গ্ৰহণ কবে ইহা আমি ইচ্ছা করি নাই । আমার দুর্ভাগ্য জীবনের দীর্ঘ অন্ধকাব রজনীরও যে অলসান আছে প্রভাত গগনের মুখতারার উদয়সুচনাব দ্যায় তাহার ক্ষণিক আলোকরেখা ফুটিয়া উঠিয়াছে, অসহ অনিশ্চিত প্রতীক্ষার বুঝি এইবােব কুল মিলিবে । আমার অপবাধের পর এই সুদীর্ঘ চল্লিশ বৎসর কেন তাহার। আমায় বঁচিতে দিয়াছে ? আমার অদৃষ্টের উপব যাহাদের ক্ষমতাব অসীম প্রভাব – তাহারা বোধ হয় ইহাঙ্গ আমার অপরাধেব উপযুক্ত প্রায়শ্চিত্ত নিৰ্দ্ধারণ কবিয়াছিল । তাহদেব অশরীবি অভিশপ্ত ঘণ্ট। দু-কুড়ী বৎসর ধরিয়া আমার মৃত্যুর ভেরী বাজাইয়া প্রতি মুহূর্তে আমায় স্মরণ করাইয়া দিয়াছে যে জগতে এমন কোন স্থান নাই যেখানে গিয়া আমি নিবাপদ । শাস্তি: শাস্তি: । জীবন ব্যাপী ধ্বংসের পর— আরামদায়িনী শান্তি!—মৃত্যুর পর পারে যাহাই থাকৃ— আমি এই শত সহস্র অভিশাপ WS3, ভারতী চৈত্র, ১৩২০ গ্রস্ত ঘণ্টার হস্ত হষ্টতে অব্যাহতি পাইব । এই শোচনীয় আলোচনা অনাবগুক । ঘটনার প্রত্যেক কথাব ১৮৪১ ৫ই আ স্টাবর যে ঘটনায় প্রধান লামা গোলাবসিংহের মৃত্যু হইয়াছিল সেই ঘটনা গুলি ইহাতেই প্রাপ্ত হই তে পরিবে । পুণতন সংবাদ পত্রের আবশুকীয় পৃষ্ঠা তোমায় ছিড়িয়া দিলাম । ইহা মোটামুটি ব্যাপার বুঝিতে পরিবে, এবং ষ্টাব অব ইণ্ডিয়ার স্তাব এডোয়াড ইলিয়াটের একটা গল্প যাহার নামগুলা অপ্রকাশিত তাহা ও দিলাম। আমার বিশ্বাস র্য;হার পূৰ্ব্বদেশীয়দের জানেন না—র্তাহারা মনে কবেন হই তেই স্তার এডোয়ার্ডের নিজেব মস্তিষ্ক হইতেই এই অদ্ভুত বৈচিত্র্যময় ঘটনার স্বষ্টি । এই বিবর্ণ কাগজ কয়েক থানা দেখিলেই তুমি বুঝিতে পাধিবে যে তাহা নহে । আমাদেব ইউরোপীয় বৈজ্ঞানিকদের স্বীকার করতেই হইবে যে এমন সব ক্ষমতা জগতে আছে যাহাব বিষয়ে তাহাবা একেবারেই অনভিজ্ঞ ! জগতে আসিয়া জীবনে— আমি শান্তি পাইলাম না । চিৎজীবনটাই নিদারুণ যন্ত্রণার ভিতর দিয়া কাটিয়া গিয়াছে । কিন্তু সে জন্ত আমি দুঃখ জানাইতেছি না । ভগবান জানেন সুস্থ দেহে অসুত্তেজিত চিত্তে একজন বৃদ্ধ লোককে হত্যা ক বা আমার পক্ষে একেবারে অসম্ভব কিনা ? যদি সমস্ত শত্রপক্ষ —আফগান তাহার পশ্চাতে একত্র হইয়া আশ্রয় না লইত তাহ হইলে—যতই আমি ক্রোধী ও ভবিষ্যৎ চিস্তায় শিথিল হই তবুও কবপোর্যাল বা আমি তাহার কেশাগ্রও স্পর্শ করিতাম না । কখনও