পাতা:ভারতী কার্তিক-চৈত্র ১৩২০.djvu/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬৭শ বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা একবার দারুণ ক্ষোভে যখন দূবে পলাইবার বাসনা হয়, দূরে পলাইবার চেষ্টাও সে করে, তখন এই বাড়ীখানাই আবার সেই অদৃশু সুদৃঢ় নিগড় ধরিয়া টানিয়া বিবজাকে ফিবাষ্টয়া আনে ! বিরজ কাদিয়া ফেলিল—সে কি পাগল হইবে ! কিন্তু পাগল হইলে সে আজ বাচিয়া যায় ! অতীত স্মৃতিগুলা সপের মত ফণী তুলিয়া তাহাব অন্তরে অহবহ দংশন করিতেছে, তীব্র বিষ ঢালিয়া দিতেছে । সে জল যে আর সহে না ! সহিবার শক্তি নাই ! ধৈর্য্যও নাই ! ుల পরদিন বাটীব দাসী গিয়াছিল, দোকানে খাবার আনিতে । বিরজা আসিয়া তহবি শরণ লইল । মিষ্ট কথায় তাহার মন ভুলাইয়া সে খবর পাইল, বাবুব দুষ্ট সংসার । একটি পুত্র রাখিয়া প্রথম ন-কি মারা গিয়াছে— পাচ জনের অনুবোধে বাবু দ্বিতীয় বার বিবাহ করেন। ইহার দুই পুত্র, এক কন্ত । স্ত্রীটিও বড় ভালো । সতীন-পোর উপর যেমন টান, তেমনি ভালোবাসা ! ব্যবহার দেখিলে কে বলিবে, সতীন-পো ! ভালো জামা, ভালে কাপড়, সবই তাহার। নিজেব ছেলেব আব্দাব ধরিলে মা উত্তর দেয়, “ও পাবে না ত কে পাবে বে ? ও যে বড়, তোরা ছোট !” আব ছেলেও তেমনই মা-বলিতে অজ্ঞান ! এমন একগুঁয়ে ছেলে, পৃথিবীতে যদি সে কাহাকেও মানে, কিন্তু মার কাছে একেবারে জড়-সড় ! বাবুও সুশীল-অন্ত প্রাণ ! দাসী আর ও বলিল, এ সব কথা পাড়ার লোকের মুখেই সে শুনিয়ছে। বাড়ীতে ‘সতীন-পো’ কথাটি বিপথে గిyరి কি কাহারে উচ্চারণ করিবার জো আছে ! তাহা হইলে আবে রক্ষা নাই। বৌঠাকরুণের । ত অমন মায়াব শরীর, তখন কোথায় থাকে, সে মায়া ! বিরাজ মন দিয়া একটি-একটি কবিয়া সব কথা শুনিল ; শুনিয়া শুধু একটি ছোট দীর্ঘনিশ্বাস ত্যাগ কবিল । দাসী বিস্ময়ে তাহ1র পানে চাহিল, কহিল, “ওম,— তোমাব চোখে জল দেখচি যে ।” বিবজা আব-একটা দীর্ঘনিশ্বাস ফেলিয়া কহিল, “না, চোথে কি-একটা পড়ল ।” বলিয়াই সে দ্রুত সে স্থান ত্যাগ করিল । দাসী গালে তা ত দিয়া অবাক হইয়া দাড়াইয়া রহিল । দোকানী কহিল, “ও একটা পাগলী । আজ ক দিন থেকে এই পাড়ার মধ্যে ওকে ঘুরতে দেখছি!” অপবাহ্নে স্বলেব ছুটিব পর সুশীল বাড়ী ফিরিতেছিল, সঙ্গে ছিল, ছোট ভাই দুইটি ও কয়েকজন সঙ্গী। বিরজা অদূরে থাকিয়া তাহাদের অনুসৰণ করিতেছিল । সুশীল এ কয়দিন এটুকু লক্ষ্য কম্বিয়াছে যে, এক উন্মাদিনী নারী তাহদের পিছনে ঘুরিয়া বেড়ায়---বাড়ীব ধারে ও সৰ্ব্বদা তাহাকে দেখা যায় ! ইহার জন্ত প্রাণে সে কেমন একটা দারুণ অস্বস্তি বোধ করিতেছিল । রাগ ও যে হয় নাই, এমন কথা বলা যায় না । কিন্তু তাহাকে তাড়াইতেও সাহস হয় না ! কি জানি, একে পাগলী, চট্‌ করিয়া হাতটাই যদি ধরিয়া ফেলে ! গালি দেয় ! হাত ধরিয়া ফেলিলে পরিস্কার জামাটা ত নষ্ট হইয়। যাইবে, tহতার উপর পথের মধ্যে লোকের কাছেও বিষম অপদস্থ হইতে হুইবে । সে ভারী লজ্জার কথা ।